Ajker Patrika

ক্লাসে ফেরেনি ২৫% শিক্ষার্থী

আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ২০: ০৪
ক্লাসে ফেরেনি ২৫% শিক্ষার্থী

শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে দেড় বছরের বেশি সময় কেড়ে নিয়েছে করোনা। সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একে একে খুলতে শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে দেশে সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার প্রায় অর্ধশত প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো গড়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাঠদানে অনুপস্থিত রয়েছে। ঝড়ে পড়া বা অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খুঁজতে শিক্ষকদের হোম ভিজিট করার নির্দেশনা দিয়ে হয়েছে। এতে অনেকে শিক্ষার্থী পড়ালেখা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্কুলে আসছে না দেখা গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১০ হাজার।

দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আংশিক শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু গত ২৫ দিনে গড়ে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরে এসেছে। বাকি ২৫ শতাংশ এখনো ক্লাসে ফিরে আসেনি।

এদিকে স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর পর থেকে প্রতিনিয়ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুল পরিদর্শন করেন। ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতে হোম ভিজিট বা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চহ্লপ্রু কার্বারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সাইমন ত্রিপুরা ও বড়ডলু কঞ্জরীপাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্চনা বড়ুয়া বলেন, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে হোম ভিজিট করা নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ফলে তাঁরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন।

এতে দেখা গেছে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত। অনেকে পড়ালেখা করবে না বলে স্কুলে আসছে না! তাঁরা শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনার চেষ্টা করছেন।

রাজবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যজ মারমা এ প্রসঙ্গে বলেন, স্কুল খোলার গত ২৫ দিনে গড়ে অনুপস্থিত ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। হোম ভিজিটে গিয়ে দেখা গেছে, এদের কারও জ্বর, কেউ বেড়াতে গেছে। এদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপর্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে সময় লাগছে। গড়ে এখনো ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির বিষয়ে শিক্ষকদের হোম ভিজিট করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি পুরোদমে ক্লাস শুরুর আগেই অন্তত ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত