Ajker Patrika

হাসপাতালে হামলায় পরস্পরকে দোষারোপ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫৮
হাসপাতালে হামলায় পরস্পরকে দোষারোপ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে হামলার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এদিকে ফার্মেসিতে সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও তালা দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফার্মেসির মালিক গোলাম মুর্তজা মুন্না। গতকাল শুক্রবার সকালে নোয়াখালী বিআরডিবি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমাদের তিনজন কর্মচারী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ঘটনা তদন্তে ডা. জামাল উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরে থাকা আল আমিন ফার্মেসির পাশে একটি স্টোররুম রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে চিকিৎসাসামগ্রী নেওয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ফার্মেসির লোকজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় বহিরাগত দুই যুবককে আটক করা হয়। তবে কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

জেনারেল হাসপাতালে হামলার ঘটনায় হাসপাতালের প্রধান সহকারী ও হিসাবরক্ষক মো. নুরেরজ্জামান বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ফার্মেসির মালিক গোলাম মুর্তজা মুন্নাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার সকালে মুন্নার নেতৃত্বে হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের স্টোর রুমের তালা কেটে রোগীদের ব্যবহারের জন্য রাখা ফ্লুইড নিয়ে যেতে দেখে কর্মচারীরা। এ সময় বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তাতে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ফার্মেসি মালিক গোলাম মুর্তজা মুন্না অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আলোকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে ন্যায্যমূল্যের আল আমিন ফার্মেসি পরিচালনা করছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সকালে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খানসহ ৬০-৭০ জন ওই ফার্মেসিতে হামলা-ভাঙচুর করেন। এ সময় তাঁরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁরা মালামাল লুট করে নিয়ে যান এবং ফার্মেসিতে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তবে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের প্রধান ও স্বাচিপের জেলা সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্টোর রুম থেকে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় ফার্মেসির লোকজনকে বাধা দেয় হাসপাতালের কর্মচারীরা। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নার নেতৃত্বে বহিরাগত ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী হাসপাতালের কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। তা ছাড়া তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এখন তিনি উল্টো সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।’ এ বিষয়ে তিনি মানহানির মামলা করবেন বলে জানান।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘দুই পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত