Ajker Patrika

শ্রমিকের বদলে যন্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জুন ২০২২, ১০: ২১
Thumbnail image

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে চল্লিশ দিনের কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় চলমান প্রকল্পে শ্রমিকের বদলে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। উপজেলার দিগদাইড় ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই কাজ হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অতি দরিদ্রদের জন্য চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে (ইজিপিপি) শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর কথা থাকলেও খননযন্ত্র দিয়ে নামমাত্র খরচে মাটি কাটার কাজ করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস বলছে, আইনে আছে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটাতে হবে। তবে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটলে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ জানা গেছে,২০২১-২২ অর্থ বছরের কাজের কাজের বিনিময়ে টাকা প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে। দিগদাইড় ইউনিয়ন ইজিপিপির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে শ্রমিকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে খনন যন্ত্র।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া শহীদ মিয়ার বাড়ি থেকে হারুন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে এই কাজের জন্য ৪১ জন শ্রমিকের জন্য চল্লিশ দিনের কাজ বাবদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প এলাকার হত দরিদ্রদের কাজ না দিয়ে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য এরশাদ উদ্দিন খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার কাজ করাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতি এরশাদ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া আসাদের নির্দেশে শ্রমিকের বদলে খনন যন্ত্র দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের।

এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা বিআরডিবির অফিসার লিটন মোহন দে বলেন, ‘আমি শুনেছি ওই প্রকল্পের ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। তবে ওইখানে কাজ হচ্ছে কী না বা কবে থেকে কাজ শুরু হয়েছে তার কিছুই আমি জানি না। কাজ শুরু হয়ে থাকলে আমাকে জানানো হয়নি। সুতরাং এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না।’

এ নিয়ে জানতে দিগদাইড় ইউপির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া আসাদ ফোন করা হয়। সামনাসামনি কথা বলবেন জানিয়ে তিনি ফোন কেটে দেওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি।

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু মোতালেব বলেন, ‘আইনে আছে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটাতে হবে। তবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটলে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত