Ajker Patrika

একেকটি দেয়াল যেন ক্যানভাস

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ২৩
একেকটি দেয়াল যেন ক্যানভাস

বিজয়ের ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে শিশুদের সঙ্গে দেয়ালচিত্র অঙ্কন করলেন মুক্তিযোদ্ধারা। এই আয়োজনে শিশুরা যেমন উচ্ছ্বাসিত তেমনি আনন্দিত রণাঙ্গনের নায়ক মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে এই আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, রংতুলি হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শিশুরা নানা রঙে রাঙাচ্ছে স্টেডিয়ামের ভেতরের দেয়াল। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্রকর্ম, প্রাণ-প্রকৃতি, গ্রামীণ দৃশ্যসহ নানা দৃশ্য দেয়ালে ফুটিয়ে তোলেন। স্টেডিয়ামের দেয়াল যেন ক্যানভাস।

ছোট ছোট শিশুরা দেয়ালচিত্র আঁকতে গিয়ে নিজেদের কাপড় ও শরীরেও রঙের প্রলেপ লাগিয়ে ফেলেন। কেউ আঁকছিলেন জাতীয় পতাকা, কেউ নৌকা কেউবা যুদ্ধকালীন চিত্র। রংতুলির আঁচড়ে দেয়ালচিত্রে ফুটে উঠছে বাংলাদেশের ইতিহাস। বিশাল এই দেয়ালচিত্র গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের নান্দনিক উপস্থাপনও বলা চলে।

পূর্বসূরী ও উত্তরসূরিদের রং-তুলির অন্যান্য কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার মীর নাহিদ আহসান। উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও জেলা প্রশাসন এর কর্মকর্তারা।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহিয়া তাবাসসুম ইসলাম বলে, ‘সত্যিই অন্য রকম এক অনুভূতি কাজ করছে। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে একসঙ্গে দেয়ালচিত্র আঁকতে পেরে ভালো লাগছে। তাঁরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, রংতুলি হাতে নিয়ে আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন চিত্রকর্ম এঁকেছেন। এ স্মৃতি সারা জীবন থাকবে।’

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুহিত টুটু বলেন, ‘অস্ত্র হাতে নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছি। আজ শিশুদের সঙ্গে দেয়ালচিত্র আঁকতে গিয়ে সেই যুদ্ধদিনের স্মৃতি মনে পড়ল। স্বাধীন দেশে শিশুরা আঁকছে জাতীয় পতাকা, গ্রামের অপরূপ দৃশ্য, সত্যিই ভালো লাগছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লাল সবুজের বাংলাদেশ বুকে ধারণ করছে দেখে।’

জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদদীন মাসুদ বলেন, শিশুদের জন্য এ উদ্যোগ একটি ব্যতিক্রমী ও প্রশংসনীয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে চিত্রকর্মগুলো শিশুদের স্মৃতির মণিকোঠায় থাকবে।

জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘বিজয়ের ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে শিশুদের মেলবন্ধন ও তাদের সঙ্গে স্মরণীয় একটা মুহূর্ত ধরে রাখার জন্য আমাদের এ আয়োজন। শিশুরা সারা জীবন মনে রাখবে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের এ কর্মযজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত