সুজাউল ইসলাম সুজা, রৌমারী
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়ন পরিষদ হতে বদিয়ার মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দ। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কারের অভাবে ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ।
শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। একটু বৃষ্টি হলে কাদা জমে। কৃষকেরা কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে উপজেলা সদরের যেতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন।
কিন্তু রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় তাঁরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন। যদি কেউ অসুস্থ হন তাঁকে হাসপাতালে নিতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, রাস্তাটি আরডি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আরডি কর্তৃপক্ষের কাছে নাম হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের বদিয়ার মোড় হতে সাহেবের আলগা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল। এ রাস্তা দিয়ে লাউবাড়ি, গাছবাড়ি, কাজাইকাটা, চরকাজাইকাটা, শান্তিচর, আন্দবাজার, আমবাড়ি কাউনিয়ারচর, খেতারচর, চরধনতোলা, খেওয়ারচর, চরগয়টাপাড়া, ডিগ্রীরচর, নামাজেরচর, পাড়েরচর, ইটালুকান্দাসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। তাঁরা এই রাস্তা ব্যবহার করতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়েন।
আমবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসরাম বলেন, ‘বন্যার সময় এ রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এ রাস্তাটি দেখে মনে হয় এ যেনো ধূসর মরুভূমির উঁচু-নিচু বালুময় রাস্তা। বন্যা পরবর্তী দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও সংস্কারের অভাবে চলে না কোনো যানবাহন। ফলে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে চরম ভোগান্তিতে চলাচল করছি আমরা।’
ইটালুকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল সরকার বলেন, প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এ রাস্তা দিয়ে কোনো প্রকার যানবাহন চলে না। প্রতিদিন ধুলাবালু পেড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্ট হরহামেশা লেগেই থাকে। এ ছাড়াও গর্ভবতী মাসহ জরুরি প্রয়োজনে কোনো রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মারা যাওয়ার উদাহরণও আছে।
শিক্ষার্থী আশা, রোজিনা, মৌমিতা, সাধনা, লতা, সুমাইয়া, শিশির, স্নিগ্ধসহ অনেকেই জানায়, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে আমাদেরকে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে হয়। একটা পোশাক একবার পড়লে আর দ্বিতীয়বার পড়তে পারি না। ধুলা বালুতে ময়লা হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলে কাদায় ভরে যায় রাস্তাটি। ওই আর স্কুলেই আসা হয় না। সরকারের কাছে এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার দাবি তাদের।
দাঁতভাঙা ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে উপজেলা সদরের সঙ্গে একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা এটি। আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে যানবাহনে নিতে না পারায় ফড়িয়াদের কাছে কমদামে বিক্রি করতে হয়। অপরদিকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী বাজার থেকে আনতে খরচ বেশি হয়। ফলে আমাদের উৎপাদনে যেমন ব্যয় বেশি হচ্ছে, তেমনি আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
দাঁতভাঙা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের যে বরাদ্দ আসে, তাতে বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া যায় না।
রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় উপাস্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দা.) মামুনুর ইসলাম বলেন, রাস্তাটি একটি নতুন প্রকল্প রুরাল ডেভেলপমেন্টের (আরডি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আরডি কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তার আইডি, সঠিক নাম হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী মাসের মধ্যে রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়ন পরিষদ হতে বদিয়ার মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দ। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কারের অভাবে ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ।
শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। একটু বৃষ্টি হলে কাদা জমে। কৃষকেরা কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে উপজেলা সদরের যেতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন।
কিন্তু রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় তাঁরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন। যদি কেউ অসুস্থ হন তাঁকে হাসপাতালে নিতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে বলা হয়েছে, রাস্তাটি আরডি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আরডি কর্তৃপক্ষের কাছে নাম হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের বদিয়ার মোড় হতে সাহেবের আলগা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল। এ রাস্তা দিয়ে লাউবাড়ি, গাছবাড়ি, কাজাইকাটা, চরকাজাইকাটা, শান্তিচর, আন্দবাজার, আমবাড়ি কাউনিয়ারচর, খেতারচর, চরধনতোলা, খেওয়ারচর, চরগয়টাপাড়া, ডিগ্রীরচর, নামাজেরচর, পাড়েরচর, ইটালুকান্দাসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকেন। তাঁরা এই রাস্তা ব্যবহার করতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়েন।
আমবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসরাম বলেন, ‘বন্যার সময় এ রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এ রাস্তাটি দেখে মনে হয় এ যেনো ধূসর মরুভূমির উঁচু-নিচু বালুময় রাস্তা। বন্যা পরবর্তী দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও সংস্কারের অভাবে চলে না কোনো যানবাহন। ফলে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে চরম ভোগান্তিতে চলাচল করছি আমরা।’
ইটালুকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল সরকার বলেন, প্রতিদিন ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। এ রাস্তা দিয়ে কোনো প্রকার যানবাহন চলে না। প্রতিদিন ধুলাবালু পেড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্ট হরহামেশা লেগেই থাকে। এ ছাড়াও গর্ভবতী মাসহ জরুরি প্রয়োজনে কোনো রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মারা যাওয়ার উদাহরণও আছে।
শিক্ষার্থী আশা, রোজিনা, মৌমিতা, সাধনা, লতা, সুমাইয়া, শিশির, স্নিগ্ধসহ অনেকেই জানায়, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে আমাদেরকে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে হয়। একটা পোশাক একবার পড়লে আর দ্বিতীয়বার পড়তে পারি না। ধুলা বালুতে ময়লা হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলে কাদায় ভরে যায় রাস্তাটি। ওই আর স্কুলেই আসা হয় না। সরকারের কাছে এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার দাবি তাদের।
দাঁতভাঙা ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে উপজেলা সদরের সঙ্গে একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা এটি। আমাদের কৃষিপণ্য বাজারে যানবাহনে নিতে না পারায় ফড়িয়াদের কাছে কমদামে বিক্রি করতে হয়। অপরদিকে কৃষিকাজে ব্যবহৃত পণ্যসামগ্রী বাজার থেকে আনতে খরচ বেশি হয়। ফলে আমাদের উৎপাদনে যেমন ব্যয় বেশি হচ্ছে, তেমনি আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
দাঁতভাঙা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের যে বরাদ্দ আসে, তাতে বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া যায় না।
রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় উপাস্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দা.) মামুনুর ইসলাম বলেন, রাস্তাটি একটি নতুন প্রকল্প রুরাল ডেভেলপমেন্টের (আরডি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আরডি কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তার আইডি, সঠিক নাম হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী মাসের মধ্যে রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪