নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে রোববার সকালে বাজার করতে আসেন ঈদগাহ বরফ কল এলাকার বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ। কাঁচাবাজারে ঢুকে বরবটির দাম জিজ্ঞেস করলে বিক্রেতা জানালেন, প্রতি কেজি ৮০ টাকা। তাতে চোখ কপালে ওঠা সেলিম উল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই দিন আগেও তো বরবটি কিনেছি ৫০ টাকায়। আজ এমন কী হয়েছে, যাতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে গেল?’
তাঁর কথায় ভ্রুক্ষেপ করলেন না বিক্রেতা। উল্টো শুনিয়ে দিলেন, ‘৮০ টাকার কম হবে না। কিনলে কিনেন, না হয় চলে যান।’
সেলিম উল্লাহর মতো প্রথম রমজানের দিন গতকাল যাঁরা কাঁচা বাজারে গিয়েছেন, সবজির দাম শুনে তাঁদের সবারই চোখ কপালে উঠেছে। রমজান শুরু হতে না হতেই হুহু করে বাজারে বেড়ে গেছে সবজির দাম। আলু, বাঁধাকপি, টমেটো ছাড়া কোনো সবজিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সেলিম উল্লাহ বলেন, ‘করোনা আসার পর বেতন বাড়েনি। অথচ এই দুই বছরে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে পণ্যভেদে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ। রমজান উপলক্ষে এখন যে হারে দাম বাড়ছে তাতে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। বাজারে এখন বেশির ভাগ সবজিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।’
পাহাড়তলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘এখন মোকামেই সবজির দাম বেশি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক কেজি বেগুন পাইকারিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দাম পড়ে। তাহলে আমরা কত বিক্রি করব?’
পাহাড়তলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বেগুন, ঢ্যাঁড়স, শসা, পটল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ১০ টাকা বেড়ে ঝিঙা ৭০ টাকায়, ৩০ টাকা বেড়ে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ২০ টাকা বেড়ে করলা ১৫০, ১০ টাকা বেড়ে গাজর প্রতি কেজি ৪০, লাউ ৩০, পেঁপে ৩৫, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ টাকায়।
৩০ টাকা বেড়ে রমজানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ২০ টাকা বেড়ে ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ক্ষীরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
বাজারে সবজির দাম বাড়লেও গরুর মাংসসহ তেল, ডাল, ছোলা চিনির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অবশ্য এসবের দাম আগেই বেড়ে আছে। বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মাছের দাম। রুই, কাতলা বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ২০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকায়। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে আড়াই শ টাকায়। এ ছাড়া রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০, ইলিশ ৫০০ থেকে ১৩০০ টাকায়।
প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা। চিনি ৭৬ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে হাড়সহ ৬৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি সাড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে রোববার সকালে বাজার করতে আসেন ঈদগাহ বরফ কল এলাকার বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ। কাঁচাবাজারে ঢুকে বরবটির দাম জিজ্ঞেস করলে বিক্রেতা জানালেন, প্রতি কেজি ৮০ টাকা। তাতে চোখ কপালে ওঠা সেলিম উল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুই দিন আগেও তো বরবটি কিনেছি ৫০ টাকায়। আজ এমন কী হয়েছে, যাতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে গেল?’
তাঁর কথায় ভ্রুক্ষেপ করলেন না বিক্রেতা। উল্টো শুনিয়ে দিলেন, ‘৮০ টাকার কম হবে না। কিনলে কিনেন, না হয় চলে যান।’
সেলিম উল্লাহর মতো প্রথম রমজানের দিন গতকাল যাঁরা কাঁচা বাজারে গিয়েছেন, সবজির দাম শুনে তাঁদের সবারই চোখ কপালে উঠেছে। রমজান শুরু হতে না হতেই হুহু করে বাজারে বেড়ে গেছে সবজির দাম। আলু, বাঁধাকপি, টমেটো ছাড়া কোনো সবজিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সেলিম উল্লাহ বলেন, ‘করোনা আসার পর বেতন বাড়েনি। অথচ এই দুই বছরে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে পণ্যভেদে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ। রমজান উপলক্ষে এখন যে হারে দাম বাড়ছে তাতে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। বাজারে এখন বেশির ভাগ সবজিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।’
পাহাড়তলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘এখন মোকামেই সবজির দাম বেশি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক কেজি বেগুন পাইকারিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দাম পড়ে। তাহলে আমরা কত বিক্রি করব?’
পাহাড়তলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বেগুন, ঢ্যাঁড়স, শসা, পটল, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ১০ টাকা বেড়ে ঝিঙা ৭০ টাকায়, ৩০ টাকা বেড়ে বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ২০ টাকা বেড়ে করলা ১৫০, ১০ টাকা বেড়ে গাজর প্রতি কেজি ৪০, লাউ ৩০, পেঁপে ৩৫, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ টাকায়।
৩০ টাকা বেড়ে রমজানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ২০ টাকা বেড়ে ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ক্ষীরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
বাজারে সবজির দাম বাড়লেও গরুর মাংসসহ তেল, ডাল, ছোলা চিনির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অবশ্য এসবের দাম আগেই বেড়ে আছে। বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মাছের দাম। রুই, কাতলা বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ২০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকায়। তেলাপিয়া, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে আড়াই শ টাকায়। এ ছাড়া রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০, ইলিশ ৫০০ থেকে ১৩০০ টাকায়।
প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা। চিনি ৭৬ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে হাড়সহ ৬৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৭৫০ টাকায়। এ ছাড়া ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি সাড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫