Ajker Patrika

মুগ ডালের ফলন ভালো কৃষকের মুখে হাসি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
মুগ ডালের ফলন ভালো কৃষকের মুখে হাসি

পটুয়াখালীর বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে এখন মুগ ডাল। খেতভর্তি মুগ ডালের ফলন দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত জমিতে স্বল্প খরচ আর স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল বারি মুগ-৬ চাষ করে খুশি কৃষকেরা।

এবার দক্ষিণাঞ্চলে মুগ ডাল চাষ সম্প্রসারণ করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই চাষ সম্প্রসারিত হলে বিদেশনির্ভরতা কমবে বলে জানান কৃষি বিজ্ঞানীরা।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, পটুয়াখালী জেলায় প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষ হয়েছে। যার বড় একটি অংশ বারি মুগ ডালের দখলে। এ বছর ৮৯ হাজার হেক্টর মুগ ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করে কৃষি বিভাগের।

সরেজমিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধান কাটার পর মুগ ডাল চাষ শুরু করেন কৃষকেরা। তবে শুরুতে কিছুটা পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। পরে জেলার কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এখন ফলন ভালো হয়েছে।

এ সময় কথা হয় দুমকি উপজেলার কৃষক চাঁন মিয়ায় সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘জেলার মধ্যে প্রতি বছর মুগ ডালের ফলনে আমাদের উপজেলা প্রথম হয়। এবারও ফলন ভালো হওয়ায় বিষয়ে আশাবাদী আমরা।’

সদর উপজেলার কৃষক মজিবুর গাজী বলেন, ‘বারি মুগ-৬ চাষ করে এবার ভালোই ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এখন কৃষি বিভাগ যদি আমাদের উন্নতমানের যন্ত্রাংশ দেয় তাহলে আমাদের আর কষ্ট থাকবে না।’ 
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পটুয়াখালী বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার বারি মুগ-৬ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আমরাও কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে থেকে সহযোগিতা করেছি।’

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এ বিষয়ে বলেন, ‘দেশের শতকরা ৬০ ভাগ মুগ ডাল দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা উদ্ভাবিত বারি মুগ-৬ ও ৮ এবং বারি খেসারি ডালের অগ্রযাত্রা দেখা গেছে। পটুয়াখালীর এক ফসলি জমিগুলোকে মুগ, খেসারি, ফেলন দিয়ে ভরিয়ে দিতে চাই। এক ফসলি জমিকে দ্বিফসলি করা আর দ্বিফসলি জমিকে তিন ফসলি করার কাজ করছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই অঞ্চলের জমি ছিল এক ফসলি। তবে এবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বারি মুগ-৬ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন তাঁরা। কৃষি মন্ত্রণালয় চায় এ চাষ আরও সম্প্রসারিত হোক।’

সায়েদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দেশের চাহিদা মিটিয়ে মুগ এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তৈরি পোশাকের পরে কৃষিকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৃষকও লাভবান হবেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত