সম্পাদকীয়
পুলিশের নানা কীর্তির কথা শোনা যায়। পুলিশ সদস্যদের বীরত্বগাথায় যেমন গর্ব হয়, তেমনি পুলিশ সদস্যের ছিনতাই, ঘুষ খাওয়া ইত্যাদি সংবাদ শুনলে বোঝা যায়, জনগণের বন্ধু এই বাহিনী এখনো জনগণের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি।
যদিও আমাদের মির্জাপুর প্রতিনিধির পাঠানো ছিনতাইকারী দুই পুলিশ সদস্যের কাণ্ডকীর্তির কথা ধরেই এই সম্পাদকীয়টি লেখা হচ্ছে, তবু তার বাইরেও যে সত্য রয়েছে, সেদিকেও দৃষ্টিপাত করা হবে। প্রথমেই বলা দরকার, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ বাক্যটি মনোমুগ্ধকর, কিন্তু আদতে তার প্রমাণ কতটা দিতে পেরেছে এই বাহিনী? কেউ কি লক্ষ করেছেন, ঈদের আগে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা কতটা বেড়েছে? রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, গাড়ি, বাস থামিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলছে। কেন এই পরীক্ষা? এই নিয়মনিষ্ঠার গভীরে আর কোনো কারণ আছে কি না, সে প্রশ্ন নাইবা করলাম। তবে এখানে বলে রাখা ভালো, অনেক চালকই তাঁর বাহনের কাগজপত্র ঠিকঠাকভাবে রাখেন না। মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজপত্র নিয়ে দিব্যি বেরিয়ে যান রাস্তায়। ফলে পুলিশ-চালকের মধ্যে সে সময় কোনো অলিখিত ‘চুক্তি’ হলে লাভবান হয় দুই পক্ষই, ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
পুলিশের হেফাজতে থাকা মানে আইনের হেফাজতে থাকা। কিন্তু বিভিন্ন জরিপে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুলিশের অবস্থান খুব একটা আশাপ্রদ নয়। বড় বড় সাহসিকতা কিংবা কীর্তির বিপরীতে পুলিশ বিভাগের যে দুর্নীতির কথা উঠে আসে, তাতে পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগণ কি আর আস্থা রাখতে পারে?
মির্জাপুরে দুই পুলিশ কনস্টেবল পিকআপ থামিয়ে যখন হাতিয়ে নিচ্ছিলেন গরিব চালকের টাকা, তখন তাঁর ও তাঁর সহকারীর চিৎকারে এলাকার মানুষ এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে এই দুজনকে। যদি তাঁদের চিৎকারে এলাকার মানুষ এসে জড়ো না হতো, কনস্টেবল দুজনকে পাকড়াও করতে না পারত, তাহলে এই ছিনতাই নাটকের যবনিকা কেমন হতো? এটা হয়ে থাকত আরও একটি অদৃশ্য ছিনতাই, যার সম্পর্কে কেউ কিছু জানত না, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া দুই কনস্টেবল তখন তাদের পরবর্তী শিকারের জন্য আবার বেরিয়ে আসতেন হাইওয়েতে। হাতের ইশারায় থামাতেন কোনো পিকআপ কিংবা অন্য কোনো বাহন এবং একই কায়দায় মামলার ভয় দেখিয়ে পকেট গরম করতেন।
এ দুই কনস্টেবলের ভাগ্য খারাপ। ঠিকঠাকভাবে ছিনতাই করতে পারলে এবারের ঈদটা বেশ জম্পেশ হয়ে উঠতে পারত তাঁদের। কিন্তু এই তৎপরতা যে পুলিশ বাহিনীর মুখে কালিমা লেপন করল, পরিবারের সদস্যদের মাথা লজ্জায় অবনত করাল, তার দায় কে নেবে?
এ ধরনের নৈতিক স্খলন থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উঠে আসা জরুরি, তাদের কাউন্সেলিং দরকার; কিন্তু সে রকম কোনো আলামত কি দেখা যায়? ভালো পুলিশ ও মন্দ পুলিশের মধ্য থেকে ভালো পুলিশের জয় হবে—এ কথা কি নিশ্চিন্ত মনে বলে দেওয়া যায়?
শাস্তি হোক পুলিশ বাহিনীর এসব দুর্নীতিবাজের। পুলিশ নিজের ভাবমূর্তির দিকে নজর দিক।
পুলিশের নানা কীর্তির কথা শোনা যায়। পুলিশ সদস্যদের বীরত্বগাথায় যেমন গর্ব হয়, তেমনি পুলিশ সদস্যের ছিনতাই, ঘুষ খাওয়া ইত্যাদি সংবাদ শুনলে বোঝা যায়, জনগণের বন্ধু এই বাহিনী এখনো জনগণের প্রকৃত বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি।
যদিও আমাদের মির্জাপুর প্রতিনিধির পাঠানো ছিনতাইকারী দুই পুলিশ সদস্যের কাণ্ডকীর্তির কথা ধরেই এই সম্পাদকীয়টি লেখা হচ্ছে, তবু তার বাইরেও যে সত্য রয়েছে, সেদিকেও দৃষ্টিপাত করা হবে। প্রথমেই বলা দরকার, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’ বাক্যটি মনোমুগ্ধকর, কিন্তু আদতে তার প্রমাণ কতটা দিতে পেরেছে এই বাহিনী? কেউ কি লক্ষ করেছেন, ঈদের আগে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা কতটা বেড়েছে? রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, গাড়ি, বাস থামিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলছে। কেন এই পরীক্ষা? এই নিয়মনিষ্ঠার গভীরে আর কোনো কারণ আছে কি না, সে প্রশ্ন নাইবা করলাম। তবে এখানে বলে রাখা ভালো, অনেক চালকই তাঁর বাহনের কাগজপত্র ঠিকঠাকভাবে রাখেন না। মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজপত্র নিয়ে দিব্যি বেরিয়ে যান রাস্তায়। ফলে পুলিশ-চালকের মধ্যে সে সময় কোনো অলিখিত ‘চুক্তি’ হলে লাভবান হয় দুই পক্ষই, ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাষ্ট্রীয় কোষাগার।
পুলিশের হেফাজতে থাকা মানে আইনের হেফাজতে থাকা। কিন্তু বিভিন্ন জরিপে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুলিশের অবস্থান খুব একটা আশাপ্রদ নয়। বড় বড় সাহসিকতা কিংবা কীর্তির বিপরীতে পুলিশ বিভাগের যে দুর্নীতির কথা উঠে আসে, তাতে পুলিশের প্রতি সাধারণ জনগণ কি আর আস্থা রাখতে পারে?
মির্জাপুরে দুই পুলিশ কনস্টেবল পিকআপ থামিয়ে যখন হাতিয়ে নিচ্ছিলেন গরিব চালকের টাকা, তখন তাঁর ও তাঁর সহকারীর চিৎকারে এলাকার মানুষ এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে এই দুজনকে। যদি তাঁদের চিৎকারে এলাকার মানুষ এসে জড়ো না হতো, কনস্টেবল দুজনকে পাকড়াও করতে না পারত, তাহলে এই ছিনতাই নাটকের যবনিকা কেমন হতো? এটা হয়ে থাকত আরও একটি অদৃশ্য ছিনতাই, যার সম্পর্কে কেউ কিছু জানত না, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া দুই কনস্টেবল তখন তাদের পরবর্তী শিকারের জন্য আবার বেরিয়ে আসতেন হাইওয়েতে। হাতের ইশারায় থামাতেন কোনো পিকআপ কিংবা অন্য কোনো বাহন এবং একই কায়দায় মামলার ভয় দেখিয়ে পকেট গরম করতেন।
এ দুই কনস্টেবলের ভাগ্য খারাপ। ঠিকঠাকভাবে ছিনতাই করতে পারলে এবারের ঈদটা বেশ জম্পেশ হয়ে উঠতে পারত তাঁদের। কিন্তু এই তৎপরতা যে পুলিশ বাহিনীর মুখে কালিমা লেপন করল, পরিবারের সদস্যদের মাথা লজ্জায় অবনত করাল, তার দায় কে নেবে?
এ ধরনের নৈতিক স্খলন থেকে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের উঠে আসা জরুরি, তাদের কাউন্সেলিং দরকার; কিন্তু সে রকম কোনো আলামত কি দেখা যায়? ভালো পুলিশ ও মন্দ পুলিশের মধ্য থেকে ভালো পুলিশের জয় হবে—এ কথা কি নিশ্চিন্ত মনে বলে দেওয়া যায়?
শাস্তি হোক পুলিশ বাহিনীর এসব দুর্নীতিবাজের। পুলিশ নিজের ভাবমূর্তির দিকে নজর দিক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪