Ajker Patrika

দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের সারি বাড়ছে খালি হাতে ফেরা

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ১৪: ৫৪
দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের সারি  বাড়ছে খালি হাতে ফেরা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ওএমএসের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ মানুষের সারি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় চাল ও আটা কিনতে না পেরে অনেকেই খালি হাতে ফিরছেন। সে জন্য ওএমএসের বরাদ্দ ও বিক্রয়কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি সাধারণ মানুষের।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর নির্দেশনা এখনো আসেনি, তাই এ মুহূর্তে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৪ জানুয়ারি থেকে তাড়াশ পৌর এলাকায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রত্যেক ডিলার ২০০ মানুষের কাছে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করছেন। একজন ডিলার প্রতিদিন এক টন চাল ও এক টন আটা খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করে থাকেন।

চাল ও আটা কিনতে আসা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক ক্রেতা জানান, বাজারে ধান, চাল, আটার ও ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রমশ বাড়ায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে ভোগ্যপণ্য। তাই সাধারণ মানুষ বাজারে বেশি দামে চাল ও আটা কিনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে ওএমএসের দোকানগুলোতে কেনার জন্য ভিড় করছেন।

উপজেলার কাউরাইল গ্রাম থেকে আসা মাহেলা খাতুন বলেন, ‘বাজারে এক কেজি মোটা চালের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এত টাকা দিয়া চাল কিনব কী করে। তাই সরকারি চালের জন্য অনেক দূর থেকে এখানে এসেছি।’

অন্যদিকে তাড়াশ পৌর এলাকার ভাদাশ গ্রামের সুখিতন বেওয়া বলেন, ‘স্বামী একজন রিকশাচালক। সারা দিনে তিন শ থেকে চার শ টাকা আয় করেন। এ টাকা দিয়ে বাজার থেকে চাল কিনলে অন্য কোনো কিছু করা যায় না। তাই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনি। কোনো দিন কিনতে পারি আবার কোনো দিন পারি না। তখন খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি, তাই চাল-আটার বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।’

পৌর এলাকার ওএমএস ডিলার মো. তোরাপ আলী বলেন, ওএমএসে পণ্য নিতে প্রতিদিনই মানুষের ভিড় বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেককে। তবে সরকার চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ালে আরও অনেক গরিব মানুষই এর সুফল পেত। তিনি আরও বলেন, চালের চাহিদার চেয়ে আটার চাহিদা একটু বেশি। ১ টন আটা নিমেষেই শেষ হয়ে যায়। তাই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন আলী বলেন, ‘চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর নির্দেশনা এখনো আসেনি। তাই এই মুহূর্তে চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’ বরাদ্দ বাড়ানো হলে ডিলারদের চাল ও আটার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত