সম্পাদকীয়
ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে যখন গুলি চলল ছাত্রদের ওপর, তখন ডা. জোহরা বেগম কাজী ছিলেন মেডিকেল কলেজের সামনে। খুবই কৃতী এই চিকিৎসক ১৯৩৫ সালে ‘লেডি হার্ডিং ফর উইমেন’ কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। পেয়েছিলেন ভাইসরয় পদক। ১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক সার্জন পদে যোগ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সকালবেলায় হয়েছিল ছাত্র সমাবেশ। আগের দিন যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, তা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ দশজনি মিছিলগুলো থেকে গ্রেপ্তার করতে শুরু করে। এ সময় পুলিশের নির্মম অত্যাচার শুরু হলে শিক্ষার্থীরা আশ্রয় নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে, যা তখন ব্যারাক নামে পরিচিত ছিল।
ডা. জোহরা বেগম কাজী মেডিকেল ব্যারাকের সামনে মৃতদেহ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। বেলা ৩টার দিকে পুলিশ গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল। মৃতদেহ দেখে জোহরা কাজীর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকে জল। তিনি দৌড়ে যান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে। তাঁকে পুলিশি হামলার নির্মম দৃশ্য দেখান। সে সময় হাসপাতালে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়।
হাসপাতালের পরিস্থিতি তখন অস্বাভাবিক। মাথা ঠান্ডা করে জোহরা কাজী আহতদের চিকিৎসাসেবায় মন দেন। সেই বিভীষিকার সময় স্বজনদের আর্তচিৎকার, আতঙ্কিত মানুষের এলোপাতাড়ি ছোটাছুটিতে জায়গাটা পরিণত হয় নরকে।
জোহরা বেগম কাজী দেখলেন, হাসপাতালে সার্জারির রোগীই বেশি। গুলিবর্ষণের ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের অনেকের শরীরে ছোটখাটো অপারেশন করে ছেড়ে দিলেন তিনি। কারও কারও ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে বিদায় দিলেন। আর অনেকের শরীর থেকে অপারেশন করে বুলেট বের করেছেন। সেদিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা সব ডাক্তার ও নার্স সর্বাত্মক সাহায্য করেছেন ছাত্রদের। জোহরা কাজী নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারা রাত কাজ করেছিলেন।
সূত্র: এম আর মাহবুব সম্পাদিত ভাষাসংগ্রামের স্মৃতি, পৃষ্ঠা ৩২-৩৩
ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে যখন গুলি চলল ছাত্রদের ওপর, তখন ডা. জোহরা বেগম কাজী ছিলেন মেডিকেল কলেজের সামনে। খুবই কৃতী এই চিকিৎসক ১৯৩৫ সালে ‘লেডি হার্ডিং ফর উইমেন’ কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন। পেয়েছিলেন ভাইসরয় পদক। ১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক সার্জন পদে যোগ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সকালবেলায় হয়েছিল ছাত্র সমাবেশ। আগের দিন যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, তা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ দশজনি মিছিলগুলো থেকে গ্রেপ্তার করতে শুরু করে। এ সময় পুলিশের নির্মম অত্যাচার শুরু হলে শিক্ষার্থীরা আশ্রয় নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে, যা তখন ব্যারাক নামে পরিচিত ছিল।
ডা. জোহরা বেগম কাজী মেডিকেল ব্যারাকের সামনে মৃতদেহ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। বেলা ৩টার দিকে পুলিশ গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল। মৃতদেহ দেখে জোহরা কাজীর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকে জল। তিনি দৌড়ে যান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে। তাঁকে পুলিশি হামলার নির্মম দৃশ্য দেখান। সে সময় হাসপাতালে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়।
হাসপাতালের পরিস্থিতি তখন অস্বাভাবিক। মাথা ঠান্ডা করে জোহরা কাজী আহতদের চিকিৎসাসেবায় মন দেন। সেই বিভীষিকার সময় স্বজনদের আর্তচিৎকার, আতঙ্কিত মানুষের এলোপাতাড়ি ছোটাছুটিতে জায়গাটা পরিণত হয় নরকে।
জোহরা বেগম কাজী দেখলেন, হাসপাতালে সার্জারির রোগীই বেশি। গুলিবর্ষণের ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের অনেকের শরীরে ছোটখাটো অপারেশন করে ছেড়ে দিলেন তিনি। কারও কারও ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে বিদায় দিলেন। আর অনেকের শরীর থেকে অপারেশন করে বুলেট বের করেছেন। সেদিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকা সব ডাক্তার ও নার্স সর্বাত্মক সাহায্য করেছেন ছাত্রদের। জোহরা কাজী নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারা রাত কাজ করেছিলেন।
সূত্র: এম আর মাহবুব সম্পাদিত ভাষাসংগ্রামের স্মৃতি, পৃষ্ঠা ৩২-৩৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫