Ajker Patrika

ভাঙনঝুঁকিতে রাস্তা-বাড়ি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১২: ৪১
Thumbnail image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে থামছে না তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। হুমকিতে আবাদি জমিসহ রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। গত ছয় মাসে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১২ লাখ টাকা জরিমানা ও পাম্পসহ ২ হাজার ফুট পাইপ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সর্বশেষ গত সপ্তাহে কাপাসিয়ায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অপরাধে একটি বাল্কহেডের মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আল হাসান।

জানা যায়, উপজেলায় বালুমহাল না থাকায় তিস্তা নদী থেকে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। সম্প্রতি উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নে নির্মাণাধীন তিস্তা সোলার প্যানেল এবং তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী থেকে বালু উত্তোলন করে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় উপজেলা প্রশাসন কয়েক দফা পাম্পসহ মেশিন ও পাইপ জব্দ এবং জরিমানা করে।

ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বালু ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, ‘মানুষের বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য পরিত্যক্ত জমি লিজ নিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিলাম। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন কয়েক দফা প্রায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা ও পাম্পসহ মেশিন জব্দ করে। এর পর থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।’

পৌরসভার ঠিকাদার জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার জানান, নির্মাণকাজের জন্য বিভিন্ন গ্রেডের বালুর প্রয়োজন হয়। বরাদ্দে বালুর দাম ধরে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু সব বালু জেলার বাইরে থেকে আনতে হলে ঠিকাদারের লোকসান হবে।

সুন্দরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিন্দ্র নাথ মোদক জানান, যত্রতত্র বালু উত্তোলন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদ আল হাসান জানান, বালুমহাল ও ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ব্যক্তি নিজে তাঁর জমি থেকে বালু উত্তোলন করতে পারবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত