Ajker Patrika

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ২৭
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়

‘আমরা কোনো গন্ডগোল চাই না। গন্ডগোল হইলেই আমগো ব্যবসা বন্ধ হইয়া যাইব। তাইলে না খাইয়া থাকন লাগব।’ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে নিজের কথাটা এভাবেই জানান জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাদাম বিক্রি করতে আসা ফরিদুল। শুধু ফরিদুল নন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা অসংখ্য মানুষের চাওয়া, শান্তিতে থাকুক প্রিয় স্বদেশ, সব বাধা কাটিয়ে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, দেশটা দুর্নীতি আর বৈষম্যমুক্ত হোক।

এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ভোর সাড়ে ছয়টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রমুখ।

এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাদের নিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর একে একে আসেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতার পর সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির পক্ষ থেকে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।

আরও শ্রদ্ধা জানায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বিকল্পধারা, গণফোরাম, গণ অধিকার পরিষদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমভিত্তিক যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে বিভিন্ন বাহিনীর মোট ২৩টি কন্টিনজেন্ট এবং ভুটান, ভারত ও রাশিয়ার ৩টি কন্টিনজেন্ট এবং মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল রাষ্ট্রপতিকে সালাম প্রদান করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত