আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের বর্তমান শাসক ও হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপির মুসলমান নিপীড়নের কৌশল সম্প্রতি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। দিনদুপুরে ব্যাপক পুলিশ, নগর কর্তৃপক্ষ, উৎসাহী জনতা ও গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে মুসলমানদের ঘর, দোকান ইত্যাদি গুঁড়িয়ে দেওয়া তারই অংশ। নিপীড়নের ধরন যেহেতু নতুন, তাই প্রতিরোধও হতে হবে নতুন। আল জাজিরায় এক বিশ্লেষণে এমনটাই লিখেছেন ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনপ্রিয় লেখিকা অরুন্ধতী রায়।
দ্য গড অব স্মল থিংসের এই লেখিকার মতে, ভারতের ঘুণে ধরা, বিপর্যস্ত গণতন্ত্র একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। নির্লজ্জ রকম বেআইনি শাসনের কারণে এ দেশটি আর ‘রাষ্ট্র’ নাই। এটি একটি ‘হিন্দু-ফ্যাসিস্ট এন্টারপ্রাইজে’ পরিণত হয়েছে, যার বিপুল গণসমর্থন রয়েছে। বর্তমান শাসকেরা নিজেদের হিন্দু দেবতা ভাবেন, যাঁদের চোখে মুসলমানরা গণশত্রু।
মুসলমানদের ইতিপূর্বে গণপিটুনি, পরিকল্পনা করে হত্যা, হাজতে নির্যাতনের মাধ্যমে খুন, ক্রসফায়ার বা বিনা কারণে জেলহাজত ছিল বিজেপির পুরোনো কৌশল। বুলডোজার দিয়ে মুসলমানদের ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াটা একেবারে নতুন। শুধু ঘর বা দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়াই এটার উদ্দেশ্য নয়। এর সুপ্ত এবং সবচেয়ে ভয়াবহ উদ্দেশ্য—এমন একটি বার্তা, কিচ্ছু করতে পারবা না, খালি দেখবা। গাদ্দার কোথাকার, কে তোমাদের উদ্ধার করতে আসবে?
বুলডোজারের ধাতুর ধারালো যেসব ব্লেড রয়েছে, তা দেখতেই সহিংস। কোনো ঘর ভাঙতে যখন এটা হাজির হয়, এমনিতেই ভয় লাগে। অথচ বিজেপির নেতা ও সমর্থকদের কাছে লোহা বা ইস্পাতের যন্ত্রটি একধরনের স্বর্গীয় শক্তি, যা শত্রুদের ছত্রখান করছে, নিমেষে ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধভাবে নির্মাণ করায় এসব ঘর বা দোকান ভাঙা হচ্ছে। কিন্তু, সরকারসহ ভারতের কে না জানে, এ দেশের শহর বা শহরতলির অধিকাংশ দোকান বা ঘরের সঠিক কাগজ নেই। এসব যুক্তি ভিত্তিহীন। মুসলমানদের কণ্ঠরোধ করা, মুসলমান সমাজকে অসহায়, উপায়হীন করাই এসব বুলডোজারের মূল উদ্দেশ্য।
ম্যান বুকারজয়ী এই লেখিকা মনে করেন, বিজেপির বিরুদ্ধে যারা দাঁড়াবে, তাদের বহু ফ্রন্টে একসঙ্গে সক্রিয় হতে হবে। ব্লাসফেমি আইনের দাবি করা যাবে না। এটা বিজেপিবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর কোনো কাজে আসবে না। উল্টো বিজেপির কাজে আসবে সবচেয়ে বেশি। তাই ভারতীয় মুসলমান ও যেকোনো নাগরিককে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিজেপির ফ্যাসিস্ট নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। খুনের বদলে খুন নয়, হতে হবে সাধকের মতো দূরদর্শী।
ভারতের বর্তমান শাসক ও হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপির মুসলমান নিপীড়নের কৌশল সম্প্রতি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। দিনদুপুরে ব্যাপক পুলিশ, নগর কর্তৃপক্ষ, উৎসাহী জনতা ও গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে মুসলমানদের ঘর, দোকান ইত্যাদি গুঁড়িয়ে দেওয়া তারই অংশ। নিপীড়নের ধরন যেহেতু নতুন, তাই প্রতিরোধও হতে হবে নতুন। আল জাজিরায় এক বিশ্লেষণে এমনটাই লিখেছেন ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণির জনপ্রিয় লেখিকা অরুন্ধতী রায়।
দ্য গড অব স্মল থিংসের এই লেখিকার মতে, ভারতের ঘুণে ধরা, বিপর্যস্ত গণতন্ত্র একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। নির্লজ্জ রকম বেআইনি শাসনের কারণে এ দেশটি আর ‘রাষ্ট্র’ নাই। এটি একটি ‘হিন্দু-ফ্যাসিস্ট এন্টারপ্রাইজে’ পরিণত হয়েছে, যার বিপুল গণসমর্থন রয়েছে। বর্তমান শাসকেরা নিজেদের হিন্দু দেবতা ভাবেন, যাঁদের চোখে মুসলমানরা গণশত্রু।
মুসলমানদের ইতিপূর্বে গণপিটুনি, পরিকল্পনা করে হত্যা, হাজতে নির্যাতনের মাধ্যমে খুন, ক্রসফায়ার বা বিনা কারণে জেলহাজত ছিল বিজেপির পুরোনো কৌশল। বুলডোজার দিয়ে মুসলমানদের ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াটা একেবারে নতুন। শুধু ঘর বা দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়াই এটার উদ্দেশ্য নয়। এর সুপ্ত এবং সবচেয়ে ভয়াবহ উদ্দেশ্য—এমন একটি বার্তা, কিচ্ছু করতে পারবা না, খালি দেখবা। গাদ্দার কোথাকার, কে তোমাদের উদ্ধার করতে আসবে?
বুলডোজারের ধাতুর ধারালো যেসব ব্লেড রয়েছে, তা দেখতেই সহিংস। কোনো ঘর ভাঙতে যখন এটা হাজির হয়, এমনিতেই ভয় লাগে। অথচ বিজেপির নেতা ও সমর্থকদের কাছে লোহা বা ইস্পাতের যন্ত্রটি একধরনের স্বর্গীয় শক্তি, যা শত্রুদের ছত্রখান করছে, নিমেষে ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধভাবে নির্মাণ করায় এসব ঘর বা দোকান ভাঙা হচ্ছে। কিন্তু, সরকারসহ ভারতের কে না জানে, এ দেশের শহর বা শহরতলির অধিকাংশ দোকান বা ঘরের সঠিক কাগজ নেই। এসব যুক্তি ভিত্তিহীন। মুসলমানদের কণ্ঠরোধ করা, মুসলমান সমাজকে অসহায়, উপায়হীন করাই এসব বুলডোজারের মূল উদ্দেশ্য।
ম্যান বুকারজয়ী এই লেখিকা মনে করেন, বিজেপির বিরুদ্ধে যারা দাঁড়াবে, তাদের বহু ফ্রন্টে একসঙ্গে সক্রিয় হতে হবে। ব্লাসফেমি আইনের দাবি করা যাবে না। এটা বিজেপিবিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর কোনো কাজে আসবে না। উল্টো বিজেপির কাজে আসবে সবচেয়ে বেশি। তাই ভারতীয় মুসলমান ও যেকোনো নাগরিককে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিজেপির ফ্যাসিস্ট নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। খুনের বদলে খুন নয়, হতে হবে সাধকের মতো দূরদর্শী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪