Ajker Patrika

শেবাচিমে শিক্ষকের ২৯০ পদের ১৮৫টি শূন্য

খান রফিক, বরিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৩০
Thumbnail image

শিক্ষকসংকটে বিপত্তি দেখা দিয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে। কলেজে শিক্ষকের ২৯০টি পদের মধ্যে ১৮৫টি শূন্য রয়েছে। অধিকাংশ বিভাগ চলছে সহকারী অধ্যাপক দিয়ে। যে কারণে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা চালু করা যাচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বরিশাল মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন বর্ষে বর্তমানে ১২ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নেই অনেক বিভাগে। অধ্যাপকের ৯০ ভাগ পদ শূন্য। ৪২ পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৪ জন। সহযোগী অধ্যাপকের ৭১ ভাগ, সহকারী অধ্যাপক পদে ৫৩ ভাগ এবং প্রভাষক, মেডিকেল অফিসার, প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদে ৬১ ভাগ জনবল শূন্য।

সূত্রমতে, ডেন্টাল বিভাগে ৩৮ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ জন প্রভাষক, মাইক্রো প্যাথলজিতে ১৬ জনের স্থলে আছেন একজন সহকারী অধ্যাপক ও ৫ জন প্রভাষক। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, সার্জারি, মেডিসিন, নিউরো বিভাগসহ অন্য বিভাগের অবস্থা আরও করুণ।

শিক্ষক ও অন্যান্য জনবল সংকটের কারণে মেডিকেল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম আকবর কবির। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পাঠদান করাতে না পেরে শিক্ষকেরাও সন্তুষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. কাজী মো. আসাদুজ্জামান।

কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, দেশের বাইরের ছাত্র-ছাত্রীও এ মেডিকেল কলেজে পড়ছেন। কিন্তু সে তুলনায় মানসম্মত পাঠদান হচ্ছে না। কারণ দক্ষ শিক্ষক নেই। অনেক সময় নিয়মিত ক্লাসও হয় না । কিছু কিছু জটিল বিষয় রয়েছে যা অধ্যাপকের মতো অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকলে বুঝতে সুবিধা হতো। কিন্তু বরিশাল মেডিকেলে তেমন শিক্ষক না থাকায় এর প্রভাব পড়ছে ফলাফলে। অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে একাধিকবার বললেও কাজ হয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকেরা জানান, বছরের পর বছর ধরে এমন অচলাবস্থা চললেও কোনো সুরাহা হয়নি। মোট ৫৬টি বিভাগের এই মেডিকেল কলেজে নিউরো সার্জারি, রক্ত সঞ্চালন, ক্যানসার, বার্ন, নিউরো মেডিসিন, মেডিসিন ও গাইনীসহ ৫৪টি বিভাগে অধ্যাপক না থাকায় পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। সহকারী অধ্যাপক দিয়ে অভিজ্ঞ অধ্যাপকের শিক্ষা না পাওয়ায় হতাশায় কথা জানিয়েছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতেই অধ্যাপক না থাকায় এই কলেজে এমডি এবং এমএস কোর্স চালু করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় হচ্ছে না। শিক্ষক শূন্যতার বিষয়ে প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও সুফল মিলছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত