Ajker Patrika

নওগাঁয় আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়া শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধি
Thumbnail image

নওগাঁয় চলতি মৌসুমে গাছ থেকে আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছিল প্রশাসন। সে সময় অনুযায়ী গত ২৫ মে থেকে নওগাঁয় গুটি আম পাড়া শুরু হয়। তবে আমের গুণগত মান এবং পুরো জেলাকে সমন্বয় রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়ার উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর সাপাহারে একটি আমবাগানে নিজ হাতে আম পেড়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 
এ সময় সেখানে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল ওয়াদুদ, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ্জাহান হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাপলা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫২৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৮০ হেক্টর, পত্নীতলায় ৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর, ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর, পোরশায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর, সাপাহারে ১০ হাজার হেক্টর, নিয়ামতপুরে এক হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ টন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ টন আম। যার বিক্রি মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া গতবারের চেয়ে জেলায় এবার ৩ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ বেশি হওয়ায় উৎপাদন অন্য যেকোনো সময়ের রেকর্ড ভাঙবে বলে ধারণা কৃষি বিভাগের।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হতে যাচ্ছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হলে আমের ব্যবসা আরও চাঙা হবে। এ ছাড়া বিদেশে আম রপ্তানির জন্য সেসব সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রয়োজন সেগুলো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক সময় চাষাবাদের বাইরে থাকা বরেন্দ্র অঞ্চল সাপাহারে এখন প্রচুর আম চাষ হচ্ছে। 
আমচাষি বাবু চৌধুরী বলেন, ‘আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়া শুরু করেছেন চাষিরা। আমার বাগানের কয়েকটা গুটি গাছের আম নামানো হয়েছে। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বাইরের জেলা থেকে এখনো পাইকারেরা আসেননি।’

সাপাহারের ইউএনও আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সে ক্ষেত্রে প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। আমের মোকামগুলো কেন্দ্র যানজটের যেন সমস্যা তৈরি না হয় সেটা দূর করার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আম ব্যবসায়ীদের জন্য যেন অধিক সময় পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত