আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পাশে নির্মিত হচ্ছে স্টিল রাইস সাইলো। গত বছরের এপ্রিলে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে খাদ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধল মহামারি করোনা। এই মহামারির প্রভাবে নির্মাণকাজে চলে আসে ধীরগতি। তবে আশার খবর হচ্ছে, দুই মাস ধরে গতি ফিরেছে এই সাইলো নির্মাণকাজে। ইতিমধ্যে কাজের তিন-চতুর্থাংশ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য সংরক্ষণ, মজুত পর্যাপ্ত ও মজবুত করতে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের মধ্যে পাঁচটি এলাকায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। আর এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জে নির্মিত হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক স্টিল সাইলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৩ এপ্রিল এই সাইলো নির্মাণকাজের শেষ সময় ছিল। করোনায় নানা জটিলতার কারণে কাজে ধীরগতি আসে। এতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রেজাউল করিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সাইলো নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রথম দিকে করোনার প্রকোপসহ নানামুখী সমস্যায় নির্ধারিত সময়ে (২০২০ সালের ৩ এপ্রিল) প্রকল্পটি শেষ করা যায়নি। দ্বিতীয় ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে সেই সময়ের মধ্যে এটি চালু করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে রেজাউল শেখ বলেন, এই প্রকল্পটি শুধু আশুগঞ্জের জন্য না। একসঙ্গে আরও কয়েক জায়গায় এই ধরনের প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে আশুগঞ্জ প্রকল্পে সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি।
জানা গেছে, এই সাইলোটি ৩০টি বিনে গঠিত হচ্ছে। প্রতিটি সাইলো বিনের ধারণক্ষমতা ৩৫ হাজার টন। এতে কীটনাশক ছাড়া আধুনিক স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় দুই বছর চাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সংরক্ষিত এসব চাল ৫০ কেজির বস্তা ও ৫ কেজির প্যাকেটে দেশের বিভিন্ন এলএসডি ও সিএএসডিতে পাঠানো হবে। চাল প্যাকেট ও বস্তাবন্দী করতে প্রকল্পে থাকছে প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ টন স্পিডের বেল্ট কনভেয়িং ও চেইন কনভেয়িং সিস্টেম; যা প্রতি ঘণ্টায় স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ৫০ কেজির ৮০০ এবং ৫ কেজির ৯ হাজার ৬০০ প্যাকেট তৈরি করতে সক্ষম। ৫ কেজির প্যাকেটে যে চাল রাখা হবে, তাতে পুষ্টি উপাদান মিশ্রিত করে ফার্টিফাইট রাইস হিসেবে সরবরাহ করা হবে।
এ সাইলোতে প্রায় স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় চাল সংরক্ষণ, ব্যাগিং ও লোডিং-আনলোডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। অপারেটর নিজ কক্ষে বসে প্রতিটি সাইলো বিনের তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। ফলে সঠিক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আধুনিক স্টিল রাইস সাইলোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে।
এ ছাড়া নদীপথে চাল পরিবহনে রয়েছে ঘণ্টায় ১২০ টন স্পিডে লোডিং সিস্টেম। এখানকার ৭৬ ভাগ চাল দেশের বিভিন্ন এলএসডিতে এবং ২৪ ভাগ নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল সাইলোতে পাঠানো হবে।
খাদ্য বিভাগ ও চাতালের মালিকদের দাবি, নতুন স্টিল সাইলোটি চালু হলে দেশের খাদ্য মজুত যেমন মজবুত হবে, তেমনি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে খাদ্যপণ্যের মান ও পুষ্টি। এ ছাড়া বিভিন্ন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানও বেগবান হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বপন বলেন, আশুগঞ্জ দেশের অন্যতম বৃহত্তম চাল উৎপাদন কেন্দ্র। সরকার প্রতি মৌসুমে এখান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল সংগ্রহ করে। বর্তমান আশুগঞ্জ খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা অনেক কম হওয়ায় লোডিং-আনলোডিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এতে করে ধান-চাল সংগ্রহের কাজ হয় ধীরগতিতে। নতুন স্টিল সাইলোটি চালু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। ফলে বেগবান হবে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান।
৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পাশে নির্মিত হচ্ছে স্টিল রাইস সাইলো। গত বছরের এপ্রিলে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে খাদ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধল মহামারি করোনা। এই মহামারির প্রভাবে নির্মাণকাজে চলে আসে ধীরগতি। তবে আশার খবর হচ্ছে, দুই মাস ধরে গতি ফিরেছে এই সাইলো নির্মাণকাজে। ইতিমধ্যে কাজের তিন-চতুর্থাংশ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য সংরক্ষণ, মজুত পর্যাপ্ত ও মজবুত করতে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের মধ্যে পাঁচটি এলাকায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। আর এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জে নির্মিত হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক স্টিল সাইলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৩ এপ্রিল এই সাইলো নির্মাণকাজের শেষ সময় ছিল। করোনায় নানা জটিলতার কারণে কাজে ধীরগতি আসে। এতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রেজাউল করিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সাইলো নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রথম দিকে করোনার প্রকোপসহ নানামুখী সমস্যায় নির্ধারিত সময়ে (২০২০ সালের ৩ এপ্রিল) প্রকল্পটি শেষ করা যায়নি। দ্বিতীয় ধাপে মেয়াদ বাড়িয়ে যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে সেই সময়ের মধ্যে এটি চালু করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ায় ব্যয় বেড়েছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে রেজাউল শেখ বলেন, এই প্রকল্পটি শুধু আশুগঞ্জের জন্য না। একসঙ্গে আরও কয়েক জায়গায় এই ধরনের প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে আশুগঞ্জ প্রকল্পে সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি।
জানা গেছে, এই সাইলোটি ৩০টি বিনে গঠিত হচ্ছে। প্রতিটি সাইলো বিনের ধারণক্ষমতা ৩৫ হাজার টন। এতে কীটনাশক ছাড়া আধুনিক স্বয়ংক্রিয় তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় দুই বছর চাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সংরক্ষিত এসব চাল ৫০ কেজির বস্তা ও ৫ কেজির প্যাকেটে দেশের বিভিন্ন এলএসডি ও সিএএসডিতে পাঠানো হবে। চাল প্যাকেট ও বস্তাবন্দী করতে প্রকল্পে থাকছে প্রতি ঘণ্টায় ৫০০ টন স্পিডের বেল্ট কনভেয়িং ও চেইন কনভেয়িং সিস্টেম; যা প্রতি ঘণ্টায় স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ৫০ কেজির ৮০০ এবং ৫ কেজির ৯ হাজার ৬০০ প্যাকেট তৈরি করতে সক্ষম। ৫ কেজির প্যাকেটে যে চাল রাখা হবে, তাতে পুষ্টি উপাদান মিশ্রিত করে ফার্টিফাইট রাইস হিসেবে সরবরাহ করা হবে।
এ সাইলোতে প্রায় স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় চাল সংরক্ষণ, ব্যাগিং ও লোডিং-আনলোডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। অপারেটর নিজ কক্ষে বসে প্রতিটি সাইলো বিনের তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। ফলে সঠিক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আধুনিক স্টিল রাইস সাইলোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে।
এ ছাড়া নদীপথে চাল পরিবহনে রয়েছে ঘণ্টায় ১২০ টন স্পিডে লোডিং সিস্টেম। এখানকার ৭৬ ভাগ চাল দেশের বিভিন্ন এলএসডিতে এবং ২৪ ভাগ নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল সাইলোতে পাঠানো হবে।
খাদ্য বিভাগ ও চাতালের মালিকদের দাবি, নতুন স্টিল সাইলোটি চালু হলে দেশের খাদ্য মজুত যেমন মজবুত হবে, তেমনি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে খাদ্যপণ্যের মান ও পুষ্টি। এ ছাড়া বিভিন্ন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানও বেগবান হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বপন বলেন, আশুগঞ্জ দেশের অন্যতম বৃহত্তম চাল উৎপাদন কেন্দ্র। সরকার প্রতি মৌসুমে এখান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল সংগ্রহ করে। বর্তমান আশুগঞ্জ খাদ্যগুদামের ধারণক্ষমতা অনেক কম হওয়ায় লোডিং-আনলোডিং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এতে করে ধান-চাল সংগ্রহের কাজ হয় ধীরগতিতে। নতুন স্টিল সাইলোটি চালু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। ফলে বেগবান হবে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫