Ajker Patrika

ট্রেন আসে, ব্যারিয়ার পড়ে না, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

মিজানুর রহমান নয়ন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
ট্রেন আসে, ব্যারিয়ার পড়ে না, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া কলেজ মোড় এলাকার রেলগেটে গেটম্যান নেই। গুরুত্বপূর্ণ এ জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে গেটম্যান না থাকার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় মোট আটটি রেলগেট আছে। এগুলোর মধ্যে শুধু তেবাড়িয়ায় গেটম্যান নেই। প্রায় চার দশক ধরে এখানে গেটম্যান না থাকার বিষয়টি বিভিন্ন সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে বড় ধরনের দুর্ঘটনার পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। কর্তৃপক্ষ শিগগিরই এখানে লোকবল নিয়োগ দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

গতকাল বুধবার সকালে তেবাড়িয়া কলেজ মোড় রেলগেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গেটম্যান না থাকায় পাকা ঘরে তালা ঝোলানো। পথচারীরা এদিক-সেদিক তাকিয়ে রেললাইন এলাকা পার হচ্ছেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে একটি আন্তনগর ট্রেন কুমারখালী স্টেশন থেকে রাজবাড়ীর দিকে যাচ্ছে। ট্রেন যাওয়ার সময় ব্যারিয়ার নামানো হয়নি। পথচারীরা স্বেচ্ছায় সড়কের ওপর ট্রেন যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তেবাড়িয়া রেলগেট এলাকার চা-দোকানি নাছরিন খাতুন বলেন, ‘রেললাইনের ব্যারিয়ার ওঠানো থাকায় লোকজন ট্রেন আসার সময়  হলেও পারাপার হওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমরা চেঁচামেচি করে লোকজনকে ঠেকিয়ে রাখি। অনেক সময় এসবে পাত্তা না দিয়ে কেউ কেউ পারাপার হয়। তাতে কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটে। এখানে স্থায়ী বা অস্থায়ী গেটম্যান দরকার।’

চা-বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাসখানেক আগে এক ট্রেনের সঙ্গে বালুটানা গাড়ির ধাক্কা লেগে এর চালক আটকা পড়েছিলেন। তখন সবাই ছুটে 
গিয়ে টেনে বের করেছিলাম।  মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও এখানে ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে।’

ভ্যানচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সব সময় ব্যস্ত থাকে। পথচারীরা এদিক-সেদিক তাকিয়ে পারাপার হন।

গেট সব সময় ওঠানো থাকায় কখন ট্রেন আসে-যায়, তা টের পাওয়া যায় না। তাই ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই চলাচল করে।

কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন বলেন, সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গজ দূরেই সরকারি কলেজ। পাশেই প্রধান উপজেলা শহর। কিন্তু  গেটম্যান না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই লোকজন চলাচল করে। রেলগেট ঝুঁকিমুক্ত করতে রেল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত লোকবল নিয়োগে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, অরক্ষিত রেলগেট এলাকা পরিদর্শন করার পর এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত