দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার দোহার উপজেলার কৃষকেরা। শীতের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার মধ্যেই কোদাল ও কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়ছেন তাঁরা। শীত উপেক্ষা করে জমি তৈরি ও চারা রোপণের কাজ চলছে। বোরো চাষে লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে উপজেলার ধানচাষিদের মধ্যে। তবে লোকসান ঠেকাতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ধান চাষে উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সরকারিভাবে প্রণোদনা, উচ্চফলনশীল জাতের ধানবীজ ও সার সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ব্রি-২৯, বোরোসহ বিভিন্ন ধান আবাদের ধুম পড়েছে। কৃষকেরা তাঁদের জমির আইল ছাঁটা, আগাছা বাছাই, জৈবসার প্রয়োগ ও সেচের ড্রেন নির্মাণ করছেন। আবার অনেকে জমি তৈরি করে সেচ দিয়ে ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারে চাষ করা জমিতে চারা রোপণ করছেন। এ ছাড়া ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে চারা।
তবে কৃষিশ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজের জমিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্য নিয়ে বোরো চারা রোপণ করছেন। এ উপজেলায় বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পও রয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রে চাষিরা বেশ কম খরচে চাষ করতে পারেন।
উপজেলার নূরপুর গ্রামের কৃষক মাইন উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, ‘আমি এবার ২২ বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য ব্রি-২৯ ধানের চারা রোপণ করেছি। এ জন্য জমি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০ বছর ধরে ধান চাষ করছি। সরকারি কার্ড থাকলেও এখন কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। একবার আমাকে উপজেলা থেকে পাঁচ কেজি ধান ও ৩০ কেজি সার দিয়েছিল। এরপর আর কিছু পাইনি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যাঁরা চাষ করে শুধু তাদেরই যেন অনুদান দেওয়া হয়।’
একই গ্রামের রিয়াজ বলেন, ‘আমন ধান চাষ করে জমিতে ২০ শতাংশ সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ করেছিলাম। এবার বোরো ধানের চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি শুরু করেছি। এ ছাড়া কৃষি অফিস থেকে আমাকে প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ-সার দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় খরচ একটু বেশি হচ্ছে। তবুও আশা করি এবার বেশি ফলন হবে।’
নূরপুর গ্রামের কৃষিজমির মালিক সুমন খান বলেন, ‘আগে ধান চাষ করতাম। আশানুরূপ ধান না পাওয়ায় চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছি। আর সরকারি সহায়তা আমরা পাই না। যাঁদের ক্ষমতা বেশি তাঁরাই সহায়তা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব বলেন, ‘বীজতলা তৈরিতে আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি নিয়মিত। কৃষকেরা যেন উন্নত প্রযুক্তিতে সঠিকভাবে চাষাবাদ করেন, সে ব্যাপারে তাঁদের বলা হচ্ছে।’
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার ধান চাষ বেশি হচ্ছে। আমরা এবার ৮০০ জন কৃষককে প্রণোদনা দিয়েছি। তবে আমাদের মৈনটঘাটে এবার আগাম কালি বোরো ও আউশ ধানের চাষ করা হচ্ছে। যাঁরা প্রণোদনা পাননি সরকার নতুন করে দিলে আমরা তাদের দেব।’
ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার দোহার উপজেলার কৃষকেরা। শীতের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার মধ্যেই কোদাল ও কাস্তে হাতে মাঠে নেমে পড়ছেন তাঁরা। শীত উপেক্ষা করে জমি তৈরি ও চারা রোপণের কাজ চলছে। বোরো চাষে লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে উপজেলার ধানচাষিদের মধ্যে। তবে লোকসান ঠেকাতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ধান চাষে উপজেলার কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সরকারিভাবে প্রণোদনা, উচ্চফলনশীল জাতের ধানবীজ ও সার সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ব্রি-২৯, বোরোসহ বিভিন্ন ধান আবাদের ধুম পড়েছে। কৃষকেরা তাঁদের জমির আইল ছাঁটা, আগাছা বাছাই, জৈবসার প্রয়োগ ও সেচের ড্রেন নির্মাণ করছেন। আবার অনেকে জমি তৈরি করে সেচ দিয়ে ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারে চাষ করা জমিতে চারা রোপণ করছেন। এ ছাড়া ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে চারা।
তবে কৃষিশ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজের জমিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্য নিয়ে বোরো চারা রোপণ করছেন। এ উপজেলায় বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পও রয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রে চাষিরা বেশ কম খরচে চাষ করতে পারেন।
উপজেলার নূরপুর গ্রামের কৃষক মাইন উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, ‘আমি এবার ২২ বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য ব্রি-২৯ ধানের চারা রোপণ করেছি। এ জন্য জমি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০ বছর ধরে ধান চাষ করছি। সরকারি কার্ড থাকলেও এখন কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। একবার আমাকে উপজেলা থেকে পাঁচ কেজি ধান ও ৩০ কেজি সার দিয়েছিল। এরপর আর কিছু পাইনি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যাঁরা চাষ করে শুধু তাদেরই যেন অনুদান দেওয়া হয়।’
একই গ্রামের রিয়াজ বলেন, ‘আমন ধান চাষ করে জমিতে ২০ শতাংশ সবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ করেছিলাম। এবার বোরো ধানের চারা রোপণের জন্য জমি তৈরি শুরু করেছি। এ ছাড়া কৃষি অফিস থেকে আমাকে প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ-সার দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় খরচ একটু বেশি হচ্ছে। তবুও আশা করি এবার বেশি ফলন হবে।’
নূরপুর গ্রামের কৃষিজমির মালিক সুমন খান বলেন, ‘আগে ধান চাষ করতাম। আশানুরূপ ধান না পাওয়ায় চাষাবাদ ছেড়ে দিয়েছি। আর সরকারি সহায়তা আমরা পাই না। যাঁদের ক্ষমতা বেশি তাঁরাই সহায়তা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব বলেন, ‘বীজতলা তৈরিতে আমরা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি নিয়মিত। কৃষকেরা যেন উন্নত প্রযুক্তিতে সঠিকভাবে চাষাবাদ করেন, সে ব্যাপারে তাঁদের বলা হচ্ছে।’
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার ধান চাষ বেশি হচ্ছে। আমরা এবার ৮০০ জন কৃষককে প্রণোদনা দিয়েছি। তবে আমাদের মৈনটঘাটে এবার আগাম কালি বোরো ও আউশ ধানের চাষ করা হচ্ছে। যাঁরা প্রণোদনা পাননি সরকার নতুন করে দিলে আমরা তাদের দেব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪