শামিমুজ্জামান, খুলনা
ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে চালের দাম বেড়েছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় খুলনার ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এদিকে গত ১০ দিনের ব্যবধানে খুলনার খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে খুলনা ও সাতক্ষীরার ২৫ আমদানিকারককে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। পশ্চিমবঙ্গের কালনা ও বর্ধমান থেকে প্রতিবছর এসব চাল আমদানি করা হয়। চাল আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ২৫ শতাংশ। তবে ডলারের দাম বাড়ায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এতে খুলনার অনেকেই চাল আমদানি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
রাজলক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজের পরিচালক গোপাল সাহা জানান, ১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমদানিতে তাঁর আগ্রহ কম। কারণ হিসেবে তিনি ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কথা জানান। তা ছাড়া ভারতে চালের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চালের ট্যাক্স দিতে হয়। খুলনার বাজার পর্যন্ত ভালো মানের চিকন মিনিকেট চাল আনতে ৬৫ টাকার ওপরে খরচ পড়বে। স্থানীয় বাজারে এর থেকে আরও বেশি দরে বিক্রি হবে, যা স্থানীয় বাজারের তুলনায় অনেক বেশি।
গোপাল সাহা আরও জানান, গতবার অনুমতি পাওয়া প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ছিল মোটা চাল ৩৬০ ডলার ও চিকন ৪২৫ ডলার। এবার তা বেড়ে ৪৯০ ডলারে পৌঁছেছে। তাই লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করবে না।
কাজী সোবহান ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক সুজন কাজী বলেন, দেশে চালের কোনো সংকট নেই, কিন্তু ব্যবসায়ীরা সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকার চাল আমদানির ঘোষণা না দিলে চালের বাজার আরও বেড়ে যেত। তা ছাড়া ভারতে চালের দাম বেড়েছে। গেল বছর ডলারের দাম ছিল ৮৬ দশমিক ৭৫ টাকা, বর্তমানে তা প্রায় ৯৫ টাকা। ডলারের অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। ডলারের দাম ও চালের মূল্য না কমলে তিনি চাল আমদানি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
সুজন কাজী আরও বলেন, ভারত থেকে এলসির চাল আনতে ২০ দিনের বেশি সময় লাগে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও কালনা থেকে পেট্রাপোল হয়ে ট্রাকে করে বাংলাদেশে আসতে ১২ ঘণ্টার অধিক সময় লাগে। এ ছাড়া চাল ট্রাক থেকে আনলোড করতে আরও সময় লাগে। তখন খরচও বেড়ে যায়। তাই ট্যাক্স, পরিবহন খরচসহ চাল আনতে তাঁর লোকসান হবে। এই ভেবে তিনিও চাল আমদানি করবেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গত ১০ দিনের ব্যবধানে খুলনায় মোটা, মাঝারি, চিকন, চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মোটা ৪৬ থেকে ৫২, মাঝারি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, চিকন ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে খুলনার শেখ পাড়া বাজারের মো. আবদুল আজিজ বলেন, পরিবহন খরচের কারণে চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে খুলনা জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, গত ১০ দিনের ব্যবধানে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা পরিবহন খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত মনিটরিং চলছে বলে তিনি জানান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসের বলেন, একজন আমদানিকারক চাল আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন। তবে চাল এনেছেন কি না জানা নেই।
ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে চালের দাম বেড়েছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় খুলনার ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এদিকে গত ১০ দিনের ব্যবধানে খুলনার খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে খুলনা ও সাতক্ষীরার ২৫ আমদানিকারককে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। পশ্চিমবঙ্গের কালনা ও বর্ধমান থেকে প্রতিবছর এসব চাল আমদানি করা হয়। চাল আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ২৫ শতাংশ। তবে ডলারের দাম বাড়ায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এতে খুলনার অনেকেই চাল আমদানি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
রাজলক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজের পরিচালক গোপাল সাহা জানান, ১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাঁর প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমদানিতে তাঁর আগ্রহ কম। কারণ হিসেবে তিনি ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কথা জানান। তা ছাড়া ভারতে চালের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চালের ট্যাক্স দিতে হয়। খুলনার বাজার পর্যন্ত ভালো মানের চিকন মিনিকেট চাল আনতে ৬৫ টাকার ওপরে খরচ পড়বে। স্থানীয় বাজারে এর থেকে আরও বেশি দরে বিক্রি হবে, যা স্থানীয় বাজারের তুলনায় অনেক বেশি।
গোপাল সাহা আরও জানান, গতবার অনুমতি পাওয়া প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ছিল মোটা চাল ৩৬০ ডলার ও চিকন ৪২৫ ডলার। এবার তা বেড়ে ৪৯০ ডলারে পৌঁছেছে। তাই লোকসানের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করবে না।
কাজী সোবহান ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক সুজন কাজী বলেন, দেশে চালের কোনো সংকট নেই, কিন্তু ব্যবসায়ীরা সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। সরকার চাল আমদানির ঘোষণা না দিলে চালের বাজার আরও বেড়ে যেত। তা ছাড়া ভারতে চালের দাম বেড়েছে। গেল বছর ডলারের দাম ছিল ৮৬ দশমিক ৭৫ টাকা, বর্তমানে তা প্রায় ৯৫ টাকা। ডলারের অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। ডলারের দাম ও চালের মূল্য না কমলে তিনি চাল আমদানি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
সুজন কাজী আরও বলেন, ভারত থেকে এলসির চাল আনতে ২০ দিনের বেশি সময় লাগে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান ও কালনা থেকে পেট্রাপোল হয়ে ট্রাকে করে বাংলাদেশে আসতে ১২ ঘণ্টার অধিক সময় লাগে। এ ছাড়া চাল ট্রাক থেকে আনলোড করতে আরও সময় লাগে। তখন খরচও বেড়ে যায়। তাই ট্যাক্স, পরিবহন খরচসহ চাল আনতে তাঁর লোকসান হবে। এই ভেবে তিনিও চাল আমদানি করবেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গত ১০ দিনের ব্যবধানে খুলনায় মোটা, মাঝারি, চিকন, চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মোটা ৪৬ থেকে ৫২, মাঝারি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, চিকন ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে খুলনার শেখ পাড়া বাজারের মো. আবদুল আজিজ বলেন, পরিবহন খরচের কারণে চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে খুলনা জেলা বাজার কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, গত ১০ দিনের ব্যবধানে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা পরিবহন খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত মনিটরিং চলছে বলে তিনি জানান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসের বলেন, একজন আমদানিকারক চাল আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন। তবে চাল এনেছেন কি না জানা নেই।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫