বরগুনা প্রতিনিধি
অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষক মনিকা রানী হালদারের মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহ প্রথমেই নেওয়া হয় বরগুনা পৌর শহরের গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন মনিকা রানী। প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী।
সেখানে গীতা পাঠ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফুলঝুরিতে নেওয়া হয়।
মনিকা রানী হালদারের স্বামী বঙ্কিম চন্দ্র মজুমদার বরগুনা সদরের ফুলঝুরি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনিও একই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মনিকা রানীর ছেলে বিকাশ জানান, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাঁর মাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে ২৫ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল চেকআপের জন্য সহকারী শিক্ষক মনিকা রানী হালদার গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ছুটি নিয়ে ঢাকায় যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে তারা স্বামী-স্ত্রী অভিযান-১০ লঞ্চে ফিরছিলেন। ২৪ ডিসেম্বর তাঁর বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল। বিদ্যালয়ে তিনি ঠিকই ফিরলেন, তবে লাশ হয়ে। তাঁর মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই শোকাহত।’
গগন মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী তপু, তানভীর ও জয় বলে, ‘ম্যাডাম আমাদের মায়ের মতো স্নেহ করতেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে মায়ের আচরণের মধ্য দিয়ে জ্ঞানার্জন করেছি। তাঁর মৃত্যুতে মর্মাহত ও ব্যথিত আমরা।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, মনিকা রানীর শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। প্রথম থেকেই তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ এসেছে বরগুনায়। এর মধ্যে ২৪ জনের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় তাদের গণকবরে দাফন করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত করে তাঁদের স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী অতিক্রমকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ এসেছে বরগুনায়।
এ ঘটনায় বরগুনা, ঝালকাঠি ও ঢাকায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় লঞ্চের মালিকসহ পাঁচজন কারাগারে রয়েছেন।
অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া স্কুলশিক্ষক মনিকা রানী হালদারের মরদেহ বরগুনায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহ প্রথমেই নেওয়া হয় বরগুনা পৌর শহরের গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন মনিকা রানী। প্রিয় শিক্ষকের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে অনেক শিক্ষার্থী।
সেখানে গীতা পাঠ এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফুলঝুরিতে নেওয়া হয়।
মনিকা রানী হালদারের স্বামী বঙ্কিম চন্দ্র মজুমদার বরগুনা সদরের ফুলঝুরি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনিও একই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মনিকা রানীর ছেলে বিকাশ জানান, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাঁর মাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে ২৫ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেডিকেল চেকআপের জন্য সহকারী শিক্ষক মনিকা রানী হালদার গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ছুটি নিয়ে ঢাকায় যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে তারা স্বামী-স্ত্রী অভিযান-১০ লঞ্চে ফিরছিলেন। ২৪ ডিসেম্বর তাঁর বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল। বিদ্যালয়ে তিনি ঠিকই ফিরলেন, তবে লাশ হয়ে। তাঁর মৃত্যুতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই শোকাহত।’
গগন মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী তপু, তানভীর ও জয় বলে, ‘ম্যাডাম আমাদের মায়ের মতো স্নেহ করতেন। আমরা তাঁর কাছ থেকে মায়ের আচরণের মধ্য দিয়ে জ্ঞানার্জন করেছি। তাঁর মৃত্যুতে মর্মাহত ও ব্যথিত আমরা।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, মনিকা রানীর শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। প্রথম থেকেই তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ এসেছে বরগুনায়। এর মধ্যে ২৪ জনের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় তাদের গণকবরে দাফন করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত করে তাঁদের স্বজনেরা নিয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী অতিক্রমকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মরদেহ এসেছে বরগুনায়।
এ ঘটনায় বরগুনা, ঝালকাঠি ও ঢাকায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় লঞ্চের মালিকসহ পাঁচজন কারাগারে রয়েছেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫