Ajker Patrika

পছন্দের কলেজ পায়নি ১৪ হাজার শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
পছন্দের কলেজ পায়নি ১৪ হাজার শিক্ষার্থী

চট্টগ্রামে এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদনকারী প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজ পায়নি। তাদের মধ্যে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও ভর্তির জন্য কলেজ জোটেনি ১ হাজার ৬৬৭ শিক্ষার্থীর। তাদের বেশির ভাগই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফলাফল বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

পছন্দের কলেজ না পাওয়া এই ১৩ হাজার ৮৩৭ শিক্ষার্থীকে আসন শূন্য থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আবার আবেদন করতে হবে। ৯ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে এই আবেদন নেওয়া হবে। ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জানুয়ারি।

চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, একজন শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকে আবেদন ফরমে কমসংখ্যক কলেজ পছন্দ দেওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া বহু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কলেজ পায়নি। ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এমনটাই মনে করছেন।

জানা গেছে, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পায় ১৮ হাজার ৬৮৮ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৮ হাজার ৪৮৬ জন। তাদের মধ্যে ১৬ হাজার ৮১৯ জন প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়। তবে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েও ১ হাজার ৬৬৭ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ের তালিকায় কলেজ পায়নি।

এদিকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের ১ লাখ ৩২ হাজার ১৯৫ শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে। এর মধ্য থেকে কলেজে ভর্তির জন্য প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৮ জন। সেই হিসাবে সব মিলিয়ে আরও ১৩ হাজার ৮৩৭ শিক্ষার্থী আবেদন করেও প্রথম তালিকায় কলেজ পায়নি।

প্রথম তালিকায় কলেজ না পাওয়ায় এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ পেতে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। ওই দিন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করবে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। এর আগে ৯ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় পুনরায় আবেদন করতে হবে এসব শিক্ষার্থীকে। তবে দ্বিতীয় দফায় আবেদন করতে কোনো ফি দিতে হবে না।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ থাকলেও জিপিএ-৫ পাওয়া অনেকে পছন্দের ক্ষেত্রে ৫-৬টির বেশি কলেজ দেয়নি। তাদের ধারণা ছিল, জিপিএ-৫ পাওয়ায় কমসংখ্যক কলেজে আবেদন করলেই হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত