রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওটিসহ সব অস্ত্রোপচার কক্ষেই থাকে অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকের প্রতিনিধি। কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহায়তায় প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে রোগীকে কৌশলে বাধ্য করা হয় অ্যাকটিভ থেকে রক্ত কিনতে। অন্যদিকে হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের অনেকটাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথেনটিকের দখলে। রোগীর যেকোনো পরীক্ষার দরকার হলে হাসপাতালে না করিয়ে পাঠানো হয় অথেনটিকে। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা না করালে অনেক চিকিৎসক রিপোর্ট পর্যন্ত দেখেন না। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্য একটি সরকারি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী রবিউল ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে যান ডিএমসি হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তাঁর স্ত্রীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে অথেনটিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স। তখন ওয়ার্ডের ভেতরেই উপস্থিত ছিলেন অথেনটিকের এজেন্ট। অথেনটিকে পরীক্ষার ব্যয় বেশি হওয়ায় তিনি সেখান থেকে পরীক্ষা না করিয়ে অন্য সরকারি হাসপাতালে করান। সেই রিপোর্ট দেখেননি কর্তব্যরত চিকিৎসক। এমনকি পরীক্ষা অথেনটিকে না করানোয় রোগীকে হাসপাতাল ছাড়তে হয়।
প্রসূতি বোনকে নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর ডিএমসি হাসপাতালে যান শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এক ওয়ার্ড বয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ওয়ার্ড বয় বলেন, ‘বোনকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরই চিকিৎসক দুই থেকে তিন ব্যাগ রক্ত প্রস্তুত রাখতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে নার্সদের রুম থেকে একজন বলেন তাঁর সঙ্গে যেতে। পরে জানতে পারি, তাঁর নাম জীবন। একজন নার্সও আমাকে ইঙ্গিত দেন ওই ব্যক্তিকে অনুসরণ করতে। অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকে নিয়ে জীবন আমাকে জানান, তিন ব্যাগ রক্তের জন্য ৯ হাজার টাকা লাগবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংক, ট্রান্সফিউশন অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকানায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাশেদসহ প্রায় ১৫ জন। এদের মধ্যে ১০-১২ জন ডিএমসি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। তাঁরা ঢাকা মেডিকেলের ক্যাজুয়ালটি ওটিসহ সব ওটিতেই দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন। চিকিৎসক ও নার্সদের যোগসাজশে ওটিতে যাওয়া সব রোগীকেই অ্যাকটিভ থেকে রক্ত নিতে বাধ্য করা হয়।
রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে ফোনে কথা হয় অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকের অংশীদার ও ঢাকা মেডিকেলের ওয়ার্ড বয় জীবনের সঙ্গে। তিনি জানান, যেকোনো ধরনের রক্ত তাঁর কাছে পাওয়া যাবে। ‘এ নেগেটিভ’ এক ব্যাগ রক্তের জন্য দিতে হবে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। রোগী কোন ওয়ার্ডে আছে, জানালে তাঁরাই রক্ত পৌঁছে দেবেন।
ডিএমসির এক সহকারী অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রোগীর রক্ত লাগলে গ্রুপ জানার আগেই অ্যাকটিভের এজেন্টরা বলে দেয়, পজিটিভ হলে ৩ হাজার আর নেগেটিভ হলে ৭ হাজার টাকা লাগবে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাশেদ এসব ঠিক করে দেন। ডিএমসির ব্লাডব্যাংকের কিছু স্টাফও সরাসরি জড়িত। তাঁরা ক্রস ম্যাচ না করেই রক্ত দিয়ে দেয় পাশের অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকে। বিনা মূল্যের সেই রক্তই রোগীদের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কিনতে হয় অ্যাকটিভ থেকে। একই রক্ত একাধিকবারও বিক্রি হয়। প্রতিবারই কমিশন পান সংশ্লিষ্ট ওটির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকের পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, তিনি কনসালট্যান্ট হিসেবে থাকলেও রক্ত নিয়ে এমন ব্যবসার বিষয়ে জানেন না।
জানা যায়, ডিএমসি হাসপাতালের ইনডোরের ল্যাবের কাজ চলে যায় অথেনটিকে। হাসপাতালের প্রায় সব অন্তর্বিভাগের রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান ও ক্লিনিক্যাল সহকারীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে, তাঁরা সব পরীক্ষা অথেনটিকে পাঠাবেন। ডিএমসির সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, রোগীদের বলা হয় দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে। তাই রোগীদের অথেনটিকে রেফার করতে হবে। সেটি না করলে এই হাসপাতালে থাকতে পারবেন না। ওই চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ইউরোলজি বিভাগের রানা ভাই আর ইএনটির মারজুক ভাই সবাইকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। রানা ভাই স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তাঁরা এক প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতাকে দিয়ে ডাক্তারদের ওপর চাপ দেন। তাঁদের কথা না শুনলে নানা ধরনের নির্যাতন নেমে আসে।’
ডা. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আফজালুল হক রানা অথেনটিক ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন লিমিটেডে তাঁর মালিকানার বিষয়টি স্বীকার করেন। ডিএমসি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নিজের ডায়াগনস্টিকে পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হয় কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন।’
ডিএমসির এক সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘ইনডোরে অনেক ডাক্তারই হাসপাতালের রিপোর্ট গ্রহণ করেন না। তাঁরা সরাসরি অথেনটিকের দালালের কাছে রোগীকে ধরিয়ে দেন অথবা ওয়ার্ড বয় দেখিয়ে দেন যোগাযোগের জন্য। এসব বেশি হয় গাইনি ও ক্যাজুয়ালটিতে।’
গত বুধ ও শনিবার ডিএমসি হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘুরে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে এই গ্রুপটি বেশ সাবধান। তারা ডিএমসি হাসপাতালের স্লিপেই ইনভেস্টিগেশন লেখে, যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে। অ্যাকটিভ ও অথেনটিক ছাড়াও ডিএমসি হাসপাতালের বহির্বিভাগে পিওর সাইন্টেফিক ডায়াগনস্টিক সার্ভিস লি. এবং মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি. নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের দালালদের দেখা পাওয়া যায়।
ডিএমসি হাসপাতালের এক নার্স নেতা জানান, বিএমএর এক প্রভাবশালী নেতার নামেই চলছে এসব অপকর্ম। হাসপাতালের সবাই এসব জানেন। তবে ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। তা ছাড়া, এই গোষ্ঠীর সহযোগী হিসেবে কাজ করলে মোটা অঙ্কের কমিশন মেলে।
এ প্রসঙ্গে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটির নাম আমি শুনেছি। এমন আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। হাসপাতালের চিকিৎসকসহ একটি দুষ্টচক্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে রোগীদের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং হয়রানিতে ফেলছে। এসব পরীক্ষা ও সেবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আছে।’
অধ্যাপক আজিজ আরও বলেন, অপকর্মের সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন, সে যত বড় ক্ষমতাবানই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ, এদের জন্য রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় এবং সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়।
দেশের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওটিসহ সব অস্ত্রোপচার কক্ষেই থাকে অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকের প্রতিনিধি। কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহায়তায় প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে রোগীকে কৌশলে বাধ্য করা হয় অ্যাকটিভ থেকে রক্ত কিনতে। অন্যদিকে হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের অনেকটাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অথেনটিকের দখলে। রোগীর যেকোনো পরীক্ষার দরকার হলে হাসপাতালে না করিয়ে পাঠানো হয় অথেনটিকে। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা না করালে অনেক চিকিৎসক রিপোর্ট পর্যন্ত দেখেন না। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্য একটি সরকারি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী রবিউল ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে যান ডিএমসি হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তাঁর স্ত্রীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে অথেনটিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স। তখন ওয়ার্ডের ভেতরেই উপস্থিত ছিলেন অথেনটিকের এজেন্ট। অথেনটিকে পরীক্ষার ব্যয় বেশি হওয়ায় তিনি সেখান থেকে পরীক্ষা না করিয়ে অন্য সরকারি হাসপাতালে করান। সেই রিপোর্ট দেখেননি কর্তব্যরত চিকিৎসক। এমনকি পরীক্ষা অথেনটিকে না করানোয় রোগীকে হাসপাতাল ছাড়তে হয়।
প্রসূতি বোনকে নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর ডিএমসি হাসপাতালে যান শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এক ওয়ার্ড বয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ওয়ার্ড বয় বলেন, ‘বোনকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করার পরই চিকিৎসক দুই থেকে তিন ব্যাগ রক্ত প্রস্তুত রাখতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে নার্সদের রুম থেকে একজন বলেন তাঁর সঙ্গে যেতে। পরে জানতে পারি, তাঁর নাম জীবন। একজন নার্সও আমাকে ইঙ্গিত দেন ওই ব্যক্তিকে অনুসরণ করতে। অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকে নিয়ে জীবন আমাকে জানান, তিন ব্যাগ রক্তের জন্য ৯ হাজার টাকা লাগবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংক, ট্রান্সফিউশন অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকানায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাশেদসহ প্রায় ১৫ জন। এদের মধ্যে ১০-১২ জন ডিএমসি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। তাঁরা ঢাকা মেডিকেলের ক্যাজুয়ালটি ওটিসহ সব ওটিতেই দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন। চিকিৎসক ও নার্সদের যোগসাজশে ওটিতে যাওয়া সব রোগীকেই অ্যাকটিভ থেকে রক্ত নিতে বাধ্য করা হয়।
রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে ফোনে কথা হয় অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকের অংশীদার ও ঢাকা মেডিকেলের ওয়ার্ড বয় জীবনের সঙ্গে। তিনি জানান, যেকোনো ধরনের রক্ত তাঁর কাছে পাওয়া যাবে। ‘এ নেগেটিভ’ এক ব্যাগ রক্তের জন্য দিতে হবে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। রোগী কোন ওয়ার্ডে আছে, জানালে তাঁরাই রক্ত পৌঁছে দেবেন।
ডিএমসির এক সহকারী অধ্যাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রোগীর রক্ত লাগলে গ্রুপ জানার আগেই অ্যাকটিভের এজেন্টরা বলে দেয়, পজিটিভ হলে ৩ হাজার আর নেগেটিভ হলে ৭ হাজার টাকা লাগবে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাশেদ এসব ঠিক করে দেন। ডিএমসির ব্লাডব্যাংকের কিছু স্টাফও সরাসরি জড়িত। তাঁরা ক্রস ম্যাচ না করেই রক্ত দিয়ে দেয় পাশের অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকে। বিনা মূল্যের সেই রক্তই রোগীদের প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কিনতে হয় অ্যাকটিভ থেকে। একই রক্ত একাধিকবারও বিক্রি হয়। প্রতিবারই কমিশন পান সংশ্লিষ্ট ওটির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
অ্যাকটিভ ব্লাডব্যাংকের পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা ইয়াসমিন বলেন, তিনি কনসালট্যান্ট হিসেবে থাকলেও রক্ত নিয়ে এমন ব্যবসার বিষয়ে জানেন না।
জানা যায়, ডিএমসি হাসপাতালের ইনডোরের ল্যাবের কাজ চলে যায় অথেনটিকে। হাসপাতালের প্রায় সব অন্তর্বিভাগের রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান ও ক্লিনিক্যাল সহকারীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে, তাঁরা সব পরীক্ষা অথেনটিকে পাঠাবেন। ডিএমসির সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, রোগীদের বলা হয় দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে। তাই রোগীদের অথেনটিকে রেফার করতে হবে। সেটি না করলে এই হাসপাতালে থাকতে পারবেন না। ওই চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ইউরোলজি বিভাগের রানা ভাই আর ইএনটির মারজুক ভাই সবাইকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। রানা ভাই স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। তাঁরা এক প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতাকে দিয়ে ডাক্তারদের ওপর চাপ দেন। তাঁদের কথা না শুনলে নানা ধরনের নির্যাতন নেমে আসে।’
ডা. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আফজালুল হক রানা অথেনটিক ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন লিমিটেডে তাঁর মালিকানার বিষয়টি স্বীকার করেন। ডিএমসি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নিজের ডায়াগনস্টিকে পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হয় কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি খোঁজ নিয়ে দেখুন।’
ডিএমসির এক সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘ইনডোরে অনেক ডাক্তারই হাসপাতালের রিপোর্ট গ্রহণ করেন না। তাঁরা সরাসরি অথেনটিকের দালালের কাছে রোগীকে ধরিয়ে দেন অথবা ওয়ার্ড বয় দেখিয়ে দেন যোগাযোগের জন্য। এসব বেশি হয় গাইনি ও ক্যাজুয়ালটিতে।’
গত বুধ ও শনিবার ডিএমসি হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘুরে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে এই গ্রুপটি বেশ সাবধান। তারা ডিএমসি হাসপাতালের স্লিপেই ইনভেস্টিগেশন লেখে, যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে। অ্যাকটিভ ও অথেনটিক ছাড়াও ডিএমসি হাসপাতালের বহির্বিভাগে পিওর সাইন্টেফিক ডায়াগনস্টিক সার্ভিস লি. এবং মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি. নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের দালালদের দেখা পাওয়া যায়।
ডিএমসি হাসপাতালের এক নার্স নেতা জানান, বিএমএর এক প্রভাবশালী নেতার নামেই চলছে এসব অপকর্ম। হাসপাতালের সবাই এসব জানেন। তবে ভয়ে কেউ মুখ খোলেন না। তা ছাড়া, এই গোষ্ঠীর সহযোগী হিসেবে কাজ করলে মোটা অঙ্কের কমিশন মেলে।
এ প্রসঙ্গে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটির নাম আমি শুনেছি। এমন আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। হাসপাতালের চিকিৎসকসহ একটি দুষ্টচক্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে রোগীদের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং হয়রানিতে ফেলছে। এসব পরীক্ষা ও সেবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আছে।’
অধ্যাপক আজিজ আরও বলেন, অপকর্মের সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন, সে যত বড় ক্ষমতাবানই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কারণ, এদের জন্য রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় এবং সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪