Ajker Patrika

ডিমলায় তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে ফসল

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৪৭
ডিমলায় তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে ফসল

উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী ডিমলায় বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। অসময়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলে সহস্রাধিক একর জমিতে উঠতি মরিচ, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, গম, তামাক ও ভুট্টা খেত পানিতে তলিয়ে যায়। এদিকে নদীর পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য তিস্তা ব্যারেজের বন্ধ ৪৪টি গেটের মধ্যে ৮টি গেট খুলে দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা আজকের পত্রিকাকে জানান, উজানের ঢলে গত চার দিনে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে সাত হাজার কিউসেক পানি রয়েছে। যা চৈত্র মাসের এ সময়ে এত পরিমাণ পানি নদীতে থাকে না। এর মধ্যে ১১০০ কিউসেক পানি সেচ প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ইরি-বোরো খেতে পানি জমে থাকায় এবং সেচের কাজে পানি কম ব্যবহার হওয়ায় ব্যারেজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে উজানের স্রোতোধারায় পানি প্রবেশ করছে হু-হু করে। যা দ্রুত তিস্তা ব্যারাজের খুলে দেওয়া ৮টি গেট দিয়ে চলে যাচ্ছে ভাটির দিকে। গত কয়েক দিন আগেও যে নদীর বুকে ধু-ধু বালুচর দেখা গিয়েছিল, তা এখন পানিতে ভরে গিয়ে নদী টইটম্বুর হয়ে পড়েছে।

ডিমলা খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামতের চরের পেঁয়াজ চাষি হেলাল মিয়া জানান, চৈত্র মাসে তিস্তায় পানি সংকট থাকে। এ সময় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করে চরবাসী। গত তিন দিন থেকে বন্যার মতো পানি বইছে তিস্তা নদীতে। এতে তাঁর এক একর জমিতে উঠতি পেঁয়াজ খেত দুই দিন থেকে পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, ‘চরের অনেক কৃষকের মরিচ, পেঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, তামাক ও ভুট্টা খেত এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, তিস্তায় পানি বাড়ায় নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে আবাদ করা কিছু ফসল পানিতে ডুবেছে। তবে ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় উজানের পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে। শুকনো মৌসুম ও পানি নেমে যাওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বরং কিছু ফসলের উপকার হবে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, কৃষকদের ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত