সানজিদা সামরিন, ঢাকা
ফাগুন শুধু ফুলেরই নয়, গরমেরও ঋতু। আর গরমে আরামের জন্য চুল যে ছোট করতে হবে, সেটা না বলে দিলেও চলে। এখন ঘরের কাছেই পাওয়া যায় হরেক রকমের সেলুন বা পারলার। সেগুলোতে বিচিত্র কাটে নাপিত চুল কেটে ফেলেন দক্ষ হাতে। আর আপনি বাসায় ফিরে একটা স্নান সেরে ফুরফুরে মেজাজে কফির মগ নিয়ে বসেন।
কিন্তু একবার চোখ বন্ধ করে ছোট্টবেলার কথা মনে করুন। বয়স দুই, তিন, চার অবধি ছেলেমেয়ের চুল ছেঁটে দেন মা-বাবা। এরপর একটু বড় হলে ছেলেটি হয়তো স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বাবার হাত ধরে সেলুনে চলে যায়। অনেক সময় বায়নায় হার মেনে ছেলের সঙ্গে বাবারও চুল ছাঁটতে হয়। ওদিকে মেয়েদের চুলে বহুদিন পর্যন্ত কাঁচি চালিয়ে যান মায়েরা। স্কুল থেকে ফিরে স্নানঘরে চুল ভিজিয়ে চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে টান টান করে চুল আঁচড়ে নিতেন মা। এরপর দুই আঙুলের মাঝে কায়দা করে চুল ধরে ঘ্যাচাং করে কাঁচি চালিয়ে দিতেন। সমান করে কাটা ববছাঁট চুলের সঙ্গে কপালে পড়ে থাকা বেবি কাট চুলের কাটিং কতটুকু নিখুঁত হলো, তা দেখার জন্য তর্জনীতে মেয়ের চিবুক তুলে চলত পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
পারলার কালচার পুরোদমে চালু হওয়ার পর ধীরে ধীরে টিনএজ মেয়েরাও মা, বোন ও বান্ধবীদের সঙ্গে সেখানে যেতে শুরু করল। মুখের আদলের সঙ্গে চুলের ছাঁটের সংগতিতে সায় পেল ইউ কাট, ভি-শেপ, স্টেপ কাট, ফেদারকাট, লেয়ার ইত্যাদি হেয়ারস্টাইল। এই ধরাবাঁধা নিয়মে যুক্ত হলো বাস্তবিক বিষয়। তা হলো, হেয়ার কাট যদি আপনাকে স্বচ্ছন্দ না দেয় তাহলে তা আপনার জন্য নয়। ফলে সুন্দর হেয়ার কাটের চেয়ে হেয়ারকাটটিতে আপনি কতটা স্বচ্ছন্দবোধ করছেন সেটাই আদতে আপনার স্টাইল।
চুল কাটার স্টাইল নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয় পুরো পৃথিবীতেই। বিশ্বে করোনা হানা দেওয়ার পর যখন মানুষ পারলারবিমুখ হলো, তখন ফের ঘরেই চুল কাটতে শুরু করল। তবে অত স্টাইলিশ কাট তো আর দেওয়া যায় না! চুলের আগা ছাঁটা ও কপাল ঘেঁষে নেমে যাওয়া চুলে বেবি বা ব্যাংস কাট। শুধু নিজের লুক পাল্টাতেই নয়, চুল পড়ে যাওয়া রুখতে চুলের ডগা কাটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটাও ঠিক যে পারলারে চুলের আগা কাটা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে মুখে মুখে। গেলেই কর্কশ কামড়ে ইঞ্চি ইঞ্চি চুল কেটে নেয় কাঁচি। কিন্তু ঘরে চুল কাটার পক্ষপাতিত্বে নেই অধিকাংশ মানুষ।
চুল কাটা পুরোটাই নির্ভর করে হাতের নিয়ন্ত্রণের ওপর। আর এর জন্য বেছে নিন চুলের সহজ কাট। ব্লান্ট এন্ডস, সাইড লেয়ার, লেয়ার্ড বব হতে পারে ভালো পছন্দ। আনাড়ি হাতে চুল কাটতে চাইলে অল্পেই সন্তুষ্ট থাকা ভালো। সমান হবে, এই আশা না করাই ভালো। তবে অভিজ্ঞ কারও কাছে কাটালে নিজে পছন্দ করে একটা হেয়ার কাটের ছবি বের করে তাকে দেখাতে পারেন।
ডগা ছাঁটার প্রয়োজন হলে কাটার আগে চুলের আগায় একটু পানি স্প্রে করুন। ঠিক ততটুকুই কাটুন যতটুকু ফেটে গেছে। প্রতি তিন মাস পর পর চুল এতটুকু ছাঁটলেই যথেষ্ট।
অনেকেই আছেন যাঁরা লম্বা চুল চান। নিয়মিত চুলের যত্ন না নিলে লম্বা চুলই সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চুলের ডগা ফেটে গেলে বা নিচ দিকে সরু হয়ে গেলে ছেঁটে ফেলাই ভালো।
ছোট চুলের সুবিধা
টিপস
সূত্র: গুড হাউস কিপিং ও বিউটি হেলথ টিপস
ফাগুন শুধু ফুলেরই নয়, গরমেরও ঋতু। আর গরমে আরামের জন্য চুল যে ছোট করতে হবে, সেটা না বলে দিলেও চলে। এখন ঘরের কাছেই পাওয়া যায় হরেক রকমের সেলুন বা পারলার। সেগুলোতে বিচিত্র কাটে নাপিত চুল কেটে ফেলেন দক্ষ হাতে। আর আপনি বাসায় ফিরে একটা স্নান সেরে ফুরফুরে মেজাজে কফির মগ নিয়ে বসেন।
কিন্তু একবার চোখ বন্ধ করে ছোট্টবেলার কথা মনে করুন। বয়স দুই, তিন, চার অবধি ছেলেমেয়ের চুল ছেঁটে দেন মা-বাবা। এরপর একটু বড় হলে ছেলেটি হয়তো স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বাবার হাত ধরে সেলুনে চলে যায়। অনেক সময় বায়নায় হার মেনে ছেলের সঙ্গে বাবারও চুল ছাঁটতে হয়। ওদিকে মেয়েদের চুলে বহুদিন পর্যন্ত কাঁচি চালিয়ে যান মায়েরা। স্কুল থেকে ফিরে স্নানঘরে চুল ভিজিয়ে চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে টান টান করে চুল আঁচড়ে নিতেন মা। এরপর দুই আঙুলের মাঝে কায়দা করে চুল ধরে ঘ্যাচাং করে কাঁচি চালিয়ে দিতেন। সমান করে কাটা ববছাঁট চুলের সঙ্গে কপালে পড়ে থাকা বেবি কাট চুলের কাটিং কতটুকু নিখুঁত হলো, তা দেখার জন্য তর্জনীতে মেয়ের চিবুক তুলে চলত পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
পারলার কালচার পুরোদমে চালু হওয়ার পর ধীরে ধীরে টিনএজ মেয়েরাও মা, বোন ও বান্ধবীদের সঙ্গে সেখানে যেতে শুরু করল। মুখের আদলের সঙ্গে চুলের ছাঁটের সংগতিতে সায় পেল ইউ কাট, ভি-শেপ, স্টেপ কাট, ফেদারকাট, লেয়ার ইত্যাদি হেয়ারস্টাইল। এই ধরাবাঁধা নিয়মে যুক্ত হলো বাস্তবিক বিষয়। তা হলো, হেয়ার কাট যদি আপনাকে স্বচ্ছন্দ না দেয় তাহলে তা আপনার জন্য নয়। ফলে সুন্দর হেয়ার কাটের চেয়ে হেয়ারকাটটিতে আপনি কতটা স্বচ্ছন্দবোধ করছেন সেটাই আদতে আপনার স্টাইল।
চুল কাটার স্টাইল নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয় পুরো পৃথিবীতেই। বিশ্বে করোনা হানা দেওয়ার পর যখন মানুষ পারলারবিমুখ হলো, তখন ফের ঘরেই চুল কাটতে শুরু করল। তবে অত স্টাইলিশ কাট তো আর দেওয়া যায় না! চুলের আগা ছাঁটা ও কপাল ঘেঁষে নেমে যাওয়া চুলে বেবি বা ব্যাংস কাট। শুধু নিজের লুক পাল্টাতেই নয়, চুল পড়ে যাওয়া রুখতে চুলের ডগা কাটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটাও ঠিক যে পারলারে চুলের আগা কাটা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে মুখে মুখে। গেলেই কর্কশ কামড়ে ইঞ্চি ইঞ্চি চুল কেটে নেয় কাঁচি। কিন্তু ঘরে চুল কাটার পক্ষপাতিত্বে নেই অধিকাংশ মানুষ।
চুল কাটা পুরোটাই নির্ভর করে হাতের নিয়ন্ত্রণের ওপর। আর এর জন্য বেছে নিন চুলের সহজ কাট। ব্লান্ট এন্ডস, সাইড লেয়ার, লেয়ার্ড বব হতে পারে ভালো পছন্দ। আনাড়ি হাতে চুল কাটতে চাইলে অল্পেই সন্তুষ্ট থাকা ভালো। সমান হবে, এই আশা না করাই ভালো। তবে অভিজ্ঞ কারও কাছে কাটালে নিজে পছন্দ করে একটা হেয়ার কাটের ছবি বের করে তাকে দেখাতে পারেন।
ডগা ছাঁটার প্রয়োজন হলে কাটার আগে চুলের আগায় একটু পানি স্প্রে করুন। ঠিক ততটুকুই কাটুন যতটুকু ফেটে গেছে। প্রতি তিন মাস পর পর চুল এতটুকু ছাঁটলেই যথেষ্ট।
অনেকেই আছেন যাঁরা লম্বা চুল চান। নিয়মিত চুলের যত্ন না নিলে লম্বা চুলই সৌন্দর্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চুলের ডগা ফেটে গেলে বা নিচ দিকে সরু হয়ে গেলে ছেঁটে ফেলাই ভালো।
ছোট চুলের সুবিধা
টিপস
সূত্র: গুড হাউস কিপিং ও বিউটি হেলথ টিপস
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪