রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
জিরাফের মূল বাসস্থান আফ্রিকায়। তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী সে। দেখতে বিশাল, কিন্তু শান্ত স্বভাবের নিরীহ প্রাণী। চিড়িয়াখানা কিংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জিরাফ আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ঢুকলেই বনের মধ্যে লতাপাতা খেতে দেখা যায় বিশাল আকৃতির এই প্রাণীটিকে। দল বেঁধে সারিবদ্ধভাবে মুখ উঁচু করে খাবার খায়। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি টের পেলেই নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীর সঙ্গে দল বেঁধে থাকে। কর্ডাটা পর্বের স্তন্যপায়ী তৃণভোজী এই প্রাণীটির গায়ে আঁকাবাঁকা দাগ। পৃথিবীর লম্বা প্রাণী হিসেবে জিরাফের অবস্থান প্রথম। পূর্ণবয়স্ক একটি জিরাফ প্রায় ১৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
জিরাফের দৃষ্টিশক্তি প্রখর। বহুদূরের শত্রুকেও সহজে দেখতে পারে। আক্রমণের শিকার হলে জিরাফ ঘণ্টায় প্রায় ৫৬ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। জন্মের সময় একটি জিরাফ প্রায় ৬ ফুট লম্বা হয় এবং এর ওজন থাকে গড়ে ৬৮ কেজি। নিজের কান পরিষ্কারের জন্য জিরাফ তার লম্বা জিব ব্যবহার করে। শত্রুর মুখোমুখি হলে আক্রমণাত্মক হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক জিরাফকে সিংহ কিংবা অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী খুব সহজে আক্রমণ করতে চায় না। কারণ, জিরাফের লাথির আঘাত ভয় পায় হিংস্র প্রাণীরা। জিরাফের লাথির আঘাতে সিংহের মৃত্যুর রেকর্ডও রয়েছে।
নরসিংদী থেকে সাফারি পার্কে বেড়াতে এসে মনিরা কাজলী তো দারুণ উচ্ছ্বসিত। বললেন, ‘এত সহজে বিশাল আকৃতির এই প্রাণীটি দেখতে পেয়ে সব কষ্ট ভুলে গেছি। আজ প্রথম পরিবারের সবাই মিলে জিরাফ দেখলাম। সত্যি খুবই সুন্দর প্রাণীটি।’
শিশু সাবিহা বলল, ‘মায়ের মুখে জিরাফের গল্প শুনেছি। আজ বাস্তবে দেখলাম। সত্যি, জিরাফ গল্পের চেয়ে বেশি সুন্দর।’
জিরাফ মাঝেমধ্যে মাথা উঁচু করে বসে ঘুমায়। প্রকৃতিগতভাবেই জিরাফ লম্বা হওয়ায় বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। জল পান করা, ঘুমানো কিংবা দিনের বেলা বিশ্রামের সময় অন্তত একটি জিরাফ আশপাশে নজর রাখে শত্রুর উপস্থিতি জানানোর জন্য। খুব নিচু আওয়াজে এরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। খেলাধুলা করার সময় কিংবা খুব বেশি রাগান্বিত হলে পুরুষ জিরাফ মাঝেমধ্যে একে অন্যের সঙ্গে খুনসুটি করে থাকে, জানালেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান।
জিরাফকে এখানে অ্যাকাশিয়া গাছের পাতা, গজারি গাছের পাতাসহ বিভিন্ন দানাদার খাদ্য খেতে দেওয়া হয়। তার মধ্যে গমের ভুসি, ভুট্টাদানা, সবজির মধ্যে গাজর, বরবটি এবং লতাপাতা খায় জিরাফ।
জিরাফ উটের মতো জল না পান করে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দিতে পারে। টানা সাত দিন জল না খেলেও কোনো সমস্যা হয় না। গাছের পাতায় যে জল থাকে, তা দিয়েই চাহিদা মিটে যায়। জিরাফ গর্ভধারণে সময় নেয় ১৫-১৬ মাস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক মো. তবিবুর রহমানের কাছ থেকে জানা যায়, সাফারি পার্কে শুধু তিনটি মাদি জিরাফ রয়েছে। পুরুষ জিরাফ না থাকায় জিরাফ পরিবারের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না। ঢাকার মিরপুর চিড়িয়াখানায় একাধিক পুরুষ জিরাফ আছে। চিড়িয়াখানা থেকে পুরুষ জিরাফ সংগ্রহ করতে পারলে অন্যান্য প্রাণীর মতো জিরাফ পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
জিরাফের মূল বাসস্থান আফ্রিকায়। তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী সে। দেখতে বিশাল, কিন্তু শান্ত স্বভাবের নিরীহ প্রাণী। চিড়িয়াখানা কিংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জিরাফ আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ঢুকলেই বনের মধ্যে লতাপাতা খেতে দেখা যায় বিশাল আকৃতির এই প্রাণীটিকে। দল বেঁধে সারিবদ্ধভাবে মুখ উঁচু করে খাবার খায়। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি টের পেলেই নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীর সঙ্গে দল বেঁধে থাকে। কর্ডাটা পর্বের স্তন্যপায়ী তৃণভোজী এই প্রাণীটির গায়ে আঁকাবাঁকা দাগ। পৃথিবীর লম্বা প্রাণী হিসেবে জিরাফের অবস্থান প্রথম। পূর্ণবয়স্ক একটি জিরাফ প্রায় ১৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
জিরাফের দৃষ্টিশক্তি প্রখর। বহুদূরের শত্রুকেও সহজে দেখতে পারে। আক্রমণের শিকার হলে জিরাফ ঘণ্টায় প্রায় ৫৬ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। জন্মের সময় একটি জিরাফ প্রায় ৬ ফুট লম্বা হয় এবং এর ওজন থাকে গড়ে ৬৮ কেজি। নিজের কান পরিষ্কারের জন্য জিরাফ তার লম্বা জিব ব্যবহার করে। শত্রুর মুখোমুখি হলে আক্রমণাত্মক হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক জিরাফকে সিংহ কিংবা অন্য কোনো হিংস্র প্রাণী খুব সহজে আক্রমণ করতে চায় না। কারণ, জিরাফের লাথির আঘাত ভয় পায় হিংস্র প্রাণীরা। জিরাফের লাথির আঘাতে সিংহের মৃত্যুর রেকর্ডও রয়েছে।
নরসিংদী থেকে সাফারি পার্কে বেড়াতে এসে মনিরা কাজলী তো দারুণ উচ্ছ্বসিত। বললেন, ‘এত সহজে বিশাল আকৃতির এই প্রাণীটি দেখতে পেয়ে সব কষ্ট ভুলে গেছি। আজ প্রথম পরিবারের সবাই মিলে জিরাফ দেখলাম। সত্যি খুবই সুন্দর প্রাণীটি।’
শিশু সাবিহা বলল, ‘মায়ের মুখে জিরাফের গল্প শুনেছি। আজ বাস্তবে দেখলাম। সত্যি, জিরাফ গল্পের চেয়ে বেশি সুন্দর।’
জিরাফ মাঝেমধ্যে মাথা উঁচু করে বসে ঘুমায়। প্রকৃতিগতভাবেই জিরাফ লম্বা হওয়ায় বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। জল পান করা, ঘুমানো কিংবা দিনের বেলা বিশ্রামের সময় অন্তত একটি জিরাফ আশপাশে নজর রাখে শত্রুর উপস্থিতি জানানোর জন্য। খুব নিচু আওয়াজে এরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। খেলাধুলা করার সময় কিংবা খুব বেশি রাগান্বিত হলে পুরুষ জিরাফ মাঝেমধ্যে একে অন্যের সঙ্গে খুনসুটি করে থাকে, জানালেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান।
জিরাফকে এখানে অ্যাকাশিয়া গাছের পাতা, গজারি গাছের পাতাসহ বিভিন্ন দানাদার খাদ্য খেতে দেওয়া হয়। তার মধ্যে গমের ভুসি, ভুট্টাদানা, সবজির মধ্যে গাজর, বরবটি এবং লতাপাতা খায় জিরাফ।
জিরাফ উটের মতো জল না পান করে দীর্ঘদিন কাটিয়ে দিতে পারে। টানা সাত দিন জল না খেলেও কোনো সমস্যা হয় না। গাছের পাতায় যে জল থাকে, তা দিয়েই চাহিদা মিটে যায়। জিরাফ গর্ভধারণে সময় নেয় ১৫-১৬ মাস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক মো. তবিবুর রহমানের কাছ থেকে জানা যায়, সাফারি পার্কে শুধু তিনটি মাদি জিরাফ রয়েছে। পুরুষ জিরাফ না থাকায় জিরাফ পরিবারের বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না। ঢাকার মিরপুর চিড়িয়াখানায় একাধিক পুরুষ জিরাফ আছে। চিড়িয়াখানা থেকে পুরুষ জিরাফ সংগ্রহ করতে পারলে অন্যান্য প্রাণীর মতো জিরাফ পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫