Ajker Patrika

বিবেক-বুদ্ধির সঠিক ব্যবহার

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১৮: ০৪
Thumbnail image

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মাখলুক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। যারা আল্লাহর জ্ঞানে আলোকিত, তারা সর্বদা সত্য-মিথ্যা ও ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বুঝতে পারেন। অপরদিকে যারা আল্লাহর জ্ঞানে আলোকিত নয়, তারা সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কেও সম্যক অবহিত নয়। আল্লাহ বলেন, ‘বলুন, অন্ধ ও দৃষ্টিমান ব্যক্তি কি সমান হতে পারে? নাকি অন্ধকার ও আলো সমান হতে পারে?’ (সুরা রাদ: ১৬)

যারা বিবেক থাকার পরেও তা কাজে লাগায় না, কান থাকার পরেও শোনে না, মুখ থাকার পরেও হক কথা বলতে পারে না, তারা চতুষ্পদ জন্তুর সঙ্গে তুলনীয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে। তাদের রয়েছে অন্তর, তা দিয়ে তারা বোঝে না, তাদের রয়েছে চোখ, তা দিয়ে তারা দেখে না এবং তাদের রয়েছে কান, তা দিয়ে তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো; বরং তারা অধিক পথভ্রষ্ট। তারাই হচ্ছে গাফেল।’ (সুরা আরাফ: ১৭৯)।

বিবেককে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার কারণে আল্লাহ তাদের অন্ধ করে তুলবেন। তিনি বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি এখানে অন্ধ সে আখিরাতেও অন্ধ এবং অধিকতর পথভ্রষ্ট।’ (সুরা ইসরা: ৭২) তাদের অন্তর সত্য উপলব্ধি না করার কারণে তারা দেখতেও পায় না। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের এমন হৃদয় যা দিয়ে তারা উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান যা দিয়ে তারা শুনতে পারত। বস্তুত চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত হৃদয়।’ (সুরা হজ: ৪৬)

আখিরাতে মানুষ তাদের বিবেক-বুদ্ধির ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। তাই বিবেক-বুদ্ধিকে সঠিক পথে ব্যবহার করা প্রতিটি মানুষের একান্ত কর্তব্য।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত