Ajker Patrika

সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে আমচাষিদের স্বপ্ন

মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২২, ১৩: ০৪
সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খাচ্ছে আমচাষিদের স্বপ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানে দেখা দিয়েছে সোনালি মুকুল। সবুজ পাতার ফাঁকে আমচাষিদের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। মুকুলের মনমাতানো গন্ধে ভরে উঠেছে প্রকৃতি। জেলার বিভিন্ন আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। সেখানকার বাতাসে মুকুলের ম-ম গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।

জেলার একাধিক আমবাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানে সারি সারি গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে আমের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ভালো ফলনের আশা করছেন বাগানমালিকেরা। ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে জানান বাগানমালিকেরা।

কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা বলছেন, এ বছর বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ভালো ফলন হবে। মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করছেন আমবাগানের মালিক ও চাষিরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কীটনাশকও ব্যবহার করছেন তাঁরা।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম্রপালি, ফজলি, ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া, রাজভোগ, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমবাগান গড়ে উঠেছে। জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে ক্ষীরশাপাতি। এ কারণে আম রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাগানমালিক সেতাউর রহমান বলেন, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে থেকে বাগানের আমগাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন চাষিরা। রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় কীটনাশক ছিটিয়েছেন। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এই অবস্থা থাকলে এবার আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি।

গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বেলালবাজার এলাকার আমচাষি জাক্কারুল ইসলাম বলেন, ৭ বিঘা জমিতে আমবাগান কেনা আছে। বেশির ভাগে গাছেই মুকুল এসেছে।

শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামিম বলেন, এ সময়ে আমের মুকুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। মুকুল আসার সময়ে সাধারণত কুয়াশা ও পোকার আক্রমণ হয়। তবে একটি কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ছিটালে এই সমস্যা থাকে না। কয়েক দিন থেকে কুয়াশা নেই। এতে মুকুলের ক্ষতির শঙ্কা কমছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সব গাছে মুকুল ফুটবে। এ সময়ের বিভিন্ন পরিচর্যা নিয়ে আমচাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত