সম্পাদকীয়
অনেকে যে ক্রেতার আশায় গরু-ছাগল নিয়ে রেললাইনের ওপরেই বসে থাকছেন, সে দৃশ্য দেখতেও কোনো জাদুকরি চশমা লাগবে না। এবার হঠাৎ ট্রেন এলে কী হয় ভাবুন তো? ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও লোকসমাগম হচ্ছে রেলস্টেশন এলাকাগুলোর পশুর বাজারে।
এভাবেই চট্টগ্রামে রেলস্টেশন এলাকায় বসে গরু-ছাগলের হাট। এটা কি কেবল এ বছরেই হচ্ছে? একেবারেই না। রেলস্টেশন চত্বরে কিংবা রেললাইনের ওপর এই হাট বছরের পর বছর বসছে।
আজকের পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রেললাইনের তিন জায়গায় অবৈধভাবে চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাটটি হাটহাজারী রেলস্টেশন এলাকায় বসেছে। কারা দিচ্ছে এই হাটের অনুমতি? কারা আবার—পৌরসভা কর্তৃপক্ষ! শুধু ঈদের সময় তো নয়, ইজারার মাধ্যমে সপ্তাহের দুদিন এই হাট বসছে বছরের পর বছর। এ নিয়ে আপত্তি আছে রেল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
রেলস্টেশন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। এটি সরকারি বিধি। কিন্তু তারপরও পৌর কর্তৃপক্ষ কিসের জোরে অবৈধভাবে পশুর হাট ইজারা দিয়ে আসছে, সেটাই প্রশ্ন। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মো. শাহিদুল আলম জানান, বছরের পর বছর এই হাট রেললাইনের ওপর বসছে এবং পৌরসভা তা থেকে প্রতিবছর ৭০-৮০ লাখ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। তাই নাকি হঠাৎ করে এখান থেকে পশুর বাজার সরানো যাবে না!
বলেন কী তিনি! তাতেই কি এই বিপজ্জনক হাট-বাজার জায়েজ হয়ে যাবে!
স্থানীয়দের অভিযোগ—পশুর হাটটি অনেক বছর ধরে একটি চক্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। স্টেশন এলাকায় সীমানাপ্রাচীর না থাকায় বাজারে নিয়ে আসা পশু রেললাইনের ওপর রেখেই বেচাকেনা করা হয়। আবার অনেক সময় ট্রেন আসার শব্দ শোনা যায় না। পশুর হাট বসানোর কারণে রেললাইনে দেওয়া পাথর লাইন থেকে সরে যাচ্ছে এবং ট্রেন চলাচলের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।
খোদ পৌর কর্তৃপক্ষ ১৪৪ ধারা ভাঙছে, আবার মানুষ এমনকি পশুর নিরাপত্তাকেও বিক্রি করে দিচ্ছে রাজস্বের নামে। বছরের পর বছর ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া এই অন্যায়-অপরাধ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এসব শুনে তাজ্জব হয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কীই-বা করার থাকতে পারে! আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই দুর্দশার কারণ খুঁজতে হলে এ ধরনের ছোট ছোট ঘটনার যোগফলের দিকে তাকালেই হবে। সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে চোখের সামনে।
অনেকে যে ক্রেতার আশায় গরু-ছাগল নিয়ে রেললাইনের ওপরেই বসে থাকছেন, সে দৃশ্য দেখতেও কোনো জাদুকরি চশমা লাগবে না। এবার হঠাৎ ট্রেন এলে কী হয় ভাবুন তো? ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও লোকসমাগম হচ্ছে রেলস্টেশন এলাকাগুলোর পশুর বাজারে।
এভাবেই চট্টগ্রামে রেলস্টেশন এলাকায় বসে গরু-ছাগলের হাট। এটা কি কেবল এ বছরেই হচ্ছে? একেবারেই না। রেলস্টেশন চত্বরে কিংবা রেললাইনের ওপর এই হাট বছরের পর বছর বসছে।
আজকের পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রেললাইনের তিন জায়গায় অবৈধভাবে চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাটটি হাটহাজারী রেলস্টেশন এলাকায় বসেছে। কারা দিচ্ছে এই হাটের অনুমতি? কারা আবার—পৌরসভা কর্তৃপক্ষ! শুধু ঈদের সময় তো নয়, ইজারার মাধ্যমে সপ্তাহের দুদিন এই হাট বসছে বছরের পর বছর। এ নিয়ে আপত্তি আছে রেল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
রেলস্টেশন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। এটি সরকারি বিধি। কিন্তু তারপরও পৌর কর্তৃপক্ষ কিসের জোরে অবৈধভাবে পশুর হাট ইজারা দিয়ে আসছে, সেটাই প্রশ্ন। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাটহাজারী পৌরসভার প্রশাসক মো. শাহিদুল আলম জানান, বছরের পর বছর এই হাট রেললাইনের ওপর বসছে এবং পৌরসভা তা থেকে প্রতিবছর ৭০-৮০ লাখ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। তাই নাকি হঠাৎ করে এখান থেকে পশুর বাজার সরানো যাবে না!
বলেন কী তিনি! তাতেই কি এই বিপজ্জনক হাট-বাজার জায়েজ হয়ে যাবে!
স্থানীয়দের অভিযোগ—পশুর হাটটি অনেক বছর ধরে একটি চক্র নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। স্টেশন এলাকায় সীমানাপ্রাচীর না থাকায় বাজারে নিয়ে আসা পশু রেললাইনের ওপর রেখেই বেচাকেনা করা হয়। আবার অনেক সময় ট্রেন আসার শব্দ শোনা যায় না। পশুর হাট বসানোর কারণে রেললাইনে দেওয়া পাথর লাইন থেকে সরে যাচ্ছে এবং ট্রেন চলাচলের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।
খোদ পৌর কর্তৃপক্ষ ১৪৪ ধারা ভাঙছে, আবার মানুষ এমনকি পশুর নিরাপত্তাকেও বিক্রি করে দিচ্ছে রাজস্বের নামে। বছরের পর বছর ঐতিহ্যে পরিণত হওয়া এই অন্যায়-অপরাধ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এসব শুনে তাজ্জব হয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কীই-বা করার থাকতে পারে! আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই দুর্দশার কারণ খুঁজতে হলে এ ধরনের ছোট ছোট ঘটনার যোগফলের দিকে তাকালেই হবে। সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে চোখের সামনে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪