Ajker Patrika

শিক্ষায় ক্ষতির তালিকা প্রকাশে শিক্ষক-গবেষকদের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৩৯
শিক্ষায় ক্ষতির তালিকা প্রকাশে শিক্ষক-গবেষকদের দাবি

কোভিডকালীন সময়ে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা অনতিবিলম্বে প্রকাশে মত দিয়েছেন শিক্ষক-গবেষকেরা। গতকাল শনিবার দুপুরে ঘাসফুল আয়োজিত ‘কোভিড ১৯: শিক্ষা ক্ষতি-পুনরুদ্ধার ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এমন মত দেন।

তাঁরা বলেন, দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নন-ফরমাল এডুকেশনে যে সকল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিশু শিক্ষার্থীরা রয়েছে, তাদের বিষয়েও ভাবতে হবে। কোভিডকালীন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যে সকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা জরুরি। কোভিডকালীন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ প্রয়োগ হচ্ছে কিনা, তাও পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন।

দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারীরা উল্লেখ করে গবেষকেরা বলেন, মেয়েরা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের যে মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, তাদের শিক্ষাজীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঘাসফুলের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ঘাসফুলের সিইও আফতাবুর রহমান জাফরী। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পিকেএসএফ-চেয়ারম্যান ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ। প্যানেল আলোচক ছিলেন ইমেরিটাস প্রফেসর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এম এসাত্তার মন্ডল, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ ইমাম আলি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, সাবেক মুখ্যসচিব ও ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. বেণু কুমার দে, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলন।

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, পুনরুদ্ধার ও এগিয়ে চলার প্রক্রিয়াটি মানবকেন্দ্রিক ও জনবান্ধব হতে হবে। কোভিডকালীন ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও যে ব্যবধান রয়েছে তাও তুলে ধরেন তাঁরা। ধনী-দরিদ্র, শহর-গ্রাম, আবার গ্রামাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, পাহাড়, চর-দ্বীপ, উপকূলীয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবধানের তথ্য তুলে ধরা হয় ওয়েবিনারে। কোভিডকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাতে আবার জীবিকা হারিয়ে অনেকেই গ্রামে চলে যান। এ ক্ষেত্রে পুনরুদ্ধার কাজে গ্রামে চলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে অন্যদের পাঠদানের মাধ্যমে প্রচলনের মত দেন গবেষকেরা। পাশাপাশি শিক্ষা খাতে বাজেটের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত