এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
রাজশাহীর পুঠিয়ার লস্করপুর ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ নিয়ে পৃথক দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এদিকে আইনি জটিলতায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ আটজন শিক্ষক-কর্মচারীর শূন্যপদ পূরণ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। তার ওপর আগামী বছরের শুরুতে আরও চার-পাঁচটি বিভাগের শিক্ষক অবসরে যাবেন। কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, শিক্ষার ধারাবাহিকতা রাখতে শিগগির আইনি জটিলতা নিরসন করে শূন্যপদগুলো পূরণ করা হোক।
তানভীর হাসান নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, কলেজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর শিক্ষকেরা অবসরে চলে গেছেন। বর্তমানে ওই বিষয়গুলোতে নামমাত্র পাঠদান চলছে।
এ অবস্থায় শিগগির শূন্যপদগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের দাবি করেছেন কলেজের একাধিক শিক্ষক। শিক্ষকশূন্যতার দায় শিক্ষার্থীরা কেন বহন করবে—এ প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে সরকার সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। সেই তালিকায় নাম আসে পুঠিয়া লস্করপুর ডিগ্রি কলেজের। বিধি অনুযায়ী সব কাগজপত্র জমাও করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে কলেজের নিয়োগ স্থগিতসহ নানা বিধিনির্দেশনা আসে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই তৎকালীন সাংসদের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর ওই সাংসদ লস্করপুর ডিগ্রি কলেজের নাম জাতীয়করণ থেকে বাদ দিয়ে বানেশ্বর কলেজ অন্তর্ভুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লস্করপুর ডিগ্রি কলেজকে বাদ দিয়ে বানেশ্বর কলেজকে জাতীয়করণের নতুন সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। এরপর লস্করপুর কলেজকে জাতীয়করণ করতে আদালতে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলা দুটি চলমান।
লস্করপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন বলেন, এই কলেজকে জাতীয়করণ তালিকায় পুনর্বহাল করতে গত ২০১৭ সালে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তাজুল ও নজের আলী নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাইকোর্টে পৃথক দুটি মামলা করেন। সে সময় আদালত তিন মাসের মধ্যে এই কলেজকে জাতীয়করণ করতে নির্দেশনা দেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই রায়ের বিপরীতে আপিল করেছে, যা এখনো বিচারাধীন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরও বলেন, আইনি জটিলতা থাকায় ২০১৮ সালে কলেজের অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়। সেই সঙ্গে কলেজের হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, রসায়ন পদের শিক্ষকেরা অবসরে গেছেন। সেই সঙ্গে একজন লাইব্রেরিয়ান ও একজন অফিস সহকারীর পদও শূন্য। আগামী বছরের শুরুতে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে। বর্তমানে এই কলেজের বিভিন্ন শাখায় মোট ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে শিক্ষকদের শূন্যপদগুলো এই মুহূর্তে পূরণ করা যাচ্ছে না। ফলে সামনের দিনে কলেজে পাঠদানে চরম ব্যাঘাত ঘটবে।
এ ব্যাপারে কলেজের পরিচালনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, অধ্যক্ষসহ গুরুতপূর্ণ বিভাগগুলোর শিক্ষক না থাকলে পাঠদানে কিছু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আইনি কিছু জটিলতা থাকার ফলে শূন্যপদগুলো এই মুহূর্তে পূরণ করা যাচ্ছে না। তবে আশা করা যাচ্ছে অচিরেই এই জটিলতার নিরসন হবে।
রাজশাহীর পুঠিয়ার লস্করপুর ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ নিয়ে পৃথক দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এদিকে আইনি জটিলতায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ আটজন শিক্ষক-কর্মচারীর শূন্যপদ পূরণ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। তার ওপর আগামী বছরের শুরুতে আরও চার-পাঁচটি বিভাগের শিক্ষক অবসরে যাবেন। কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, শিক্ষার ধারাবাহিকতা রাখতে শিগগির আইনি জটিলতা নিরসন করে শূন্যপদগুলো পূরণ করা হোক।
তানভীর হাসান নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, কলেজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর শিক্ষকেরা অবসরে চলে গেছেন। বর্তমানে ওই বিষয়গুলোতে নামমাত্র পাঠদান চলছে।
এ অবস্থায় শিগগির শূন্যপদগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের দাবি করেছেন কলেজের একাধিক শিক্ষক। শিক্ষকশূন্যতার দায় শিক্ষার্থীরা কেন বহন করবে—এ প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে সরকার সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে একটি করে কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। সেই তালিকায় নাম আসে পুঠিয়া লস্করপুর ডিগ্রি কলেজের। বিধি অনুযায়ী সব কাগজপত্র জমাও করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে কলেজের নিয়োগ স্থগিতসহ নানা বিধিনির্দেশনা আসে। এর কয়েক দিনের মধ্যেই তৎকালীন সাংসদের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর ওই সাংসদ লস্করপুর ডিগ্রি কলেজের নাম জাতীয়করণ থেকে বাদ দিয়ে বানেশ্বর কলেজ অন্তর্ভুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লস্করপুর ডিগ্রি কলেজকে বাদ দিয়ে বানেশ্বর কলেজকে জাতীয়করণের নতুন সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। এরপর লস্করপুর কলেজকে জাতীয়করণ করতে আদালতে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলা দুটি চলমান।
লস্করপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন বলেন, এই কলেজকে জাতীয়করণ তালিকায় পুনর্বহাল করতে গত ২০১৭ সালে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম তাজুল ও নজের আলী নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাইকোর্টে পৃথক দুটি মামলা করেন। সে সময় আদালত তিন মাসের মধ্যে এই কলেজকে জাতীয়করণ করতে নির্দেশনা দেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই রায়ের বিপরীতে আপিল করেছে, যা এখনো বিচারাধীন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরও বলেন, আইনি জটিলতা থাকায় ২০১৮ সালে কলেজের অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়। সেই সঙ্গে কলেজের হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, রসায়ন পদের শিক্ষকেরা অবসরে গেছেন। সেই সঙ্গে একজন লাইব্রেরিয়ান ও একজন অফিস সহকারীর পদও শূন্য। আগামী বছরের শুরুতে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য হবে। বর্তমানে এই কলেজের বিভিন্ন শাখায় মোট ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে শিক্ষকদের শূন্যপদগুলো এই মুহূর্তে পূরণ করা যাচ্ছে না। ফলে সামনের দিনে কলেজে পাঠদানে চরম ব্যাঘাত ঘটবে।
এ ব্যাপারে কলেজের পরিচালনা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, অধ্যক্ষসহ গুরুতপূর্ণ বিভাগগুলোর শিক্ষক না থাকলে পাঠদানে কিছু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আইনি কিছু জটিলতা থাকার ফলে শূন্যপদগুলো এই মুহূর্তে পূরণ করা যাচ্ছে না। তবে আশা করা যাচ্ছে অচিরেই এই জটিলতার নিরসন হবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫