Ajker Patrika

হত্যা মামলার চার আসামি কাউন্সিলর প্রার্থী

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ০৮: ৫৭
Thumbnail image

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর আলোচিত তিন হত্যা মামলার এজাহারে নাম থাকা চার আসামি কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে প্রার্থীদের দাবি, ষড়যন্ত্র মূলকভাবে ওই সব হত্যা মামলায় তাঁদের আসামি করা হয়েছে।

হলফনামা থেকে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীতে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান জিলানী, ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার মধ্যে জিলানী ও দেলোয়ার হত্যা মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আক্তার হোসেন হত্যা মামলা তদন্ত করছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। জিলানী হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি আবুল হাসান ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে, দুই নম্বর আসামি আবদুস সাত্তার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। আব্দুস সাত্তার দেলোয়ার হত্যা মামলারও আসামি। এ ছাড়া জিলানী হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি খলিলুর রহমান মজুমদার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। অপর দিকে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় এক নম্বর আসামি আলমগীর হোসেনও এবার প্রার্থী হয়েছেন।

মামলার এজাহার ও তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা যায়, চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে খলিলুর রহমান মজুমদার ছাড়া সবাই কুসিকের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অপর দিকে খলিলুর রহমান ছিলেন কুসিকের প্রথম পরিষদের কাউন্সিলর এবং যুবদল নেতা। এ চার প্রার্থীই এসব মামলায় কারাবরণ করে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

আরও জানা গেছে, নগরীর চৌয়ারা এলাকায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী জিলানীকে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে নগরীর শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ২০২০ সালের ১০ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর কোট বাড়ি সড়কের চাঙ্গিনী মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে হত্যা করা হয়।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাত্তার বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দলের মহানগরের কার্যালয়ে ছিলাম। মোবাইলে জিলানীকে আহত করার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেলোয়ার হত্যা মামলায় এজাহারে কারও নাম না থাকলেও পিবিআই কেন এ মামলায় আমাকে আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে তা জানি না।’

কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসান বলেন, ‘জীলানীকে হত্যার সময় আমি বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম। প্রতিপক্ষের নির্দেশে আমাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলা চলমান রয়েছে, আশা করি ন্যায় বিচার পাব।’

আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘জিলানীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম এটা কেউই বলতে পারবেন না। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত