Ajker Patrika

তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রামীণ জীবনে এনেছে আলো

আব্দুল্লাহ আল মারুফ, কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ)
আপডেট : ১৫ মে ২০২২, ১৪: ৪৬
তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রামীণ জীবনে এনেছে আলো

চারটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা। এখানকার প্রত্যন্ত গ্রামে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে অনলাইনে সেবা পাচ্ছে মানুষ। এতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া ভাতাভোগীসহ সাধারণ মানুষ সহজেই সব ধরনের সেবার আওতায় এসেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে এসব মানুষের জীবনে। সেবাগ্রহীতারা বলছেন, তথ্যপ্রযুক্তির এই সেবা তাঁদের জীবনে আলো নিয়ে এসেছে।

রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসান। তাঁর কাছেই শোনা গেল এ পরিবর্তনের কথা।

মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার আগে প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষ এতটা সুবিধা পেতেন না। বর্তমানে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সব শ্রেণির মানুষ অনায়াসে এখানে আসতে পারছেন এবং সব ধরনের সেবা নিচ্ছেন।

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০১০ সালে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র উদ্বোধনের পর থেকেই তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে স্বপ্নের পথে চলা শুরু করেন।

বর্তমানে মাহমুদুলের ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষ ডিজিটাল সেন্টারে এসে সেবা নিচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিল, জমির পরচা, নামজারি, খতিয়ান, ভূমি কর দেওয়া, পাসপোর্ট ও ভিসার আবেদন, ভাতাভোগীদের সেবা, মাতৃত্বকালীন সেবা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধীদের টাকা দেওয়াসহ তৃণমূল পর্যায়ে ৫০টির বেশি সেবা মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। শুধু ডিজিটাল সেন্টারে বসেই সেবাগুলো দেওয়া হয় না, অনেক সময় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী কার্ডের টাকা গ্রামে গ্রামে গিয়ে দিয়ে আসেন তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে তথ্যসেবার কাজ চলছে। কম্পিউটার ও ল্যাপটপে কাজ করছেন কাউসার, রাফসান ও শরিফুল নামের তিন যুবক। সেখানে অর্ধশতাধিক মানুষ সেবা নিতে আসেন।

উদ্যোক্তা মাহমুদুল হাসানের সহযোগী কাউসার বলেন, জমির পরচার আবেদন, জন্মনিবন্ধন, ভর্তির তথ্যাবলি, অনলাইনে আবেদন পাঠানো, ছবির স্ক্যান, বিসিএস পরীক্ষার আবেদন, বয়স্ক, বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলনসহ নানা সেবার জন্য সাধারণ মানুষ আসেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা কিছু সেবা বিনা মূল্যে দেন।

সেবা নিতে আসা রহিমা, রুহুল, ইমরানসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের সময় মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল না। সে জন্য তাঁদের অনেক কাজে ভোগান্তি হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আর ডিজিটাল সেন্টারের কারণে তাঁদের সেই ভোগান্তি আর কষ্ট কমেছে।

সেবাগ্রহীতারা তাঁদের বয়স্ক, বিধবা কার্ডের টাকা সহজেই উত্তোলন করতে পারছেন। এ ছাড়া জমিসংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা ও জেলায় গিয়ে কাজ করতে হয়েছে। অনেক সময় কাজ হয়েছে, অনেক সময় হয়নি।

বর্তমানে সেই ভোগান্তি আর কষ্ট কমেছে। সব কাজ সেন্টার থেকেই করা যায়। তাঁরা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি তাঁদের জীবনে আলো নিয়ে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জমকালো দোতলা বাড়িতে দূতাবাস, সামনে সারি সারি কূটনৈতিক গাড়ি—৭ বছর পর জানা গেল ভুয়া

অবশেষে রাজি ভারত, ‘জিতেছে বাংলাদেশ’

বেনজীরের এক ফ্ল্যাটেই ১৯ ফ্রিজ, আরও বিপুল ব্যবহার সামগ্রী উঠছে নিলামে

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে পলাতক আসামি

বাংলাদেশ ব্যাংকে নারীদের শর্ট স্লিভ ড্রেস ও লেগিংস নিষেধ, পরতে হবে ‘শালীন’ পোশাক-হিজাব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত