আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেও সাইপ্রাসে পালিয়েছিলেন।
সে হিসেবে সাইপ্রাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে বেশ উষ্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রিয়েল এস্টেটে ইসরায়েলিদের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ নিয়ে সাইপ্রাসে সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকেরা সহজেই সাইপ্রাসে জমি কিনতে পারেন। কিন্তু এই জোটের বাইরে দেশগুলোর জন্য নিয়মকানুন আলাদা। এরপরও ইসরায়েলের নাগরিকদের সাইপ্রাসে ব্যাপক হারে ভূমি ও রিয়েল এস্টেট কেনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির বামপন্থী রাজনৈতিক দল আকেল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রদানের প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন আইন প্রস্তাব করছে দলটি। দেশটির সংবাদমাধ্যম সাইপ্রাস মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে গুরুত্বারোপ করল দেশটির কোনো রাজনৈতিক দল। আকেল নেতা স্তেফানো স্তেফানো সাইবিসি (CyBC) রেডিওকে বলেন, ‘সাইপ্রাস একটি ছোট দেশ এবং এটি একটি অস্থির অঞ্চলের মাঝে অবস্থিত। এ কারণে আমরা ক্রমাগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরব, তবে সরকারেরও এগিয়ে আসা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে নির্মাণ খাতে ব্যাপক উল্লম্ফনের সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় দেশের (অ-ইইউ) নাগরিকদের বিপুল পরিমাণে রিয়েল এস্টেট ক্রয় লক্ষ্য করা গেছে। সাইপ্রাসের তুলনায় অনেক বড় দেশ—যেমন স্পেন, ইতালি, এমনকি জার্মানি—তৃতীয় দেশের নাগরিকদের কাছে রিয়েল এস্টেট বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কারণ একদিকে তারা তাদের ভূমি সুরক্ষিত রাখতে চায়, আর অন্যদিকে রিয়েল এস্টেটের দামও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।’
এ ইস্যুতে পার্লামেন্টে দুটি বিল উত্থাপন করেছে আকেল দল। বিল দুটির লক্ষ্য হলো, তথাকথিত ‘গোল্ডেন ভিসা’ সীমিত ও পর্যবেক্ষণযোগ্য করে তোলা। এই ভিসাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের দেওয়া হয়। ভিসাটি পেতে সাইপ্রাসে অন্তত ৩ লাখ ইউরোর রিয়েল এস্টেট বা কোম্পানির শেয়ার কিনতে হয়। বিলের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, অন্য বিকল্প যেসব পন্থার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিকেরা জমি কিনতে পারেন, সেগুলোও নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা।
আকেল বলছে, ইসরায়েলিরা যেসব সম্পত্তি কিনছে, সেগুলো মূলত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর আশপাশে সংবেদনশীল ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে স্তেফানোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাইপ্রাস মেইল। স্তেফানো সাইপ্রাস মেইলকে এসব সংবেদনশীল স্থাপনার উদাহরণ হিসেবে ন্যাশনাল গার্ডের স্থাপনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তবে, নির্দিষ্ট করে কোনো নাম বলেননি তিনি।
সাইবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকেল নেতা ব্যাখ্যা করেন, কেন তাঁদের দলের নজর ইসরায়েলি নাগরিকদের দিকে। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে লিমাসোল ও লারনাকা অঞ্চলে ব্যাপক হারে রিয়েল এস্টেট কিনছে ইসরায়েলিরা। নির্দিষ্ট কিছু এলাকা এমনভাবে কেনা হচ্ছে, যাতে সেখানে গেটেড কমিউনিটি গড়ে উঠছে। ফলে কার্যত ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়া অন্য কারও জন্য সেখানে প্রবেশের আর সুযোগ থাকছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে জায়নবাদী স্কুল নির্মাণ হচ্ছে, সিনাগগও নির্মিত হচ্ছে। ইসরায়েল যেন সাইপ্রাসে একটি ব্যাকইয়ার্ড তৈরি করছে। যেমনটি তাদের দেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।’ স্তেফানোর দাবি, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইসরায়েলিদের এসব কার্যকলাপ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি লারনাকা বা লিমাসোলে যান, সেখানকার মানুষ আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার কথা বলবে, যেখানে এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব উপেক্ষা করে যাচ্ছে।’
এর আগে গত সপ্তাহে তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে একসময় আমরা দেখব—আমাদের নিজেদের ভূমি আর আমাদের নেই!’
সম্প্রতি পার্লামেন্টে এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকার বিদেশি নাগরিকদের দ্বারা সাইপ্রাসে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লারনাকায় ইসরায়েলি নাগরিকেরা সম্পত্তি ক্রয়ের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। সেখানে ইসরায়েলিরা মোট ১ হাজার ৪০৬টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৪৮১টির মালিকানা দলিল রয়েছে। এ ছাড়া লারনাকায় লেবানিজ নাগরিকেরা ১ হাজার ৭৪৪টি এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ২ হাজার ৭৪৩টি সম্পত্তি কিনেছে।
সরকারি তথ্যে দেখা যায়, লিমাসোল জেলাতেও ইসরায়েলিরা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে—সেখানে তাঁরা ১ হাজার ১৫৪টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৫১১টির মালিকানা দলিল রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ১ হাজার ৮৪০টি এবং রুশ নাগরিকেরা ২ হাজার ৫৬১টি সম্পত্তি কিনেছে। আর সব জেলায়ই সাইপ্রাসের নাগরিকেরাই সম্পত্তি ক্রয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেও সাইপ্রাসে পালিয়েছিলেন।
সে হিসেবে সাইপ্রাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে বেশ উষ্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রিয়েল এস্টেটে ইসরায়েলিদের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ নিয়ে সাইপ্রাসে সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকেরা সহজেই সাইপ্রাসে জমি কিনতে পারেন। কিন্তু এই জোটের বাইরে দেশগুলোর জন্য নিয়মকানুন আলাদা। এরপরও ইসরায়েলের নাগরিকদের সাইপ্রাসে ব্যাপক হারে ভূমি ও রিয়েল এস্টেট কেনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির বামপন্থী রাজনৈতিক দল আকেল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রদানের প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন আইন প্রস্তাব করছে দলটি। দেশটির সংবাদমাধ্যম সাইপ্রাস মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে গুরুত্বারোপ করল দেশটির কোনো রাজনৈতিক দল। আকেল নেতা স্তেফানো স্তেফানো সাইবিসি (CyBC) রেডিওকে বলেন, ‘সাইপ্রাস একটি ছোট দেশ এবং এটি একটি অস্থির অঞ্চলের মাঝে অবস্থিত। এ কারণে আমরা ক্রমাগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরব, তবে সরকারেরও এগিয়ে আসা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে নির্মাণ খাতে ব্যাপক উল্লম্ফনের সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় দেশের (অ-ইইউ) নাগরিকদের বিপুল পরিমাণে রিয়েল এস্টেট ক্রয় লক্ষ্য করা গেছে। সাইপ্রাসের তুলনায় অনেক বড় দেশ—যেমন স্পেন, ইতালি, এমনকি জার্মানি—তৃতীয় দেশের নাগরিকদের কাছে রিয়েল এস্টেট বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কারণ একদিকে তারা তাদের ভূমি সুরক্ষিত রাখতে চায়, আর অন্যদিকে রিয়েল এস্টেটের দামও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।’
এ ইস্যুতে পার্লামেন্টে দুটি বিল উত্থাপন করেছে আকেল দল। বিল দুটির লক্ষ্য হলো, তথাকথিত ‘গোল্ডেন ভিসা’ সীমিত ও পর্যবেক্ষণযোগ্য করে তোলা। এই ভিসাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের দেওয়া হয়। ভিসাটি পেতে সাইপ্রাসে অন্তত ৩ লাখ ইউরোর রিয়েল এস্টেট বা কোম্পানির শেয়ার কিনতে হয়। বিলের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, অন্য বিকল্প যেসব পন্থার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিকেরা জমি কিনতে পারেন, সেগুলোও নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা।
আকেল বলছে, ইসরায়েলিরা যেসব সম্পত্তি কিনছে, সেগুলো মূলত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর আশপাশে সংবেদনশীল ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে স্তেফানোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাইপ্রাস মেইল। স্তেফানো সাইপ্রাস মেইলকে এসব সংবেদনশীল স্থাপনার উদাহরণ হিসেবে ন্যাশনাল গার্ডের স্থাপনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তবে, নির্দিষ্ট করে কোনো নাম বলেননি তিনি।
সাইবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকেল নেতা ব্যাখ্যা করেন, কেন তাঁদের দলের নজর ইসরায়েলি নাগরিকদের দিকে। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে লিমাসোল ও লারনাকা অঞ্চলে ব্যাপক হারে রিয়েল এস্টেট কিনছে ইসরায়েলিরা। নির্দিষ্ট কিছু এলাকা এমনভাবে কেনা হচ্ছে, যাতে সেখানে গেটেড কমিউনিটি গড়ে উঠছে। ফলে কার্যত ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়া অন্য কারও জন্য সেখানে প্রবেশের আর সুযোগ থাকছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে জায়নবাদী স্কুল নির্মাণ হচ্ছে, সিনাগগও নির্মিত হচ্ছে। ইসরায়েল যেন সাইপ্রাসে একটি ব্যাকইয়ার্ড তৈরি করছে। যেমনটি তাদের দেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।’ স্তেফানোর দাবি, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইসরায়েলিদের এসব কার্যকলাপ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি লারনাকা বা লিমাসোলে যান, সেখানকার মানুষ আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার কথা বলবে, যেখানে এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব উপেক্ষা করে যাচ্ছে।’
এর আগে গত সপ্তাহে তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে একসময় আমরা দেখব—আমাদের নিজেদের ভূমি আর আমাদের নেই!’
সম্প্রতি পার্লামেন্টে এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকার বিদেশি নাগরিকদের দ্বারা সাইপ্রাসে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লারনাকায় ইসরায়েলি নাগরিকেরা সম্পত্তি ক্রয়ের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। সেখানে ইসরায়েলিরা মোট ১ হাজার ৪০৬টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৪৮১টির মালিকানা দলিল রয়েছে। এ ছাড়া লারনাকায় লেবানিজ নাগরিকেরা ১ হাজার ৭৪৪টি এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ২ হাজার ৭৪৩টি সম্পত্তি কিনেছে।
সরকারি তথ্যে দেখা যায়, লিমাসোল জেলাতেও ইসরায়েলিরা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে—সেখানে তাঁরা ১ হাজার ১৫৪টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৫১১টির মালিকানা দলিল রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ১ হাজার ৮৪০টি এবং রুশ নাগরিকেরা ২ হাজার ৫৬১টি সম্পত্তি কিনেছে। আর সব জেলায়ই সাইপ্রাসের নাগরিকেরাই সম্পত্তি ক্রয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেও সাইপ্রাসে পালিয়েছিলেন।
সে হিসেবে সাইপ্রাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে বেশ উষ্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রিয়েল এস্টেটে ইসরায়েলিদের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ নিয়ে সাইপ্রাসে সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকেরা সহজেই সাইপ্রাসে জমি কিনতে পারেন। কিন্তু এই জোটের বাইরে দেশগুলোর জন্য নিয়মকানুন আলাদা। এরপরও ইসরায়েলের নাগরিকদের সাইপ্রাসে ব্যাপক হারে ভূমি ও রিয়েল এস্টেট কেনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির বামপন্থী রাজনৈতিক দল আকেল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রদানের প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন আইন প্রস্তাব করছে দলটি। দেশটির সংবাদমাধ্যম সাইপ্রাস মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে গুরুত্বারোপ করল দেশটির কোনো রাজনৈতিক দল। আকেল নেতা স্তেফানো স্তেফানো সাইবিসি (CyBC) রেডিওকে বলেন, ‘সাইপ্রাস একটি ছোট দেশ এবং এটি একটি অস্থির অঞ্চলের মাঝে অবস্থিত। এ কারণে আমরা ক্রমাগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরব, তবে সরকারেরও এগিয়ে আসা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে নির্মাণ খাতে ব্যাপক উল্লম্ফনের সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় দেশের (অ-ইইউ) নাগরিকদের বিপুল পরিমাণে রিয়েল এস্টেট ক্রয় লক্ষ্য করা গেছে। সাইপ্রাসের তুলনায় অনেক বড় দেশ—যেমন স্পেন, ইতালি, এমনকি জার্মানি—তৃতীয় দেশের নাগরিকদের কাছে রিয়েল এস্টেট বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কারণ একদিকে তারা তাদের ভূমি সুরক্ষিত রাখতে চায়, আর অন্যদিকে রিয়েল এস্টেটের দামও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।’
এ ইস্যুতে পার্লামেন্টে দুটি বিল উত্থাপন করেছে আকেল দল। বিল দুটির লক্ষ্য হলো, তথাকথিত ‘গোল্ডেন ভিসা’ সীমিত ও পর্যবেক্ষণযোগ্য করে তোলা। এই ভিসাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের দেওয়া হয়। ভিসাটি পেতে সাইপ্রাসে অন্তত ৩ লাখ ইউরোর রিয়েল এস্টেট বা কোম্পানির শেয়ার কিনতে হয়। বিলের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, অন্য বিকল্প যেসব পন্থার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিকেরা জমি কিনতে পারেন, সেগুলোও নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা।
আকেল বলছে, ইসরায়েলিরা যেসব সম্পত্তি কিনছে, সেগুলো মূলত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর আশপাশে সংবেদনশীল ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে স্তেফানোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাইপ্রাস মেইল। স্তেফানো সাইপ্রাস মেইলকে এসব সংবেদনশীল স্থাপনার উদাহরণ হিসেবে ন্যাশনাল গার্ডের স্থাপনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তবে, নির্দিষ্ট করে কোনো নাম বলেননি তিনি।
সাইবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকেল নেতা ব্যাখ্যা করেন, কেন তাঁদের দলের নজর ইসরায়েলি নাগরিকদের দিকে। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে লিমাসোল ও লারনাকা অঞ্চলে ব্যাপক হারে রিয়েল এস্টেট কিনছে ইসরায়েলিরা। নির্দিষ্ট কিছু এলাকা এমনভাবে কেনা হচ্ছে, যাতে সেখানে গেটেড কমিউনিটি গড়ে উঠছে। ফলে কার্যত ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়া অন্য কারও জন্য সেখানে প্রবেশের আর সুযোগ থাকছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে জায়নবাদী স্কুল নির্মাণ হচ্ছে, সিনাগগও নির্মিত হচ্ছে। ইসরায়েল যেন সাইপ্রাসে একটি ব্যাকইয়ার্ড তৈরি করছে। যেমনটি তাদের দেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।’ স্তেফানোর দাবি, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইসরায়েলিদের এসব কার্যকলাপ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি লারনাকা বা লিমাসোলে যান, সেখানকার মানুষ আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার কথা বলবে, যেখানে এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব উপেক্ষা করে যাচ্ছে।’
এর আগে গত সপ্তাহে তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে একসময় আমরা দেখব—আমাদের নিজেদের ভূমি আর আমাদের নেই!’
সম্প্রতি পার্লামেন্টে এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকার বিদেশি নাগরিকদের দ্বারা সাইপ্রাসে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লারনাকায় ইসরায়েলি নাগরিকেরা সম্পত্তি ক্রয়ের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। সেখানে ইসরায়েলিরা মোট ১ হাজার ৪০৬টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৪৮১টির মালিকানা দলিল রয়েছে। এ ছাড়া লারনাকায় লেবানিজ নাগরিকেরা ১ হাজার ৭৪৪টি এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ২ হাজার ৭৪৩টি সম্পত্তি কিনেছে।
সরকারি তথ্যে দেখা যায়, লিমাসোল জেলাতেও ইসরায়েলিরা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে—সেখানে তাঁরা ১ হাজার ১৫৪টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৫১১টির মালিকানা দলিল রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ১ হাজার ৮৪০টি এবং রুশ নাগরিকেরা ২ হাজার ৫৬১টি সম্পত্তি কিনেছে। আর সব জেলায়ই সাইপ্রাসের নাগরিকেরাই সম্পত্তি ক্রয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকেই ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেও সাইপ্রাসে পালিয়েছিলেন।
সে হিসেবে সাইপ্রাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে বেশ উষ্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রিয়েল এস্টেটে ইসরায়েলিদের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ নিয়ে সাইপ্রাসে সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিকেরা সহজেই সাইপ্রাসে জমি কিনতে পারেন। কিন্তু এই জোটের বাইরে দেশগুলোর জন্য নিয়মকানুন আলাদা। এরপরও ইসরায়েলের নাগরিকদের সাইপ্রাসে ব্যাপক হারে ভূমি ও রিয়েল এস্টেট কেনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির বামপন্থী রাজনৈতিক দল আকেল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘গোল্ডেন ভিসা’ প্রদানের প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে নতুন আইন প্রস্তাব করছে দলটি। দেশটির সংবাদমাধ্যম সাইপ্রাস মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো এই ইস্যুতে গুরুত্বারোপ করল দেশটির কোনো রাজনৈতিক দল। আকেল নেতা স্তেফানো স্তেফানো সাইবিসি (CyBC) রেডিওকে বলেন, ‘সাইপ্রাস একটি ছোট দেশ এবং এটি একটি অস্থির অঞ্চলের মাঝে অবস্থিত। এ কারণে আমরা ক্রমাগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরব, তবে সরকারেরও এগিয়ে আসা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে নির্মাণ খাতে ব্যাপক উল্লম্ফনের সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় দেশের (অ-ইইউ) নাগরিকদের বিপুল পরিমাণে রিয়েল এস্টেট ক্রয় লক্ষ্য করা গেছে। সাইপ্রাসের তুলনায় অনেক বড় দেশ—যেমন স্পেন, ইতালি, এমনকি জার্মানি—তৃতীয় দেশের নাগরিকদের কাছে রিয়েল এস্টেট বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। কারণ একদিকে তারা তাদের ভূমি সুরক্ষিত রাখতে চায়, আর অন্যদিকে রিয়েল এস্টেটের দামও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।’
এ ইস্যুতে পার্লামেন্টে দুটি বিল উত্থাপন করেছে আকেল দল। বিল দুটির লক্ষ্য হলো, তথাকথিত ‘গোল্ডেন ভিসা’ সীমিত ও পর্যবেক্ষণযোগ্য করে তোলা। এই ভিসাটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের নাগরিকদের দেওয়া হয়। ভিসাটি পেতে সাইপ্রাসে অন্তত ৩ লাখ ইউরোর রিয়েল এস্টেট বা কোম্পানির শেয়ার কিনতে হয়। বিলের আরও একটি উদ্দেশ্য হলো, অন্য বিকল্প যেসব পন্থার মাধ্যমে তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিকেরা জমি কিনতে পারেন, সেগুলোও নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা।
আকেল বলছে, ইসরায়েলিরা যেসব সম্পত্তি কিনছে, সেগুলো মূলত সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর আশপাশে সংবেদনশীল ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা জানতে স্তেফানোর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাইপ্রাস মেইল। স্তেফানো সাইপ্রাস মেইলকে এসব সংবেদনশীল স্থাপনার উদাহরণ হিসেবে ন্যাশনাল গার্ডের স্থাপনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তবে, নির্দিষ্ট করে কোনো নাম বলেননি তিনি।
সাইবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকেল নেতা ব্যাখ্যা করেন, কেন তাঁদের দলের নজর ইসরায়েলি নাগরিকদের দিকে। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে লিমাসোল ও লারনাকা অঞ্চলে ব্যাপক হারে রিয়েল এস্টেট কিনছে ইসরায়েলিরা। নির্দিষ্ট কিছু এলাকা এমনভাবে কেনা হচ্ছে, যাতে সেখানে গেটেড কমিউনিটি গড়ে উঠছে। ফলে কার্যত ইসরায়েলি নাগরিক ছাড়া অন্য কারও জন্য সেখানে প্রবেশের আর সুযোগ থাকছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে জায়নবাদী স্কুল নির্মাণ হচ্ছে, সিনাগগও নির্মিত হচ্ছে। ইসরায়েল যেন সাইপ্রাসে একটি ব্যাকইয়ার্ড তৈরি করছে। যেমনটি তাদের দেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।’ স্তেফানোর দাবি, স্থানীয় বাসিন্দারাও ইসরায়েলিদের এসব কার্যকলাপ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি লারনাকা বা লিমাসোলে যান, সেখানকার মানুষ আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার কথা বলবে, যেখানে এই ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব উপেক্ষা করে যাচ্ছে।’
এর আগে গত সপ্তাহে তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে একসময় আমরা দেখব—আমাদের নিজেদের ভূমি আর আমাদের নেই!’
সম্প্রতি পার্লামেন্টে এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকার বিদেশি নাগরিকদের দ্বারা সাইপ্রাসে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত লারনাকায় ইসরায়েলি নাগরিকেরা সম্পত্তি ক্রয়ের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। সেখানে ইসরায়েলিরা মোট ১ হাজার ৪০৬টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৪৮১টির মালিকানা দলিল রয়েছে। এ ছাড়া লারনাকায় লেবানিজ নাগরিকেরা ১ হাজার ৭৪৪টি এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ২ হাজার ৭৪৩টি সম্পত্তি কিনেছে।
সরকারি তথ্যে দেখা যায়, লিমাসোল জেলাতেও ইসরায়েলিরা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে—সেখানে তাঁরা ১ হাজার ১৫৪টি সম্পত্তি কিনেছে, যার মধ্যে ৫১১টির মালিকানা দলিল রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ১ হাজার ৮৪০টি এবং রুশ নাগরিকেরা ২ হাজার ৫৬১টি সম্পত্তি কিনেছে। আর সব জেলায়ই সাইপ্রাসের নাগরিকেরাই সম্পত্তি ক্রয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল গাদ্দাফিকে মুক্ত করতে লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছে লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি হানিবালের মুক্তির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিন দাবি করেছিল লেবাননের আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মামদানিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ট্রাম্পের মতে, মামদানিকে ভোট দেওয়া মানে ‘বোকামি’।
৪ ঘণ্টা আগে
সুদানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এক ভয়ংকর নাম—মোহাম্মদ হামদান দাগোলো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এখন দেশের অর্ধেক ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি শিন (Shein) তাদের প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের ‘সেক্স ডল’ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে ‘শিশুসুলভ চেহারার’ পণ্য প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠার পরই কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল গাদ্দাফিকে মুক্ত করতে লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছে লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি হানিবালের মুক্তির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিন দাবি করেছিল লেবাননের আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা।
লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পুত্র হানিবাল ২০১৫ সাল থেকে কোনো বিচার ছাড়াই লেবাননের কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লেবাননের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুসা আল সদরের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য লুকিয়ে রেখেছেন।
মুসা আল সদর ১৯৭৮ সালে গাদ্দাফির আমন্ত্রণে লিবিয়ায় সফরে যান এবং সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। সদর যখন নিখোঁজ হন, হানিবাল তখন মাত্র দুই বছরের শিশু। তাই এই বিষয়ে কোনো তথ্য গোপনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, গত মাসে (অক্টোবর) লেবাননের আদালত হানিবালকে ১১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মুক্তির নির্দেশ দেন। তবে হানিবালের আইনজীবীরা তখন দাবি করেন, বিপুল এই অর্থ পরিশোধে তিনি সক্ষম নন। এ ছাড়া আদালতের আদেশ অনুযায়ী, হানিবালকে মুক্তি দেওয়া হলেও লেবানন ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অতীতে তিনি বন্দী অবস্থায় অনশন ধর্মঘটও পালন করেছিলেন।
এদিকে হানিবালের দেশ লিবিয়ান এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হানিবাল হয়তো লেবানন ও লিবিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের অংশ হিসেবে ছাড়পত্র পেতে পারেন।
লিবিয়ার প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইব্রাহিম দবাইবাহ। তিনি ত্রিপোলির জাতীয় একতা সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবাইবাহর ভাগনে। মুয়াম্মার গাদ্দাফির পরিবারের সঙ্গে দবাইবাহ পরিবারের একসময় শক্তিশালী ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।
প্রতিনিধি দলটি লেবাননের প্রেসিডেন্ট সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য ও ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকারের যোগাযোগ ও রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওয়ালিদ এল লাফি সরাসরি হানিবালের মামলার উল্লেখ না করে জানান, তাঁরা দুই দেশের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও বিচারিক সম্পর্ক আবারও চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আশা করি এই সফর শিগগিরই দৃশ্যমান ফলাফল দেবে।’
তিনি জানান, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে লেবাননের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গেছে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন সহ দেশটির সংসদের স্পিকার নাবিহ বের্রি এই আলোচনার প্রতি ইতিবাচক মনোভব দেখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নাবিহ বের্রি হলেন ‘আমাল আন্দোলন’ এর নেতা। বহু বছর আগে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ মুসা আল সদরই এই আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সদরের নিখোঁজ হওয়া এখনো লেবাননে গভীর অনুভূতি জাগায়। সদরের সঙ্গে তাঁর দুই সঙ্গী, শেখ মুহাম্মদ ইয়াকুব ও সাংবাদিক আব্বাস বাদরেদ্দিনও নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাই হানিবালের মুক্তির বিষয়ে সব ধরনের সমাধান ও চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ইয়াকুবের পরিবার।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের সময় লিবিয়া ত্যাগ করেছিলেন হানিবাল। পরে তিনি তাঁর লেবানিজ স্ত্রী আলিন স্কাফ ও সন্তানদের নিয়ে সিরিয়ায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় একটি সশস্ত্র গ্রুপ তাঁকে অপহরণ করে লেবানন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। তখন থেকেই তিনি লেবাননের কারাগারে আছেন।

মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল গাদ্দাফিকে মুক্ত করতে লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছে লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি হানিবালের মুক্তির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিন দাবি করেছিল লেবাননের আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা।
লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পুত্র হানিবাল ২০১৫ সাল থেকে কোনো বিচার ছাড়াই লেবাননের কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লেবাননের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুসা আল সদরের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য লুকিয়ে রেখেছেন।
মুসা আল সদর ১৯৭৮ সালে গাদ্দাফির আমন্ত্রণে লিবিয়ায় সফরে যান এবং সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। সদর যখন নিখোঁজ হন, হানিবাল তখন মাত্র দুই বছরের শিশু। তাই এই বিষয়ে কোনো তথ্য গোপনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, গত মাসে (অক্টোবর) লেবাননের আদালত হানিবালকে ১১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মুক্তির নির্দেশ দেন। তবে হানিবালের আইনজীবীরা তখন দাবি করেন, বিপুল এই অর্থ পরিশোধে তিনি সক্ষম নন। এ ছাড়া আদালতের আদেশ অনুযায়ী, হানিবালকে মুক্তি দেওয়া হলেও লেবানন ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। অতীতে তিনি বন্দী অবস্থায় অনশন ধর্মঘটও পালন করেছিলেন।
এদিকে হানিবালের দেশ লিবিয়ান এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হানিবাল হয়তো লেবানন ও লিবিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের অংশ হিসেবে ছাড়পত্র পেতে পারেন।
লিবিয়ার প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইব্রাহিম দবাইবাহ। তিনি ত্রিপোলির জাতীয় একতা সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবাইবাহর ভাগনে। মুয়াম্মার গাদ্দাফির পরিবারের সঙ্গে দবাইবাহ পরিবারের একসময় শক্তিশালী ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল।
প্রতিনিধি দলটি লেবাননের প্রেসিডেন্ট সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য ও ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকারের যোগাযোগ ও রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী ওয়ালিদ এল লাফি সরাসরি হানিবালের মামলার উল্লেখ না করে জানান, তাঁরা দুই দেশের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও বিচারিক সম্পর্ক আবারও চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আশা করি এই সফর শিগগিরই দৃশ্যমান ফলাফল দেবে।’
তিনি জানান, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে লেবাননের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গেছে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন সহ দেশটির সংসদের স্পিকার নাবিহ বের্রি এই আলোচনার প্রতি ইতিবাচক মনোভব দেখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নাবিহ বের্রি হলেন ‘আমাল আন্দোলন’ এর নেতা। বহু বছর আগে লিবিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ মুসা আল সদরই এই আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
সদরের নিখোঁজ হওয়া এখনো লেবাননে গভীর অনুভূতি জাগায়। সদরের সঙ্গে তাঁর দুই সঙ্গী, শেখ মুহাম্মদ ইয়াকুব ও সাংবাদিক আব্বাস বাদরেদ্দিনও নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাই হানিবালের মুক্তির বিষয়ে সব ধরনের সমাধান ও চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ইয়াকুবের পরিবার।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের সময় লিবিয়া ত্যাগ করেছিলেন হানিবাল। পরে তিনি তাঁর লেবানিজ স্ত্রী আলিন স্কাফ ও সন্তানদের নিয়ে সিরিয়ায় বসবাস করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় একটি সশস্ত্র গ্রুপ তাঁকে অপহরণ করে লেবানন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। তখন থেকেই তিনি লেবাননের কারাগারে আছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু...
২৭ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মামদানিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ট্রাম্পের মতে, মামদানিকে ভোট দেওয়া মানে ‘বোকামি’।
৪ ঘণ্টা আগে
সুদানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এক ভয়ংকর নাম—মোহাম্মদ হামদান দাগোলো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এখন দেশের অর্ধেক ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি শিন (Shein) তাদের প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের ‘সেক্স ডল’ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে ‘শিশুসুলভ চেহারার’ পণ্য প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠার পরই কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মামদানিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ট্রাম্পের মতে, মামদানিকে ভোট দেওয়া মানে ‘বোকামি’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি একজন ইহুদিবিদ্বেষী। এটা জেনেও কোনো ইহুদি ব্যক্তি যদি তাকে ভোট দেয়, তাহলে সে স্বঘোষিত ও প্রমাণিত ইহুদিবিদ্বেষী। সেই সঙ্গে সে একজন বোকা মানুষ!!!’
এর আগে গত রোববার (২ নভেস্বর) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৩৪ বছর বয়সী মামদানি নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হওয়ার দৌড়ে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মামদানিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ট্রাম্পের মতে, মামদানিকে ভোট দেওয়া মানে ‘বোকামি’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি একজন ইহুদিবিদ্বেষী। এটা জেনেও কোনো ইহুদি ব্যক্তি যদি তাকে ভোট দেয়, তাহলে সে স্বঘোষিত ও প্রমাণিত ইহুদিবিদ্বেষী। সেই সঙ্গে সে একজন বোকা মানুষ!!!’
এর আগে গত রোববার (২ নভেস্বর) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৩৪ বছর বয়সী মামদানি নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হওয়ার দৌড়ে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু...
২৭ জুন ২০২৫
মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল গাদ্দাফিকে মুক্ত করতে লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছে লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি হানিবালের মুক্তির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিন দাবি করেছিল লেবাননের আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
সুদানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এক ভয়ংকর নাম—মোহাম্মদ হামদান দাগোলো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এখন দেশের অর্ধেক ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি শিন (Shein) তাদের প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের ‘সেক্স ডল’ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে ‘শিশুসুলভ চেহারার’ পণ্য প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠার পরই কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুদানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এক ভয়ংকর নাম—মোহাম্মদ হামদান দাগোলো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এখন দেশের অর্ধেক ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্প্রতি তারা সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশের শহর দখল করে নিয়েছে। জাতিসংঘ স্বীকৃত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত ১৮ মাস ধরে আরএসএফ-এর অবরোধের কারণে ওই শহরটি এখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পড়েছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দাগোলো কখনোই সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষিত হননি। তাঁর পরিবার ছিল রিজেইগাত সম্প্রদায়ের মহারিয়া শাখার উট ব্যবসায়ী। ১৯৭৪ বা ১৯৭৫ সালে জন্ম নেওয়া দাগোলো তাই কিশোর বয়সেই স্কুল ছেড়ে উট বিক্রি করে জীবিকা শুরু করেন। পরে তিনি লিবিয়া ও মিসরে উটের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেন।
সেই সময়টিতে দারফুর ছিল একটি আইনহীন বিশৃঙ্খল অঞ্চল। আরব মিলিশিয়া জাঞ্জাউইদ গোষ্ঠী এখানকার ফুর জনগোষ্ঠীর গ্রামগুলোতে প্রায় সময়ই হামলা চালাত।
২০০৩ সালে এই দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দারফুরে বিদ্রোহ শুরু হলে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির হামলাকারী জাঞ্জাউইদ বাহিনীকেই রাষ্ট্রীয় সমর্থন দেন। এর ফলে গণহত্যা, ধর্ষণ ও গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তারা ফুর জনগোষ্ঠীর বিদ্রোহ দমন করে। দাগোলোর নেতৃত্বাধীন একটি ইউনিটও ২০০৪ সালে আদওয়া গ্রামে ১২৬ জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই সংঘাতকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেয়, যদিও দাগোলো ছিলেন তখন তুলনামূলক নিম্নপদস্থ কমান্ডার।
তবে কৌশলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করেন দাগোলো। প্রথমে তিনি সেনাদের বকেয়া বেতন ও ভাইয়ের জন্য পদ দাবি করে বিদ্রোহ করেন। পরে প্রেসিডেন্ট বশির তাঁকে পুরস্কৃত করে শান্ত করেন।
এ অবস্থায় দারফুরের জেবেল আমির সোনার খনি দখল করে পারিবারিক কোম্পানি ‘আল-গুনাইদ’ গড়ে তোলেন দাগোলো। অল্প সময়েই এটি সুদানের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ রপ্তানিকারক হয়ে ওঠে।
২০১৩ সালে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গঠন করেন তিনি, যা সরাসরি আল-বশিরের অধীনে কাজ করত। পরে এই বাহিনী ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে ভাড়াটে সৈন্য পাঠায়। এর মাধ্যমে দাগোলো আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং স্বর্ণ ও অস্ত্র ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হন।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট বশিরবিরোধী আন্দোলনের সময় সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে মিলে বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন দাগোলো। প্রথমে তাঁকে সংস্কারের প্রতীক হিসেবে দেখা হলেও অচিরেই তিনি তাঁর নির্মম মুখোশ খুলে ফেলেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালায় দাগোলোর বাহিনী আরএসএফ। এতে শত শত মানুষ নিহত হয় এবং নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগও ওঠে।
২০২১ সালে বুরহান ও দাগোলো একসঙ্গে ক্ষমতা দখল করলেও শিগগিরই তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসতে আরএসএফ অস্বীকৃতি জানায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়, যা এখনো চলছে। এই সংঘাতে রাজধানী খার্তুমসহ দারফুরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেবে শুধু দারফুরেই নিহত হয়েছে ১৫ হাজার সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে।
বর্তমানে আরএসএফ উন্নত ড্রোনসহ আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এবং পশ্চিম সুদানের প্রায় সব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। দাগোলো এখন ‘শান্তি ও ঐক্যের সরকার’ নামে এক সমান্তরাল সরকার গঠন করেছেন এবং নিজেকে তার প্রধান ঘোষণা করেছেন।
সুদানের অনেকে মনে করেন, দাগোলো হয়তো একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছেন, অথবা পুরো দেশ শাসনের স্বপ্ন দেখছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, তিনি এমন এক রাজনৈতিক ছায়াশক্তি হতে চান—যার হাতে থাকবে ব্যবসা, ভাড়াটে বাহিনী ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ—যাতে সরাসরি ক্ষমতায় না থেকেও তিনি পুরো দেশ পরিচালনা করতে পারেন।

সুদানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এক ভয়ংকর নাম—মোহাম্মদ হামদান দাগোলো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এখন দেশের অর্ধেক ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। সম্প্রতি তারা সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশের শহর দখল করে নিয়েছে। জাতিসংঘ স্বীকৃত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত ১৮ মাস ধরে আরএসএফ-এর অবরোধের কারণে ওই শহরটি এখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে পড়েছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দাগোলো কখনোই সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষিত হননি। তাঁর পরিবার ছিল রিজেইগাত সম্প্রদায়ের মহারিয়া শাখার উট ব্যবসায়ী। ১৯৭৪ বা ১৯৭৫ সালে জন্ম নেওয়া দাগোলো তাই কিশোর বয়সেই স্কুল ছেড়ে উট বিক্রি করে জীবিকা শুরু করেন। পরে তিনি লিবিয়া ও মিসরে উটের ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেন।
সেই সময়টিতে দারফুর ছিল একটি আইনহীন বিশৃঙ্খল অঞ্চল। আরব মিলিশিয়া জাঞ্জাউইদ গোষ্ঠী এখানকার ফুর জনগোষ্ঠীর গ্রামগুলোতে প্রায় সময়ই হামলা চালাত।
২০০৩ সালে এই দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দারফুরে বিদ্রোহ শুরু হলে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির হামলাকারী জাঞ্জাউইদ বাহিনীকেই রাষ্ট্রীয় সমর্থন দেন। এর ফলে গণহত্যা, ধর্ষণ ও গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তারা ফুর জনগোষ্ঠীর বিদ্রোহ দমন করে। দাগোলোর নেতৃত্বাধীন একটি ইউনিটও ২০০৪ সালে আদওয়া গ্রামে ১২৬ জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এই সংঘাতকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেয়, যদিও দাগোলো ছিলেন তখন তুলনামূলক নিম্নপদস্থ কমান্ডার।
তবে কৌশলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করেন দাগোলো। প্রথমে তিনি সেনাদের বকেয়া বেতন ও ভাইয়ের জন্য পদ দাবি করে বিদ্রোহ করেন। পরে প্রেসিডেন্ট বশির তাঁকে পুরস্কৃত করে শান্ত করেন।
এ অবস্থায় দারফুরের জেবেল আমির সোনার খনি দখল করে পারিবারিক কোম্পানি ‘আল-গুনাইদ’ গড়ে তোলেন দাগোলো। অল্প সময়েই এটি সুদানের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ রপ্তানিকারক হয়ে ওঠে।
২০১৩ সালে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গঠন করেন তিনি, যা সরাসরি আল-বশিরের অধীনে কাজ করত। পরে এই বাহিনী ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে ভাড়াটে সৈন্য পাঠায়। এর মাধ্যমে দাগোলো আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং স্বর্ণ ও অস্ত্র ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হন।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট বশিরবিরোধী আন্দোলনের সময় সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে মিলে বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করেন দাগোলো। প্রথমে তাঁকে সংস্কারের প্রতীক হিসেবে দেখা হলেও অচিরেই তিনি তাঁর নির্মম মুখোশ খুলে ফেলেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালায় দাগোলোর বাহিনী আরএসএফ। এতে শত শত মানুষ নিহত হয় এবং নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগও ওঠে।
২০২১ সালে বুরহান ও দাগোলো একসঙ্গে ক্ষমতা দখল করলেও শিগগিরই তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আসতে আরএসএফ অস্বীকৃতি জানায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়, যা এখনো চলছে। এই সংঘাতে রাজধানী খার্তুমসহ দারফুরে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেবে শুধু দারফুরেই নিহত হয়েছে ১৫ হাজার সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে।
বর্তমানে আরএসএফ উন্নত ড্রোনসহ আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এবং পশ্চিম সুদানের প্রায় সব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। দাগোলো এখন ‘শান্তি ও ঐক্যের সরকার’ নামে এক সমান্তরাল সরকার গঠন করেছেন এবং নিজেকে তার প্রধান ঘোষণা করেছেন।
সুদানের অনেকে মনে করেন, দাগোলো হয়তো একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছেন, অথবা পুরো দেশ শাসনের স্বপ্ন দেখছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, তিনি এমন এক রাজনৈতিক ছায়াশক্তি হতে চান—যার হাতে থাকবে ব্যবসা, ভাড়াটে বাহিনী ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ—যাতে সরাসরি ক্ষমতায় না থেকেও তিনি পুরো দেশ পরিচালনা করতে পারেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু...
২৭ জুন ২০২৫
মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল গাদ্দাফিকে মুক্ত করতে লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছে লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি হানিবালের মুক্তির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিন দাবি করেছিল লেবাননের আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মামদানিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ট্রাম্পের মতে, মামদানিকে ভোট দেওয়া মানে ‘বোকামি’।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি শিন (Shein) তাদের প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের ‘সেক্স ডল’ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে ‘শিশুসুলভ চেহারার’ পণ্য প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠার পরই কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি শিন (Shein) তাদের প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের ‘সেক্স ডল’ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে ‘শিশুসুলভ চেহারার’ পণ্য প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠার পরই কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষের দিকে ফ্রান্সের অলাভজনক সংস্থা কনজ্যুমার ওয়াচডগ প্রথম এই সেক্স ডলগুলো নিয়ে আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করে। কনজ্যুমার ওয়াচডগ জানায়, এসব পণ্যের বিবরণী ও আকৃতি অনেকটা ‘শিশু পর্নোগ্রাফির’ মতো।
এরপর গতকাল সোমবার কোম্পানিটি জানায়, তারা ‘অবৈধ বা অসংগতিপূর্ণ সেক্স ডল বিক্রির সঙ্গে যুক্ত সব বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট’ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে। শিন আরও জানায়, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা সাময়িকভাবে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক পণ্যের বিভাগটিও সরিয়ে নিয়েছে।
শিন নিশ্চিত করেছে, তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ‘সেক্স ডল’ সম্পর্কিত প্রত্যেকটি তালিকা ও ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, তারা এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে বিক্রেতাদের ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে।
শিনের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান ডোনাল্ড ট্যাং বলেন, ‘আমরা সব সময় শিশুদের ওপর যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমাদের যেসব পণ্য নিয়ে বিতর্ক, সেগুলো তৃতীয় পক্ষের বিক্রেতাদের তালিকাভুক্ত পণ্য ছিল। আমরা এই উৎসগুলো খুঁজে বের করছি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিনের পাশাপাশি অনলাইন আলি এক্সপ্রেস, তেমু ও উইশের বিরুদ্ধেও তারা শিশুদের মতো দেখতে সেক্স ডল বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছে। প্রসিকিউটর অফিস বলেছে, তারা শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফরাসি এক সংস্থার (OFMIN) কাছে এ বিষয়ে তদন্তের ভার দিয়েছে।

বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি শিন (Shein) তাদের প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের ‘সেক্স ডল’ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে ‘শিশুসুলভ চেহারার’ পণ্য প্রদর্শনের অভিযোগ ওঠার পরই কোম্পানিটি এ সিদ্ধান্ত নিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষের দিকে ফ্রান্সের অলাভজনক সংস্থা কনজ্যুমার ওয়াচডগ প্রথম এই সেক্স ডলগুলো নিয়ে আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করে। কনজ্যুমার ওয়াচডগ জানায়, এসব পণ্যের বিবরণী ও আকৃতি অনেকটা ‘শিশু পর্নোগ্রাফির’ মতো।
এরপর গতকাল সোমবার কোম্পানিটি জানায়, তারা ‘অবৈধ বা অসংগতিপূর্ণ সেক্স ডল বিক্রির সঙ্গে যুক্ত সব বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট’ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে। শিন আরও জানায়, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা সাময়িকভাবে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক পণ্যের বিভাগটিও সরিয়ে নিয়েছে।
শিন নিশ্চিত করেছে, তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ‘সেক্স ডল’ সম্পর্কিত প্রত্যেকটি তালিকা ও ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, তারা এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে বিক্রেতাদের ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে।
শিনের কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান ডোনাল্ড ট্যাং বলেন, ‘আমরা সব সময় শিশুদের ওপর যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে। আমাদের যেসব পণ্য নিয়ে বিতর্ক, সেগুলো তৃতীয় পক্ষের বিক্রেতাদের তালিকাভুক্ত পণ্য ছিল। আমরা এই উৎসগুলো খুঁজে বের করছি এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিনের পাশাপাশি অনলাইন আলি এক্সপ্রেস, তেমু ও উইশের বিরুদ্ধেও তারা শিশুদের মতো দেখতে সেক্স ডল বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছে। প্রসিকিউটর অফিস বলেছে, তারা শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফরাসি এক সংস্থার (OFMIN) কাছে এ বিষয়ে তদন্তের ভার দিয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে ইহুদিদের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে ইউরোপের দেশ সাইপ্রাস। বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বৃহত্তম আশ্রয়শিবির হয়ে উঠেছিল এই দ্বীপ দেশ। সর্বশেষ ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ও হাজার হাজার ইহুদি সাইপ্রাসে আশ্রয় নিয়েছিল। শোনা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু...
২৭ জুন ২০২৫
মুয়াম্মার গাদ্দাফির পঞ্চম পুত্র হানিবাল গাদ্দাফিকে মুক্ত করতে লেবাননের বৈরুতে পৌঁছেছে লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি হানিবালের মুক্তির জন্য ১১ মিলিয়ন ডলারের জামিন দাবি করেছিল লেবাননের আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা।
৩ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তাঁরা যেন মামদানিকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ট্রাম্পের মতে, মামদানিকে ভোট দেওয়া মানে ‘বোকামি’।
৪ ঘণ্টা আগে
সুদানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন এক ভয়ংকর নাম—মোহাম্মদ হামদান দাগোলো, যিনি ‘হেমেদতি’ নামে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এখন দেশের অর্ধেক ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে