বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ডলার সংকট কোনোমতেই কাটছে না। এই সংকটে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে অর্থনীতি-মানুষের জীবন। ব্যাহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন। ব্যবসায়ীরা দরকারি পণ্যের ঋণপত্রও খুলতে পারছেন না। তাই সরকারকে তাঁরা ডলারের জন্য চাপ দিচ্ছেন বিভিন্নভাবে। সরকার অবশ্য ডলার জোগানে মরিয়া। আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল দেশে অবস্থান করছে। তাদের কাছ থেকে ডলার পেতে চলছে চূড়ান্ত দর-কষাকষি।
জানা যায়, মার্কিন মুদ্রা ডলার একাই অর্থনীতির সব সূচককে অস্থিরতার মধ্যে রেখেছে। প্রায় এক বছর ধরে এর উত্তাপে পুড়ছে নিত্যপণ্যের বাজার। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অতি সতর্ক সরকার ডলারের মজুত ধরে রাখতে মরিয়া হয়েও একে এখনো স্থিতিশীল করতে পারেনি।
এরই মধ্যে ডলার সংকটে বন্ধ হয়ে যায় এলএনজি আমদানি। কয়লা কিনতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। গ্যাস-বিদ্যুৎ-ডিজেলের সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান কমাতে প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। গ্যাস, জ্বালানি, বিদ্যুৎ-সংকটে ধাক্কা লাগে শিল্পোৎপাদনে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। লোডশেডিংয়ের কারণে কেউ কেউ লোকসান ঠেকাতে বেশি দামে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন জারি রেখেছেন।
এদিকে, ঋণপত্র খোলায় কড়াকড়ির ফলে আমদানি কমে গেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে পুরো অর্থনীতিতে। ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তাঁদের কথায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, রপ্তানি কমে যাওয়ার আতঙ্ক। এর মধ্যে খবর এলো কয়লার সংকটে রামপালসহ আরও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। অর্থাৎ ডলার সংকটে কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে হয়েছে।
ডলার নিয়ে হাহাকারের মধ্যে রিজার্ভ কমে যখন ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে; তখন দেশে অবস্থান করছে আইএমএফের উচ্চপর্যায়ের মিশন। ঋণ পেতে চূড়ান্ত দর-কষাকষি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবে ৪৫ কোটি ডলারের প্রথম কিস্তি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামনে ডলারের মজুত বাড়লে এলএনজি আমদানি করা হতে পারে। তখন বেশি দামে তা শিল্পে সরবরাহ করা হবে। এমনই কথা শোনা যাচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল আর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সূত্র আরও জানায়, যেকোনো মূল্যে সরকার ডলারকে একটি নিরাপদ অবস্থানে রাখতে চায়। তাই খরচে কড়াকড়ি করা হয়েছে। ডলারের মজুত যে অবস্থানে আছে, তা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও স্থিতিশীল পর্যায়ে আসেনি। তাই সরকার ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে এখনো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ চূড়ান্ত করেনি। অথচ বিশ্ববাজারে এ জ্বালানির দাম অনেক কমে গেছে। কয়লার পেছনেও হাত খুলে খরচ করছে না সরকার। ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে। এখন সরকারের ভেতরে আলোচনা হচ্ছে এলএনজির দাম বাড়িয়ে সামনে এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে একদিকে দাম বাড়ানোর একটা সুফল সরকার পাবে, অন্যদিকে আইএমএফের ঋণের কিস্তি জমা হলে বাড়তি ডলার যোগ হবে।
আর ভারত থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানির প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে ডলারের পরিবর্তে রুপিতে লেনদেন করার বিষয়টিও অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে সরকার ডলারকে একদিকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে বাড়তি ডলার জোগানোর পথ সুগম করছে। রপ্তানি আর রেমিট্যান্স একটু একটু করে বাড়ছে।
আগামীতে যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ডলারের প্রবাহ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বড় বড় উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশ্বমন্দার সতর্কতার কথা বলছে। এমনকি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এসে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বাড়ানো কতটা সহজ হবে, এ নিয়েই চলছে আলোচনা।
গতকাল মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ডলার সংকটের কারণে চলতি হিসাবে ঘাটতি হয়েছে। তবে যে পরিস্থিতি ছিল, এখন সেটা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়বে। ফলে সংকট কমে যাবে।
ডলার সংকট কোনোমতেই কাটছে না। এই সংকটে পদে পদে হোঁচট খাচ্ছে অর্থনীতি-মানুষের জীবন। ব্যাহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন। ব্যবসায়ীরা দরকারি পণ্যের ঋণপত্রও খুলতে পারছেন না। তাই সরকারকে তাঁরা ডলারের জন্য চাপ দিচ্ছেন বিভিন্নভাবে। সরকার অবশ্য ডলার জোগানে মরিয়া। আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল দেশে অবস্থান করছে। তাদের কাছ থেকে ডলার পেতে চলছে চূড়ান্ত দর-কষাকষি।
জানা যায়, মার্কিন মুদ্রা ডলার একাই অর্থনীতির সব সূচককে অস্থিরতার মধ্যে রেখেছে। প্রায় এক বছর ধরে এর উত্তাপে পুড়ছে নিত্যপণ্যের বাজার। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অতি সতর্ক সরকার ডলারের মজুত ধরে রাখতে মরিয়া হয়েও একে এখনো স্থিতিশীল করতে পারেনি।
এরই মধ্যে ডলার সংকটে বন্ধ হয়ে যায় এলএনজি আমদানি। কয়লা কিনতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। গ্যাস-বিদ্যুৎ-ডিজেলের সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান কমাতে প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। গ্যাস, জ্বালানি, বিদ্যুৎ-সংকটে ধাক্কা লাগে শিল্পোৎপাদনে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। লোডশেডিংয়ের কারণে কেউ কেউ লোকসান ঠেকাতে বেশি দামে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন জারি রেখেছেন।
এদিকে, ঋণপত্র খোলায় কড়াকড়ির ফলে আমদানি কমে গেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে পুরো অর্থনীতিতে। ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তাঁদের কথায় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, রপ্তানি কমে যাওয়ার আতঙ্ক। এর মধ্যে খবর এলো কয়লার সংকটে রামপালসহ আরও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। অর্থাৎ ডলার সংকটে কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে হয়েছে।
ডলার নিয়ে হাহাকারের মধ্যে রিজার্ভ কমে যখন ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে; তখন দেশে অবস্থান করছে আইএমএফের উচ্চপর্যায়ের মিশন। ঋণ পেতে চূড়ান্ত দর-কষাকষি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবে ৪৫ কোটি ডলারের প্রথম কিস্তি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামনে ডলারের মজুত বাড়লে এলএনজি আমদানি করা হতে পারে। তখন বেশি দামে তা শিল্পে সরবরাহ করা হবে। এমনই কথা শোনা যাচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল আর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সূত্র আরও জানায়, যেকোনো মূল্যে সরকার ডলারকে একটি নিরাপদ অবস্থানে রাখতে চায়। তাই খরচে কড়াকড়ি করা হয়েছে। ডলারের মজুত যে অবস্থানে আছে, তা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও স্থিতিশীল পর্যায়ে আসেনি। তাই সরকার ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে এখনো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ চূড়ান্ত করেনি। অথচ বিশ্ববাজারে এ জ্বালানির দাম অনেক কমে গেছে। কয়লার পেছনেও হাত খুলে খরচ করছে না সরকার। ফলে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে। এখন সরকারের ভেতরে আলোচনা হচ্ছে এলএনজির দাম বাড়িয়ে সামনে এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে একদিকে দাম বাড়ানোর একটা সুফল সরকার পাবে, অন্যদিকে আইএমএফের ঋণের কিস্তি জমা হলে বাড়তি ডলার যোগ হবে।
আর ভারত থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আমদানির প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে ডলারের পরিবর্তে রুপিতে লেনদেন করার বিষয়টিও অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে সরকার ডলারকে একদিকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে বাড়তি ডলার জোগানোর পথ সুগম করছে। রপ্তানি আর রেমিট্যান্স একটু একটু করে বাড়ছে।
আগামীতে যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ডলারের প্রবাহ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফসহ বড় বড় উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশ্বমন্দার সতর্কতার কথা বলছে। এমনকি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এসে অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বাড়ানো কতটা সহজ হবে, এ নিয়েই চলছে আলোচনা।
গতকাল মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ডলার সংকটের কারণে চলতি হিসাবে ঘাটতি হয়েছে। তবে যে পরিস্থিতি ছিল, এখন সেটা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়বে। ফলে সংকট কমে যাবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪