Ajker Patrika

মহাসড়ক দখল করে ট্রাকস্ট্যান্ড, চাঁদাবাজি

জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২২, ০৮: ৩৬
মহাসড়ক দখল করে  ট্রাকস্ট্যান্ড, চাঁদাবাজি

এমনিতেই ভাঙাচোরা সড়ক, সেই সড়কের বেশির ভাগ দখল করে বানানো হয়েছে পরিবহনের স্ট্যান্ড। এ ছাড়া সবজি ও মাছ বাজারের ময়লা-আবর্জনায় সড়কের বিশাল একটি অংশ ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থানার সামনে থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত চোখে পড়ে এ চিত্র। আর সড়কে রাখা পরিবহন থেকে একটি চক্র নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার সামনে থেকে হানিফ ফ্লাইওভারের বাম পাশ দিয়ে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এটি খুবই ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি কোথাও ৪০, কোথাও প্রায় ৬০ ফুট পর্যন্ত চওড়া। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার যানবাহন। কিন্তু সড়কটির যাত্রাবাড়ী থানার সামনে থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভাঙাচোরা। সেই সঙ্গে পিকআপ ভ্যান, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক রেখে অর্ধেকের বেশি দখল করে রাখা হয়েছে। এমনকি যাত্রাবাড়ী থানার সামনেই প্রধান সড়ককে ডাম্পিং হিসেবে ব্যবহার করছে থানা কর্তৃপক্ষ। শুধু তা-ই নয়, সকাল থেকেই সড়কে বসে মাছসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজার। বাজারের ময়লা ফেলায় সড়কের অনেকটা অংশ ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কটি সরু হওয়ায় প্রায়ই লেগে থাকে যানজট। ধীর গতিতে চলে যানবাহন। ঢাকা-কুমিল্লা চলাচলকারী তিশা পরিবহনের চালক জুয়েল বলেন, এটি মহাসড়ক। কিন্তু ভাঙাচোরা হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন যানবাহন রাখায় সড়কটি সব সময় সংকীর্ণ হয়ে থাকে। লেগুনাচালক রহিম বলেন, অনেক দিন ধরে সড়কটির করুণ অবস্থা। আর বৃষ্টিতে খানাখন্দে পানি জমে একাকার হয়ে যায়। ফলে গাড়ি চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

চালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার পর থেকে কুতুবখালী মাছ বাজার পর্যন্ত সড়কে থাকে প্রায় ৪০০ পিকআপ ভ্যান, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। এখানে প্রতি গাড়ি থেকে প্রতি মাসে আদায় করা হয় এক হাজার থেকে দুই হাজার করে টাকা। ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের এলাকায় চলাচলের জন্য এক হাজার ও আন্তজেলা চলাচলের জন্য দুই হাজার টাকা করে নিয়ে থাকে ঢাকা জেলা ট্রাক (মিনি ট্রাক) ট্যাংক লরি কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি।

এ ছাড়া নতুন করে কেউ গাড়ি রাখতে চাইলে গাড়িপ্রতি এককালীন দিতে হয় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে এখানে গাড়ি থেকে পণ্য আনলোড করলেও মালিক সমিতিকে ৫০ ও ঢাকা জেলা ট্রাক লরি কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নকে দিতে হয় ৩০ টাকা। মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘এখানে পরিবহনের স্থায়ী স্ট্যান্ড করার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।’ তবে চাঁদা বা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। দায়িত্বরত ট্রাফিকের প্যাট্রল ইন্সপেক্টর নুরুজ্জামান মল্লিক বলেন, ‘আমরা এসব নিয়ে কাজ করছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত