Ajker Patrika

অপেক্ষার কষ্ট ঘুচল ওএমএসের চালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
অপেক্ষার কষ্ট ঘুচল ওএমএসের চালে

চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ের কাছেই বহদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ। মসজিদটির সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন দুই-আড়াই শ মানুষ। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সেখানে খোলা বাজারে ৩০ টাকায় কেজি দরে চাল বিক্রি করছে খাদ্য অধিদপ্তর। কম দামের ওই চাল কিনতেই মানুষের এ জটলা।

চাল কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বারইপাড়া এলাকার বাসিন্দা রহিমা আক্তার। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রহিমা বলেন, ‘চাল কিনতে সাড়ে ১১টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখনো চাল কিনতে পারিনি। লম্বা লাইন থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।’

শুধু বহদ্দারহাট পয়েন্ট নয়, গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর ১৪টি ট্রাক সেল পয়েন্টে এভাবে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কম দামে চাল কিনেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবুল মনসুর মোহাম্মদ হাবীব বলেন, ‘সারা দেশের সঙ্গে চট্টগ্রামেও একযোগে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ (গতকাল) প্রথম দিন হওয়ায় কিছুটা ভিড় ছিল। তবে কাউকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি। সবাই চাল কিনতে পেরেছেন। শুক্রবার, শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৫ দিন নির্ধারিত পয়েন্টে চাল বিক্রি হবে। এসব পয়েন্ট থেকে যে কেউ চাইলে কম দামে চাল কিনতে পারবেন।’

খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিন ট্রাক এবং দোকান সেলের প্রতিটি পয়েন্টে ২ মেট্রিক টন করে আতপ চাল বিক্রি করা হয়েছে। প্রথম দিন নগরের ৩৩টি পয়েন্টে ৬৬ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ১৪টি পয়েন্টে ট্রাক সেলের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হয়। বাকি ১৯টি দোকান সেলে ৩৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হয়। দোকান সেলে চাল বিক্রির পাশাপাশি সাড়ে ৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হয়েছে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পেরেছেন। সেই হিসেবে গতকাল ৬৬ মেট্রিক টন চাল পেলেন প্রায় ১৩ হাজার নগরবাসী।

নগরীর আন্দরকিল্লাহ মোড় সিটি করপোরেশনের পুরাতন ভবনের সামনে, কাজির দেউরি কাঁচাবাজার, রামপুর ওয়ার্ডের পানির কল এলাকায় ট্রাক সেলে চাল বিক্রির পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই সব পয়েন্টে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সকালের দিকে একেকজনকে চাল কেনার জন্য দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবে যারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের কাউকে হতাশ হতে হয়নি। সবাই চাল কিনতে পেরেছেন। দুপুরের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় তখন লাইনে ক্রেতার ভিড় কমে যায়। এ সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে চাল কিনতে পেরেছেন।

 
রামপুর ওয়ার্ডের পানির কল পয়েন্টের ট্রাক সেল থেকে চাল কিনেছেন রহিমা খাতুন। রহিমা বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়ায় তেমন দীর্ঘ লাইন ছিল না। ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়েই চাল কিনতে পেরেছি।’

রহিমা খাতুনের বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের পুরাতন ভবনের সামনের চালের ক্রেতা অর্পিতা রাণী। অর্পিতা বলেন, ‘১৫০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি চাল কিনেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত