মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এবার ধানের বাজার চড়া হয়ে উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে চালের দরেও। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের মণপ্রতি ১০০ টাকা আর চালের বস্তা (৫০ কেজি) ১৫০ টাকা বেড়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবেই ধান-চালের দাম বাড়ার কথা বলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ধান-চালের বাজার আরও অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।
জানা যায়, দেশের পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকার সবচেয়ে বড় ধানের মোকামে নরসিংদী, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেটসহ আশপাশের জেলা থেকে অধিকাংশ ব্যাপারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলারে করে ধান নিয়ে আসেন। এ ছাড়া মোকাম থেকে চালকল পর্যন্ত ধান পরিবহনে ব্যবহৃত হয় ট্রাক। সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এসব যানের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। ফলে ধান থেকে চাল তৈরিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আর সেই খরচ সমন্বয় করতে গিয়ে বাড়ানো হয়েছে ধানের দর। ফলে বেড়েছে চালের দামও।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এই মোকামে ৫০-৬০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হয়। এসব ধান জেলার চালকলগুলোতে যায়। চালকলগুলো থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে চাল সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে মোকামে বিআর-২৯ ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২১০ টাকায় এবং মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-৯৭০ টাকা দরে। অথচ দিন দশেক আগেও বিআর-২৯ ধান প্রতিমণ ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং মোটা ধান বিক্রি হয়েছে ৯১০ থেকে ৯২০ টাকা দামে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআর-২৮ জাতের চাল আগে দাম ছিল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) পাইকারিতে ২ হাজার ৪৫০ টাকা, সেটি বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা। অন্যদিকে বিআর-২৯ চাল ২ হাজার ৪০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ টাকায়।
ধান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা নিরুপায় হয়েই চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলমালিকেরা।
চাল ব্যবসায়ী শরীফ উদ্দিন জানান, পরিবহন খরচ বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চালের বাজারে প্রভাব পড়েছে। সব ধরনের ধান-চালের দাম বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত।
হাসান ইমরান নামের আরেক চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘ট্রাক ধর্মঘটের কারণে ভাড়া বাড়ানোর সময়ই আমরা বলেছিলাম, এর প্রভাব চালের বাজারে পড়বে। যদি জ্বালানি তেলের দাম কমে, তাহলে বাজারদর কমতে পারে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসকিং মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মিয়া জানান, ট্রাকের ভাড়া বাড়লে এর প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। কারণ, পরিবহন খরচ বাড়লে গড়ে ধানের দাম বেড়ে যাবে। তখন নতুন সংকট তৈরি হবে।
জেলা অটো ড্রায়ার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ধানের বাজারে। ফলে চালের দামও বেড়েছে।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসকিং মালিক সমিতি বাবুল আহম্মেদ বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে হঠাৎ বেড়ে গেছে ধানের দামও। ফলে চালকলমালিকেরা বাধ্য হয়ে বাড়তি দরে ধান কিনছেন। মূলত এরই প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। তিনি আরও বলেন, চালকল ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছা কিংবা কারসাজি করে চালের দাম বাড়াননি।
পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এবার ধানের বাজার চড়া হয়ে উঠেছে। এর প্রভাব পড়েছে চালের দরেও। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের মণপ্রতি ১০০ টাকা আর চালের বস্তা (৫০ কেজি) ১৫০ টাকা বেড়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবেই ধান-চালের দাম বাড়ার কথা বলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ধান-চালের বাজার আরও অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।
জানা যায়, দেশের পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকার সবচেয়ে বড় ধানের মোকামে নরসিংদী, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেটসহ আশপাশের জেলা থেকে অধিকাংশ ব্যাপারী ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ট্রলারে করে ধান নিয়ে আসেন। এ ছাড়া মোকাম থেকে চালকল পর্যন্ত ধান পরিবহনে ব্যবহৃত হয় ট্রাক। সম্প্রতি দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এসব যানের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। ফলে ধান থেকে চাল তৈরিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আর সেই খরচ সমন্বয় করতে গিয়ে বাড়ানো হয়েছে ধানের দর। ফলে বেড়েছে চালের দামও।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এই মোকামে ৫০-৬০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হয়। এসব ধান জেলার চালকলগুলোতে যায়। চালকলগুলো থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে চাল সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে মোকামে বিআর-২৯ ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২১০ টাকায় এবং মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-৯৭০ টাকা দরে। অথচ দিন দশেক আগেও বিআর-২৯ ধান প্রতিমণ ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং মোটা ধান বিক্রি হয়েছে ৯১০ থেকে ৯২০ টাকা দামে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআর-২৮ জাতের চাল আগে দাম ছিল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) পাইকারিতে ২ হাজার ৪৫০ টাকা, সেটি বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা। অন্যদিকে বিআর-২৯ চাল ২ হাজার ৪০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ টাকায়।
ধান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা নিরুপায় হয়েই চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলমালিকেরা।
চাল ব্যবসায়ী শরীফ উদ্দিন জানান, পরিবহন খরচ বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই চালের বাজারে প্রভাব পড়েছে। সব ধরনের ধান-চালের দাম বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত।
হাসান ইমরান নামের আরেক চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘ট্রাক ধর্মঘটের কারণে ভাড়া বাড়ানোর সময়ই আমরা বলেছিলাম, এর প্রভাব চালের বাজারে পড়বে। যদি জ্বালানি তেলের দাম কমে, তাহলে বাজারদর কমতে পারে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসকিং মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মিয়া জানান, ট্রাকের ভাড়া বাড়লে এর প্রভাব পড়বে চালের বাজারে। কারণ, পরিবহন খরচ বাড়লে গড়ে ধানের দাম বেড়ে যাবে। তখন নতুন সংকট তৈরি হবে।
জেলা অটো ড্রায়ার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে ধানের বাজারে। ফলে চালের দামও বেড়েছে।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসকিং মালিক সমিতি বাবুল আহম্মেদ বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে হঠাৎ বেড়ে গেছে ধানের দামও। ফলে চালকলমালিকেরা বাধ্য হয়ে বাড়তি দরে ধান কিনছেন। মূলত এরই প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। তিনি আরও বলেন, চালকল ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছা কিংবা কারসাজি করে চালের দাম বাড়াননি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪