রাহুল শর্মা, ঢাকা
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে গত বছর থেকে ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। এই পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকেরা। অথচ এখনো প্রশিক্ষণই পায়নি সব শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে নবম শ্রেণির প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষকের পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম’ প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে সারা দেশে শ্রেণিশিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, মাস্টার ট্রেইনারদের অনলাইন ও সরাসরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মাউশি সূত্র জানায়, এই প্রকল্পে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। নবম শ্রেণির শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ দিতে এখনো প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রস্তুত হয়নি। সে কারণে আটকে গেছে নবম শ্রেণির শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ।
নবম শ্রেণির শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়ে জটিলতার বিষয়টি উঠে এসেছে মাউশির ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাস্তব ও আর্থিক পর্যালোচনা সভায়। গত ২৯ এপ্রিল মাউশির সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয় ৬ মে। এতে সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, সভায় ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আলী বলেন, ‘অনুমোদিত প্রশিক্ষণ ক্যালেন্ডারে (জুন/ ২০২৪) প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপের ১৫ ধরনের অ্যাকটিভিটি রয়েছে। কিন্তু এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাউশি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ (এনসিটিবি) অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সঠিক সমন্বয় করতে না পারায় প্রশিক্ষণ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ ছাড়া ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম প্রকল্পের নানা সমস্যার কথাও তুলে ধরেন মাহফুজ আলী। তিনি জানান, এ মুহূর্তে ৩টি অ্যাকটিভিটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এগুলো হচ্ছে এনসিটিবির কর্মকর্তা, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দেড় লাখ শিক্ষকের প্রশিক্ষণ এবং ৫ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজ আলী গত শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এনসিটিবি বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ম্যানুয়াল তৈরির কাজও শেষের পথে। শিগগির ম্যানুয়াল হাতে পেয়ে যাব। জুনের মধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করার জন্য কার্যক্রম চলমান আছে।
দেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয় গত বছর। ওই বছর প্রথম ধাপে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এরপর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, প্রশিক্ষণ না পেলে নতুন শিক্ষাক্রম ক্লাসে বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ জন্য দ্রুততম সময়ে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি বছর নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। অথচ গত পাঁচ মাসেও এ শ্রেণির সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি দুঃখজনক। সব শিক্ষককে দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা উচিত।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, প্রশিক্ষণ না পেলে নতুন শিক্ষাক্রম ক্লাসে বাস্তবায়ন কোনোভাবে সম্ভব নয়। যাঁরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তাঁদেরও বড় অংশ সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছে না; যা এনসিটিবির গবেষণাতেই উঠে এসেছে। আর প্রশিক্ষণও হতে হবে মানসম্মত।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতা আনা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ কেউ বাদ থাকেন, তাঁদেরকে দ্রুততম সময়ে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।’
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে গত বছর থেকে ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। এই পরিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকেরা। অথচ এখনো প্রশিক্ষণই পায়নি সব শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে নবম শ্রেণির প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষকের পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত ‘ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম’ প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক পর্যায়ে সারা দেশে শ্রেণিশিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, মাস্টার ট্রেইনারদের অনলাইন ও সরাসরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মাউশি সূত্র জানায়, এই প্রকল্পে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। নবম শ্রেণির শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ দিতে এখনো প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রস্তুত হয়নি। সে কারণে আটকে গেছে নবম শ্রেণির শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ।
নবম শ্রেণির শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণ নিয়ে জটিলতার বিষয়টি উঠে এসেছে মাউশির ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাস্তব ও আর্থিক পর্যালোচনা সভায়। গত ২৯ এপ্রিল মাউশির সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয় ৬ মে। এতে সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, সভায় ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আলী বলেন, ‘অনুমোদিত প্রশিক্ষণ ক্যালেন্ডারে (জুন/ ২০২৪) প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপের ১৫ ধরনের অ্যাকটিভিটি রয়েছে। কিন্তু এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাউশি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ (এনসিটিবি) অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সঠিক সমন্বয় করতে না পারায় প্রশিক্ষণ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং ওয়ার্কশপ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ ছাড়া ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম প্রকল্পের নানা সমস্যার কথাও তুলে ধরেন মাহফুজ আলী। তিনি জানান, এ মুহূর্তে ৩টি অ্যাকটিভিটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এগুলো হচ্ছে এনসিটিবির কর্মকর্তা, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দেড় লাখ শিক্ষকের প্রশিক্ষণ এবং ৫ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজ আলী গত শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এনসিটিবি বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ম্যানুয়াল তৈরির কাজও শেষের পথে। শিগগির ম্যানুয়াল হাতে পেয়ে যাব। জুনের মধ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করার জন্য কার্যক্রম চলমান আছে।
দেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয় গত বছর। ওই বছর প্রথম ধাপে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এরপর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এসব শ্রেণিতে প্রণয়ন করা হয়েছে পাঠ্যবই।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, প্রশিক্ষণ না পেলে নতুন শিক্ষাক্রম ক্লাসে বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ জন্য দ্রুততম সময়ে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি বছর নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। অথচ গত পাঁচ মাসেও এ শ্রেণির সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি দুঃখজনক। সব শিক্ষককে দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা উচিত।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, প্রশিক্ষণ না পেলে নতুন শিক্ষাক্রম ক্লাসে বাস্তবায়ন কোনোভাবে সম্ভব নয়। যাঁরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, তাঁদেরও বড় অংশ সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছে না; যা এনসিটিবির গবেষণাতেই উঠে এসেছে। আর প্রশিক্ষণও হতে হবে মানসম্মত।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতা আনা হয়েছে। তারপরও যদি কেউ কেউ বাদ থাকেন, তাঁদেরকে দ্রুততম সময়ে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪