দাকোপ প্রতিনিধি
শস্যভান্ডারখ্যাত খুলনার দাকোপে এ বছর দ্বিগুণের বেশি জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে সেচের পানির সংকট থাকলেও তরমুজের ফলন হয়েছে বাম্পার। প্রথম দিকে কৃষকেরা দামও পেয়েছেন ভালো। কিন্তু হঠাৎ তরমুজের দরপতন হয়েছে। এ কারণে এলাকার হাজারো চাষি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আমনের পর রবি মৌসুমে কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হন তরমুজ চাষে। এবার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট তরমুজ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর হয়েছিল ৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর। এছাড়া বোরো ধান ২১৫ হেক্টর, তিল ৩, মুগডাল ৪, ভুট্টা ৮, বাঙ্গি ১৫ ও অন্যান্য শাকসবজি ৫০ হেক্টর চাষ হয়েছে। তবে প্রচণ্ড খরা ও বৃষ্টি না হওয়ায় পানির উৎস খাল ও পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তরমুজখেতে চরম সেচসংকট থাকার পরও ভালো ফলন হয়েছে বলে এলাকার একাধিক কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে তরমুজখেত বিক্রির হিড়িক পড়েছে। প্রথমদিকে অল্প কিছু কৃষক প্রতি ৩৩ শতক বিঘার খেত ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করলেও বর্তমানে স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সিন্ডিকেটের কারণে তা বিক্রি করতে হচ্ছে ২০-৩০ হাজার টাকায়।
আমতলা এলাকার ইউপি সদস্য কৃষক জয়ন্ত কুমার গাইন জানান, দুই ভাই মিলে ১৯ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে তাঁদের প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমে তিনি ১৩ বিঘা জমির তরমুজ বিক্রি করেছেন ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এখনো ৬ বিঘা জমির খেত বিক্রি করতে বাকি আছে। তবে দাম কমে যাওয়ার কারণে এখনো কোনো ফড়িয়া খেতটির দাম বলেননি। এই খেতটিতে তাঁদের লোকসান হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। তিনি বলেন, সেচের পানির চরম সংকটের পরও অধিকাংশ কৃষকের ফলন ভালো হয়েছে। তবে স্থানীয় দালালদের কারণে কৃষকেরা দাম কম পাচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।
কৈলাশগঞ্জ এলাকার সাবেক ইউপি সমদস্য সিন্ধু রায় বলেন, এবার অধিকাংশ কৃষকের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট, স্থানীয় দালালদের দৌরাত্ম্য, ফেরি ও খেয়াঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায় এবং জ্যামে ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের কারণে তরমুজের দরপতন হয়েছে। যে কারণে ক্রেতাসংকটে পুঁজি বাঁচাতে অধিকাংশ কৃষক এখন তরমুজ নিয়ে ছুটছেন ঢাকা, বরিশাল, বরগুনা, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। ফলে তরমুজ খেত বিক্রি করতে না পেরে লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
চালনা পৌরসভার আঁচাভূয়া এলাকার তরমুজচাষি সমাজসেবক খানজাহান মোল্লা জানান, সম্প্রতি উপজেলার পানখালী, পোদ্দারগঞ্জ খেয়াঘাটে ও ফেরিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টোল আদায় করা হচ্ছে বলে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে সত্যতা পেয়ে ওই দুই ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইজারাদারদের ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ৫০০ হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এবং ফেরি ও খেয়াঘাটে জিম্মি করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের কারণে লোকসানের ভয়ে ব্যাপারীরা তরমুজ খেত কিনতে চাচ্ছেন না। যে কারণে কৃষকেরাও ভালো দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। অন্য বছরের মতো ভালো দাম পেলে কৃষকেরা এ বছর অনেক লাভবান হতো। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। আর যেসব তরমুজখেত বিক্রি করতে বাকি আছে, সেগুলো বিক্রি হলে আরও প্রায় ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে। তা ছাড়া এ বছর কৃষকেরা ভালো দাম পেলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি হতো বলে তিনি মনে করেন।
শস্যভান্ডারখ্যাত খুলনার দাকোপে এ বছর দ্বিগুণের বেশি জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তবে সেচের পানির সংকট থাকলেও তরমুজের ফলন হয়েছে বাম্পার। প্রথম দিকে কৃষকেরা দামও পেয়েছেন ভালো। কিন্তু হঠাৎ তরমুজের দরপতন হয়েছে। এ কারণে এলাকার হাজারো চাষি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসী ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আমনের পর রবি মৌসুমে কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হন তরমুজ চাষে। এবার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট তরমুজ চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর হয়েছিল ৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর। এছাড়া বোরো ধান ২১৫ হেক্টর, তিল ৩, মুগডাল ৪, ভুট্টা ৮, বাঙ্গি ১৫ ও অন্যান্য শাকসবজি ৫০ হেক্টর চাষ হয়েছে। তবে প্রচণ্ড খরা ও বৃষ্টি না হওয়ায় পানির উৎস খাল ও পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তরমুজখেতে চরম সেচসংকট থাকার পরও ভালো ফলন হয়েছে বলে এলাকার একাধিক কৃষক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে তরমুজখেত বিক্রির হিড়িক পড়েছে। প্রথমদিকে অল্প কিছু কৃষক প্রতি ৩৩ শতক বিঘার খেত ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করলেও বর্তমানে স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের সিন্ডিকেটের কারণে তা বিক্রি করতে হচ্ছে ২০-৩০ হাজার টাকায়।
আমতলা এলাকার ইউপি সদস্য কৃষক জয়ন্ত কুমার গাইন জানান, দুই ভাই মিলে ১৯ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে তাঁদের প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমে তিনি ১৩ বিঘা জমির তরমুজ বিক্রি করেছেন ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এখনো ৬ বিঘা জমির খেত বিক্রি করতে বাকি আছে। তবে দাম কমে যাওয়ার কারণে এখনো কোনো ফড়িয়া খেতটির দাম বলেননি। এই খেতটিতে তাঁদের লোকসান হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। তিনি বলেন, সেচের পানির চরম সংকটের পরও অধিকাংশ কৃষকের ফলন ভালো হয়েছে। তবে স্থানীয় দালালদের কারণে কৃষকেরা দাম কম পাচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।
কৈলাশগঞ্জ এলাকার সাবেক ইউপি সমদস্য সিন্ধু রায় বলেন, এবার অধিকাংশ কৃষকের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট, স্থানীয় দালালদের দৌরাত্ম্য, ফেরি ও খেয়াঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায় এবং জ্যামে ট্রাকের দীর্ঘ লাইনের কারণে তরমুজের দরপতন হয়েছে। যে কারণে ক্রেতাসংকটে পুঁজি বাঁচাতে অধিকাংশ কৃষক এখন তরমুজ নিয়ে ছুটছেন ঢাকা, বরিশাল, বরগুনা, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। ফলে তরমুজ খেত বিক্রি করতে না পেরে লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
চালনা পৌরসভার আঁচাভূয়া এলাকার তরমুজচাষি সমাজসেবক খানজাহান মোল্লা জানান, সম্প্রতি উপজেলার পানখালী, পোদ্দারগঞ্জ খেয়াঘাটে ও ফেরিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি টোল আদায় করা হচ্ছে বলে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে সত্যতা পেয়ে ওই দুই ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইজারাদারদের ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদি হাসান খান বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ৫০০ হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এবং ফেরি ও খেয়াঘাটে জিম্মি করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের কারণে লোকসানের ভয়ে ব্যাপারীরা তরমুজ খেত কিনতে চাচ্ছেন না। যে কারণে কৃষকেরাও ভালো দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। অন্য বছরের মতো ভালো দাম পেলে কৃষকেরা এ বছর অনেক লাভবান হতো। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। আর যেসব তরমুজখেত বিক্রি করতে বাকি আছে, সেগুলো বিক্রি হলে আরও প্রায় ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে। তা ছাড়া এ বছর কৃষকেরা ভালো দাম পেলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি হতো বলে তিনি মনে করেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪