Ajker Patrika

বড়লেখায় ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ০১
বড়লেখায় ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) একটি কেন্দ্রে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত এক সদস্যপ্রার্থী। আবার ওই কেন্দ্রের ভোট গণনার দাবিতে গত বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তিনি। ওই প্রার্থীর নাম দেলওয়ার হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে দেলওয়ার হোসেন, টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে কাওছার হামিদ, ফুটবল প্রতীক নিয়ে আফসার উদ্দিন ফয়ছল ও মোরগ প্রতীক নিয়ে নাজিম উদ্দিন নির্বাচনে অংশ নেন।

গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সুজানগর ইউপির তেরাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ওই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৫৬৪ জন। নির্বাচনে ওই কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টদের হিসাব অনুযায়ী সেখানে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৯। বাতিল হয়েছে ৪১টি ভোট। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে দেলওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯৭ ভোট। ফুটবল প্রতীকে আফসার উদ্দিন ফয়ছল পেয়েছেন ২৬২। টিউবওয়েল প্রতীকে কাওছার হামিদ পেয়েছেন ২২৪ ভোট। মোরগ প্রতীকে নাজিম উদ্দিন পান ১৫৫ ভোট।

কিন্তু ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোট গণনায় অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী কাওছার হামিদ ৪২৪ ভোট পেয়েছেন দেখিয়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ সময় দেলওয়ার হোসেনের এজেন্টের পাশাপাশি অন্য প্রার্থীর এজেন্টরা আবার ভোট গণনার জন্য অনুরোধ করলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তা আমলে নেননি।

অভিযোগকারী দেলওয়ার হোসেন গতকাল শুক্রবার দুপুরে বলেন, ‘ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাওছার হামিদের প্ররোচনায় ভোট গণনার সময় অনিয়ম করেন। কেন্দ্রের সব প্রার্থীর এজেন্টদের হিসাব মতে যেখানে ১ হাজার ৭৯ ভোট কাস্ট হয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত ২০০ ভোট কোথা থেকে এল? আমি ভোট পুনরায় গণনার জন্য আমি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি। প্রয়োজনে আমি আদালতে যাব। পুনরায় ভোট গণনা হলে আমি নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পরাজিত ওই সদস্য প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন। অনুমতি পেলে আবার ভোট গণনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত