সম্পাদকীয়
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের খবর। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যখন অনেকের মনেই আর আলাদা কোনো আবেগ কাজ করে না, তখন গোপাল চন্দ্র শীল নামের একজন মানুষ কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান, সে খবরই ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গোপাল চন্দ্র শীলের সেলুনের সাইনবোর্ডেই বড় বড় অক্ষরে লেখা আছে : এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চুল কাটা হয়। এটা সবারই নজর কাড়ার জন্য যথেষ্ট।
সেলুনের ভেতরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে জাতীয় চার নেতাসহ বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছবি টাঙানো আছে। গোপালের এই সেলুনে চুল কাটাতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সিরিয়াল লাগে না। অসুস্থ কিংবা বয়সের ভারে ন্যুব্জ যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে গিয়েও চুল-দাড়ি কেটে দেওয়া হয়। তবে সব বীর মুক্তিযোদ্ধা যে বিনা মূল্যে চুল কাটাতে আসেন, তা নয়, খুশি হয়ে গোপালকে আশীর্বাদ জানাতেও আসেন অনেকে। গত ২০ বছরে গোপাল এক হাজার মুক্তিযোদ্ধার চুল-দাড়ি বিনা পয়সায় কেটেছেন। তাঁদের নাম, ঠিকানা, স্বাক্ষর ও মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার কথাও টুকে রেখেছেন একটি স্মারক বইয়ে। রণাঙ্গনের বীর যোদ্ধাদের খণ্ড খণ্ড অভিজ্ঞতার এক অসামান্য দলিল হয়ে উঠেছে স্মারক বইটি। এখন তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিও সংগ্রহ করছেন। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাই গোপালের প্রশংসা করে বইটিতে নানা কিছু লিখেছেন।
গোপাল কীভাবে এ কাজটি করার প্রেরণা বোধ করেছেন? বছর বিশেক আগে একজন বয়স্ক মানুষ গোপালের সেলুনে এসে জানতে চেয়েছিলেন, চুল-দাড়ি কাটাতে কত লাগবে? ১৫ টাকা লাগবে শুনেই মানুষটি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, কেন যে দেশটা স্বাধীন করলাম! লোকটির মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় জেনে গোপালের মনে বিষয়টি গভীর দাগ কাটে। তিনি তখনই আজীবন বিনে পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের চুল-দাড়ি কাটার সিদ্ধান্ত নেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃখ-দুর্দশার খবর এখনো সংবাদপত্রে বের হয়। সবার সব কষ্ট মোচনের দায়িত্ব সরকারের ওপর দিয়ে আমরা সবাই নির্ভার থাকতে চাই। অথচ দেশ স্বাধীন না হলে আজ যাঁরা বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই হয়তো নিঃস্বই থাকতেন। গোপাল যেমন তাঁর অবস্থান থেকে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অন্যরাও যদি নিজ নিজ অবস্থা ও অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের সেনানীদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতেন, তাহলে কতই না ভালো হতো।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে আমরা পাওয়া না-পাওয়ার হিসাবের খাতা খুলে বসেছি। একাত্তরে সাতপাঁচ না ভেবেই বীর যোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলেই তো আজ এই বিজয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের খবর। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যখন অনেকের মনেই আর আলাদা কোনো আবেগ কাজ করে না, তখন গোপাল চন্দ্র শীল নামের একজন মানুষ কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান, সে খবরই ছাপা হয়েছে আজকের পত্রিকায়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গোপাল চন্দ্র শীলের সেলুনের সাইনবোর্ডেই বড় বড় অক্ষরে লেখা আছে : এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চুল কাটা হয়। এটা সবারই নজর কাড়ার জন্য যথেষ্ট।
সেলুনের ভেতরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে জাতীয় চার নেতাসহ বেশ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছবি টাঙানো আছে। গোপালের এই সেলুনে চুল কাটাতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সিরিয়াল লাগে না। অসুস্থ কিংবা বয়সের ভারে ন্যুব্জ যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে গিয়েও চুল-দাড়ি কেটে দেওয়া হয়। তবে সব বীর মুক্তিযোদ্ধা যে বিনা মূল্যে চুল কাটাতে আসেন, তা নয়, খুশি হয়ে গোপালকে আশীর্বাদ জানাতেও আসেন অনেকে। গত ২০ বছরে গোপাল এক হাজার মুক্তিযোদ্ধার চুল-দাড়ি বিনা পয়সায় কেটেছেন। তাঁদের নাম, ঠিকানা, স্বাক্ষর ও মুক্তিযুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার কথাও টুকে রেখেছেন একটি স্মারক বইয়ে। রণাঙ্গনের বীর যোদ্ধাদের খণ্ড খণ্ড অভিজ্ঞতার এক অসামান্য দলিল হয়ে উঠেছে স্মারক বইটি। এখন তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিও সংগ্রহ করছেন। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাই গোপালের প্রশংসা করে বইটিতে নানা কিছু লিখেছেন।
গোপাল কীভাবে এ কাজটি করার প্রেরণা বোধ করেছেন? বছর বিশেক আগে একজন বয়স্ক মানুষ গোপালের সেলুনে এসে জানতে চেয়েছিলেন, চুল-দাড়ি কাটাতে কত লাগবে? ১৫ টাকা লাগবে শুনেই মানুষটি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, কেন যে দেশটা স্বাধীন করলাম! লোকটির মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় জেনে গোপালের মনে বিষয়টি গভীর দাগ কাটে। তিনি তখনই আজীবন বিনে পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের চুল-দাড়ি কাটার সিদ্ধান্ত নেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃখ-দুর্দশার খবর এখনো সংবাদপত্রে বের হয়। সবার সব কষ্ট মোচনের দায়িত্ব সরকারের ওপর দিয়ে আমরা সবাই নির্ভার থাকতে চাই। অথচ দেশ স্বাধীন না হলে আজ যাঁরা বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই হয়তো নিঃস্বই থাকতেন। গোপাল যেমন তাঁর অবস্থান থেকে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অন্যরাও যদি নিজ নিজ অবস্থা ও অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের সেনানীদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতেন, তাহলে কতই না ভালো হতো।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে আমরা পাওয়া না-পাওয়ার হিসাবের খাতা খুলে বসেছি। একাত্তরে সাতপাঁচ না ভেবেই বীর যোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলেই তো আজ এই বিজয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৬ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫