নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সুপেয় পানির সংকটে দিনদিন বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী। ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে। বাড়তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা বলছেন, উপজেলার বেশির ভাগ টিউবওয়েল দিয়েই পানি উঠছে না। তাই এলাকার মানুষ দৈনন্দিন কাজে পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহার করছে। তাই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে অবস্থা অবনতি হওয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে ২০৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৪১ জন ও মার্চে ৩৭৪ জন। বর্তমানে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগীর শয্যা রয়েছে মাত্র ৯টি। এই মাসের শুরু থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত—এই ১২ দিনেই হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ১ হাজার রোগী। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে ২৫০ জন আর বহির্বিভাগে একই সময়ে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৭৫০ জন।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, পর্যাপ্ত শয্যাসংখ্যার অভাবে ডায়রিয়া রোগীদের হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা বিছিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকার কারণে গরমে নাজেহাল হচ্ছে রোগীরা। চিকিৎসকেরা সেখানে রেখেই রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এ সময় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শয্যা না পেয়ে প্রতিদিনই অনেক রোগী বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। অনেকে আবার বারান্দার মেঝেতেও জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চারপাশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। ডায়রিয়া রোগীদের একমাত্র বাথরুমটিও নোংরা। বাথরুম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওয়ার্ডের ভেতর।
হাসপাতাল চত্বরে কথা হয় জয় সূত্রধরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভেতরের পরিবেশ খুব নোংরা। তাই বাধ্য হয়েই বাড়িতে মেয়ে রাশি সূত্রধরের চিকিৎসা করাচ্ছি। কেবল স্যালাইন দেওয়ার জন্য প্রতিদিন হাসপাতালে আসি।’
হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছেন উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বিটুই গ্রামের শতবর্ষী সাফিয়া আক্তার নামে এক নারী। তাঁর শরীরে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি গত সোমবার থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের দেখানোর পর তাঁরা আমাকে আজ ভর্তি করে দেন। শয্যা না থাকায় মেঝেতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৯৪০টি গভীর ও ১ হাজার ৬০৫টি অগভীর সরকারি নলকূপ আছে। তবে ব্যক্তিগতসহ উপজেলায় মোট টিউবওয়েল আছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার নলকূপ দিয়ে বর্তমানে পানি উঠছে না। তাই উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। এদিকে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। গরমের শুরুতে বরাবরই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এই সময়ে সুপেয় পানির সংকটে মানুষ দূষিত পানি ও দৈনন্দিন কাজে পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহার করছে। ফলে পানিবাহিত এই রোগে এই সময়ে মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়। গত বছর আক্রান্ত কিছুটা কম ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ বলেন, উপজেলার বেশির ভাগ টিউবওয়েল দিয়েই পানি উঠছে না। তাই এলাকার মানুষ দৈনন্দিন কাজে পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহার করছে।
ডা. অভিজিৎ আরও বলেন, ‘ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার অভাবে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই ডায়রিয়া রোগীদের শিশু ও সাধারণ ওয়ার্ডে দিতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সুপেয় পানির সংকটে দিনদিন বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী। ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে। বাড়তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা বলছেন, উপজেলার বেশির ভাগ টিউবওয়েল দিয়েই পানি উঠছে না। তাই এলাকার মানুষ দৈনন্দিন কাজে পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহার করছে। তাই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে অবস্থা অবনতি হওয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে ২০৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৪১ জন ও মার্চে ৩৭৪ জন। বর্তমানে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগীর শয্যা রয়েছে মাত্র ৯টি। এই মাসের শুরু থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত—এই ১২ দিনেই হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ১ হাজার রোগী। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে ২৫০ জন আর বহির্বিভাগে একই সময়ে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৭৫০ জন।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, পর্যাপ্ত শয্যাসংখ্যার অভাবে ডায়রিয়া রোগীদের হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা বিছিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকার কারণে গরমে নাজেহাল হচ্ছে রোগীরা। চিকিৎসকেরা সেখানে রেখেই রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এ সময় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শয্যা না পেয়ে প্রতিদিনই অনেক রোগী বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। অনেকে আবার বারান্দার মেঝেতেও জায়গা না পেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চারপাশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। ডায়রিয়া রোগীদের একমাত্র বাথরুমটিও নোংরা। বাথরুম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওয়ার্ডের ভেতর।
হাসপাতাল চত্বরে কথা হয় জয় সূত্রধরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভেতরের পরিবেশ খুব নোংরা। তাই বাধ্য হয়েই বাড়িতে মেয়ে রাশি সূত্রধরের চিকিৎসা করাচ্ছি। কেবল স্যালাইন দেওয়ার জন্য প্রতিদিন হাসপাতালে আসি।’
হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে আছেন উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বিটুই গ্রামের শতবর্ষী সাফিয়া আক্তার নামে এক নারী। তাঁর শরীরে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি গত সোমবার থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের দেখানোর পর তাঁরা আমাকে আজ ভর্তি করে দেন। শয্যা না থাকায় মেঝেতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ।’
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৯৪০টি গভীর ও ১ হাজার ৬০৫টি অগভীর সরকারি নলকূপ আছে। তবে ব্যক্তিগতসহ উপজেলায় মোট টিউবওয়েল আছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার নলকূপ দিয়ে বর্তমানে পানি উঠছে না। তাই উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। এদিকে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। গরমের শুরুতে বরাবরই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এই সময়ে সুপেয় পানির সংকটে মানুষ দূষিত পানি ও দৈনন্দিন কাজে পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহার করছে। ফলে পানিবাহিত এই রোগে এই সময়ে মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়। গত বছর আক্রান্ত কিছুটা কম ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ বলেন, উপজেলার বেশির ভাগ টিউবওয়েল দিয়েই পানি উঠছে না। তাই এলাকার মানুষ দৈনন্দিন কাজে পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহার করছে।
ডা. অভিজিৎ আরও বলেন, ‘ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার অভাবে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই ডায়রিয়া রোগীদের শিশু ও সাধারণ ওয়ার্ডে দিতে হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪