Ajker Patrika

রামগড় স্থলবন্দরে ভূমি অধিগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ০৯
Thumbnail image

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের টাকা বিতরণের অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীকে বরখাস্ত এবং দুই ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত মাইকেল হালদার ও পিলিপস হালদার রামগড় পৌর শহরের দারোগাপাড়া এলাকার মৃত নিত্যানন্দ হালদারের ছেলে। এর সঙ্গে তাঁদের চাচাতো ভাই সায়মন হালদার যুক্ত বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কর্মচারী বীরুলাল চাকমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রামগড় পৌর শহরের মাইকেল ও পিলিপস হালদার জেলা প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৭ টাকা বেশি উত্তোলন করেছেন। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার কর্মচারী বীরুলাল চাকমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো. আলিম উল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাইকেল হালদার ও পিলিপস হালদার দুই ভাই। জেলা প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে তাঁরা অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করেছেন। এতে তাঁদের চাচাতো ভাই সায়মন হালদারের অংশ রয়েছে। বিষয়টি আমি নিজেই তদন্ত করছি। এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার কর্মচারী বীরুলাল চাকমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

৯ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো. আলিম উল্যাহর ইস্যু করা এক পত্রে মাইকেল হালদার ও পিলিপস হালদারকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৭ টাকা ৮৬ পয়সা সরকারি কোষাগারে জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বিধি মোতাবেক তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে পিলিপস হালদার বলেন, ‘আমরা আমাদের টাকা উত্তোলন করেছি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের একাধিকবার শুনানি হয়েছে।’ সায়মন হালদার বলেন, ‘রামগড় স্থলবন্দরের ভূমি অধিগ্রহণের ফলে আমাদের ন্যায্য পাওনার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত