মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই চলছে হাটের বেচাকেনা। ক্রেতার সমাগম বাড়ায় গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারিদের মুখেও হাসি ফুটেছে।
জানা গেছে, মাদারীপুরে অন্তত শতাধিক স্থানে পশুর হাট বসেছে। মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া, মস্তফাপুর, হাউসদী, রাজারহাট, নতুন রাজারহাট, মাদ্রা, আচমত আলী ব্রিজের নিচে, ঝাউদী; কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট, ভূরঘাটা, ডাসার, খালেকেরহাট; শিবচর উপজেলার উৎরাইল, নিলখী, কাঁঠালবাড়ী, দাদা ভাই উপশহর, দত্তপাড়া ও রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট, হোসেনপুর, মাদেন্দ্রী, পাইকপাড়া, আমগ্রামসহ জেলার ছোট-বড় মিলে শতাধিক স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ীভাবে কিছু হাট বসানো হয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ভরুয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, গত দুই-তিন দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার নতুন রাজারহাটে গরুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এতে ক্রেতারা খুশি না হলেও খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত বুধবার হাটে যে গরুর দাম ছিল ৫৫-৬০ হাজার টাকা, সেই গরু ৭০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকেই পশুকে খাওয়ানো ও রাখার বিষয়টি ঝামেলা মনে করে শেষ দিকে গরু কিনছেন। তাই এখন ক্রেতা বেশি।
এইচ এম সোহাগ নামে এক খামারি বলেন, ‘দুই বছর ধরে করোনা পরিস্থিতি মানুষকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলেছে। গত বছর আমার খামার থেকে ২৮টি গরু বিক্রি হয়েছিল। এবার সেখানে মাত্র ১৬টি। যাঁরা একাই একটি পশু কোরবানি করতেন, এবার তাঁরা ভাগে কোরবানি দিচ্ছেন। প্রথম দিকে গরুর বাজার দেখে হতাশ হয়েছিলাম। শেষ মুহূর্তে এসে বাজার কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রি অনেক কম হচ্ছে।’
টেকেরহাট পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ৭০-৮০ হাজার টাকায়ও মিলছে গরু। হাটজুড়ে গরু আর গরু। তবে ক্রেতাও বাড়ছে। শেষ মুহূর্তে কেনাবেচাও বেশি হচ্ছে। এদিকে ছাগল বিক্রি তুলনামূলক কম হচ্ছে।
মাদারীপুর পৌর শহরের সুমন হোটেল এলাকার শফিক স্বপন বলেন, ‘১০০ কেজি ওজনের গরু কিনতে ৭০-৭৫ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। অথচ সেই গরুর দাম গত বছর ছিল ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। এ বছর গরুর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তা-ও ভাগাভাগি করে একটি গরু ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। শেষ মুহূর্তে গরু যেমন বেশি, তেমনি দামও বেশি। তাই শেষেই কিনলাম।’
মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাদারীপুরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৬৭ হাজার ৮২৫টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। আর খামারি রয়েছেন ২১ হাজার ২৭৫। ছাগলের সংখ্যা ২ হাজার ১১০টি। গত বছর পশুর সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার। এবার চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত গরু রয়েছে ৫ হাজার ৩৩০টি। কোরবানির জন্য ক্রেতারা যাতে সুস্থ সবল পশু পেতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থেকেই খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাটগুলোতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চারজনের মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য প্রশাসনও কাজ করছে। জাল নোট শনাক্তের জন্য ব্যাংকের লোকজন হাটগুলোতে থাকছেন।
মাদারীপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই চলছে হাটের বেচাকেনা। ক্রেতার সমাগম বাড়ায় গরুর দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারিদের মুখেও হাসি ফুটেছে।
জানা গেছে, মাদারীপুরে অন্তত শতাধিক স্থানে পশুর হাট বসেছে। মাদারীপুর সদরের চরমুগরিয়া, মস্তফাপুর, হাউসদী, রাজারহাট, নতুন রাজারহাট, মাদ্রা, আচমত আলী ব্রিজের নিচে, ঝাউদী; কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট, ভূরঘাটা, ডাসার, খালেকেরহাট; শিবচর উপজেলার উৎরাইল, নিলখী, কাঁঠালবাড়ী, দাদা ভাই উপশহর, দত্তপাড়া ও রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট, হোসেনপুর, মাদেন্দ্রী, পাইকপাড়া, আমগ্রামসহ জেলার ছোট-বড় মিলে শতাধিক স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ীভাবে কিছু হাট বসানো হয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ভরুয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, গত দুই-তিন দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার নতুন রাজারহাটে গরুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এতে ক্রেতারা খুশি না হলেও খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত বুধবার হাটে যে গরুর দাম ছিল ৫৫-৬০ হাজার টাকা, সেই গরু ৭০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকেই পশুকে খাওয়ানো ও রাখার বিষয়টি ঝামেলা মনে করে শেষ দিকে গরু কিনছেন। তাই এখন ক্রেতা বেশি।
এইচ এম সোহাগ নামে এক খামারি বলেন, ‘দুই বছর ধরে করোনা পরিস্থিতি মানুষকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলেছে। গত বছর আমার খামার থেকে ২৮টি গরু বিক্রি হয়েছিল। এবার সেখানে মাত্র ১৬টি। যাঁরা একাই একটি পশু কোরবানি করতেন, এবার তাঁরা ভাগে কোরবানি দিচ্ছেন। প্রথম দিকে গরুর বাজার দেখে হতাশ হয়েছিলাম। শেষ মুহূর্তে এসে বাজার কিছুটা ভালো হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রি অনেক কম হচ্ছে।’
টেকেরহাট পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ৭০-৮০ হাজার টাকায়ও মিলছে গরু। হাটজুড়ে গরু আর গরু। তবে ক্রেতাও বাড়ছে। শেষ মুহূর্তে কেনাবেচাও বেশি হচ্ছে। এদিকে ছাগল বিক্রি তুলনামূলক কম হচ্ছে।
মাদারীপুর পৌর শহরের সুমন হোটেল এলাকার শফিক স্বপন বলেন, ‘১০০ কেজি ওজনের গরু কিনতে ৭০-৭৫ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। অথচ সেই গরুর দাম গত বছর ছিল ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। এ বছর গরুর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তা-ও ভাগাভাগি করে একটি গরু ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। শেষ মুহূর্তে গরু যেমন বেশি, তেমনি দামও বেশি। তাই শেষেই কিনলাম।’
মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাদারীপুরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৬৭ হাজার ৮২৫টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। আর খামারি রয়েছেন ২১ হাজার ২৭৫। ছাগলের সংখ্যা ২ হাজার ১১০টি। গত বছর পশুর সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার। এবার চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত গরু রয়েছে ৫ হাজার ৩৩০টি। কোরবানির জন্য ক্রেতারা যাতে সুস্থ সবল পশু পেতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থেকেই খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাটগুলোতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চারজনের মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য প্রশাসনও কাজ করছে। জাল নোট শনাক্তের জন্য ব্যাংকের লোকজন হাটগুলোতে থাকছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪