Ajker Patrika

শিশুপ্রহরে প্রাণ পেল মেলা

আবির হাকিম, ঢাকা
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮: ৪৪
শিশুপ্রহরে প্রাণ পেল মেলা

অবশেষে বইমেলায় চালু হলো শিশুপ্রহর। এবারের প্রথম শিশুপ্রহরে গতকাল সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে শিশু পাঠকদের পদচারণে। শুধু শিশুরাই নয়, ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল সব বয়সী পাঠক-দর্শনার্থীর ঢল নেমেছিল বইমেলায়।

প্রতিবছর শুক্র ও শনিবার সকালে শুধু শিশুদের জন্য বইমেলার কয়েক ঘণ্টা বরাদ্দ রাখার বিষয়টি রীতিমতো রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার আলাদা করে কোনো শিশুপ্রহর না রাখার সিদ্ধান্ত নেন আয়োজকেরা। এ নিয়ে অভিভাবক, প্রকাশক ও লেখকেরা অসন্তোষ জানিয়ে শিশুপ্রহর চালুর দাবি তোলেন। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মেলার ১১তম দিনে শিশুপ্রহর বহাল করা হয়।

সকালের দিকে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মা-বাবার হাত ধরে গুটিগুটি পায়ে মেলার মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে শিশুরা। স্টলে স্টলে ঘুরে বেছে নিচ্ছে নিজেদের পছন্দের বই। টুকটুকি-হালুমদের কাণ্ডকীর্তি দেখে সিসিমপুরের স্টলের সামনে শিশুদের উচ্ছ্বাস-কলরবে ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছিল মেলার মাঠে।

শিশুদের ভিড় দেখে হাসি ফুটেছে শিশুচত্বরে স্টল পাওয়া প্রকাশকদের ঠোঁটেও। ঝিঙেফুল-এর প্রকাশক আরাফাত খান বলেন, যা আশা করেছিলেন শিশুপ্রহরে তার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছেন। শিশুপ্রহরের কারণে অনেক অভিভাবকও মেলায় আসার উৎসাহ পেয়েছেন।

চিলড্রেন বুকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী জগলুল সরকার বলেন, বিক্রিই শেষ কথা নয়, যাঁরা শিশুদের বই প্রকাশ করেন এবং তাদের নিয়ে কাজ করেন; শিশুদের এমন উপস্থিতি তাঁদের জন্য এমনিতেই অনেক আনন্দদায়ক।

জোরালো হচ্ছে সময় বাড়ানোর দাবি: করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর বইমেলা হয়েছে স্বল্প মেয়াদে। এবারও মেলার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ দিন। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতি আপাতত সহনীয় পর্যায়ে থাকায় মাসব্যাপী মেলা করতে চান প্রকাশকেরা। মেলার শুরুর আগে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন, সংক্রমণ কমলে সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলার সময় বাড়াতে বাংলা একাডেমিকে চিঠি দিয়েছে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, এরই মধ্যে মেলার ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো সময় বাড়ানোর ঘোষণা না আসায় প্রকাশকেরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারছেন না।

আগামী প্রকাশনীর স্টল ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম বলেন, গত দুই বছর ঠিকভাবে মেলা করতে না পারায় প্রকাশকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার মেলার সময় বাড়িয়ে দিলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

নতুন বই: গতকাল ছুটির দিন উপলক্ষে মেলার দুয়ার খুলেছে বেলা ১১টায়। এদিন নতুন বই এসেছে ২৪৯টি।

বিকেল চারটায় মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বিদ্রোহী কবিতা ও ৭ই মার্চের ভাষণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর এবং অধ্যাপক রাশিদ আসকারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত