Ajker Patrika

ধান মাড়াইয়ে প্রযুক্তির ছোঁয়া সময় ও অর্থ সাশ্রয়

আব্দুর রব, মৌলভীবাজার
আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১৫: ৫২
Thumbnail image

ধান মাড়াইয়ে এসেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। একসময় গরু-মহিষ দিয়ে চলত ধান মাড়াইয়ের কাজ। এখন সে স্থান দখল করেছে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মাড়াই যন্ত্র। এতে সময় ও অর্থ দুই-ই সাশ্রয় হয়। মৌলভীবাজারের কাওয়াদীঘি হাওরসহ অন্যান্য প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলে ধান মাড়াই চলে এ যন্ত্রে।

কাওয়াদীঘি হাওর ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও গরু দিয়ে চলত ধান মাড়াই। বোরো ফসল ঘরে তোলার সময় প্রতিটি বাড়িতে গরু-মহিষ দিয়ে মাড়াইয়ের সেই চিরচেনা দৃশ্যটি এখন আর নেই। এখন জমি থেকে ধান কেটে মাঠেই চলে যন্ত্র দিয়ে মাড়াই কাজ। এতে সময় ও অর্থ বাঁচে বলে জানান কৃষকেরা।

মাড়াই যন্ত্রের মালিক ছমির মিয়া চারজন সঙ্গী নিয়ে দেড় মাস হলো এসেছেন কাওয়াদীঘি হাওর এলাকার কাদিপুর গ্রামে। তিনি এসেছেন সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়ন থেকে।

তিনি বলেন, ‘যে গ্রামে তাঁরা যান, সেখানকার কারো বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেখানেই রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করেন।

নগদ টাকার লেনদেন এখানে চলে না। ধান দিয়ে লেনদেন হয়। চুক্তিতে এক বিঘা খেতের ধান মাড়াই করতে এক মণ ধান নিই।’

‘গ্রাম থেকে ডিজেল কিনলে লিটারপ্রতি ১০ টাকা বেশি দিতে হয়। মেশিন নিয়ে আসার সময় ২০ লিটার ডিজেল এনেছিলাম। এখন গ্রাম থেকেই কিনে নিই।’ বলেন, ছমির মিয়া।

ছমির মিয়ার সহযোগী রঞ্জিত নমশূদ্র বলেন, ‘মাড়াই শেষে কৃষকদের দেওয়া যে ধান পাওয়া যায়, তা পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগ মালিক, এক ভাগ যন্ত্রের খরচ বাবদ। বাকি তিন ভাগ আমরা তিনজন পাই।’

কাদিপুর গ্রামের কৃষক অমূল্য সরকার বলেন, যন্ত্র দিয়ে কম সময়ে অনেক ধান মাড়াই হয়। এতে সময় ও অর্থ বাঁচে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৪৩০ হেক্টর। চাষাবাদ হয়েছে ৫৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব হাওরের বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত