নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
খাদ্য অধিদপ্তর এবার আমন ধানের চাল সংগ্রহ করছে ৪২ টাকা কেজি দরে। চুক্তিবদ্ধ মিল (চালকল) মালিকেরা এ দরেই সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করতে বাধ্য।
কিন্তু রাজশাহীর বাজারে এখন মোটা চালই বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকার ওপরে। আর এ কারণে চুক্তিবদ্ধ বেশির ভাগ মিলমালিকই গুদামে চাল দিচ্ছেন না।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা চাল না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে খাদ্য বিভাগ।
রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২৮ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪২ টাকা দরে কেনা হচ্ছে চাল। ধান সরবরাহ করছেন কৃষকেরা আর চাল দিচ্ছেন মিলমালিকেরা। চাল নেওয়ার জন্য আগেই মিলমালিকদের সঙ্গে চুক্তি করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ মিলমালিকদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই গুদামে চাল সরবরাহ করছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় জানায়, রাজশাহীতে আমন মৌসুমে ৬ হাজার ১৮ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চুক্তিযোগ্য মিলের সংখ্যাও ছিল ১৪৩টি অথচ মাত্র ৩৬টি মিল চাল সরবরাহ করার চুক্তি করে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহেরও চুক্তি হয়নি। ৩৬ মিলমালিক ৫ হাজার ৫২০ টন চাল সরবরাহ করার চুক্তি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪১ টন চাল সরবরাহ করা হয়েছে সরকারি খাদ্যগুদামে, যা চুক্তির ২৪ শতাংশ। এখনো ৪ হাজার ১৭৯ টন চাল সংগ্রহ করা বাকি।
চুক্তি করা থাকলেও এখন পর্যন্ত এক কেজি চালও সরবরাহ করেনি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল এলাকার কামাল অটো রাইস মিল। কারণ জানতে চাইলে রাইস মিলের মালিক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সবচেয়ে কম দামি ধান হচ্ছে স্বর্ণা। এ ধানই কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ২৪০ টাকা মণ দরে। দাম বেশি বলে ধানই কিনতে পারিনি। চাল নেই, সরবরাহ করব কোত্থেকে?’
কামাল অভিযোগ করেন, বড় বড় মিলমালিকেরা বেশি দরে ধান কিনছেন। তাঁরাই চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তখন সরকারি গুদামে চাল দিতে বেকায়দায় পড়ছেন ছোট মিলমালিকেরা। এখনো সবাই অপেক্ষা করছেন ধান-চালের দাম কমবে, তখন গুদামে সরবরাহ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি বেশি দামে ধান কিনে যদি চুক্তির সব চাল গুদামে দেই, তাহলে আমার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা ক্ষতি হবে। আর চাল না দিলে জামানতের ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা কাটা যাবে। সুতরাং চাল না দিলেই ক্ষতি কম হবে। এ কারণে অনেকে চাল দিচ্ছেন না। তাই বাজার যাচাই করেই গুদামের চালের মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার হোসেন বলেন, ‘সরকারি খাদ্যগুদামে কত দামে চাল কেনা হবে, সেই দাম নির্ধারণে আমাদের কোনো হাত থাকে না। ঢাকায় এটা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে হয়ে থাকে। এখন বাজারে চালের দাম বেশি বলে মিলমালিকেরা আমাদের গুদামে দিচ্ছেন না। যাঁরা চাল শেষ পর্যন্ত দেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।’
খাদ্য অধিদপ্তর এবার আমন ধানের চাল সংগ্রহ করছে ৪২ টাকা কেজি দরে। চুক্তিবদ্ধ মিল (চালকল) মালিকেরা এ দরেই সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করতে বাধ্য।
কিন্তু রাজশাহীর বাজারে এখন মোটা চালই বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকার ওপরে। আর এ কারণে চুক্তিবদ্ধ বেশির ভাগ মিলমালিকই গুদামে চাল দিচ্ছেন না।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা চাল না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে খাদ্য বিভাগ।
রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২৮ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪২ টাকা দরে কেনা হচ্ছে চাল। ধান সরবরাহ করছেন কৃষকেরা আর চাল দিচ্ছেন মিলমালিকেরা। চাল নেওয়ার জন্য আগেই মিলমালিকদের সঙ্গে চুক্তি করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ মিলমালিকদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই গুদামে চাল সরবরাহ করছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় জানায়, রাজশাহীতে আমন মৌসুমে ৬ হাজার ১৮ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চুক্তিযোগ্য মিলের সংখ্যাও ছিল ১৪৩টি অথচ মাত্র ৩৬টি মিল চাল সরবরাহ করার চুক্তি করে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সংগ্রহেরও চুক্তি হয়নি। ৩৬ মিলমালিক ৫ হাজার ৫২০ টন চাল সরবরাহ করার চুক্তি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪১ টন চাল সরবরাহ করা হয়েছে সরকারি খাদ্যগুদামে, যা চুক্তির ২৪ শতাংশ। এখনো ৪ হাজার ১৭৯ টন চাল সংগ্রহ করা বাকি।
চুক্তি করা থাকলেও এখন পর্যন্ত এক কেজি চালও সরবরাহ করেনি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল এলাকার কামাল অটো রাইস মিল। কারণ জানতে চাইলে রাইস মিলের মালিক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সবচেয়ে কম দামি ধান হচ্ছে স্বর্ণা। এ ধানই কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ২৪০ টাকা মণ দরে। দাম বেশি বলে ধানই কিনতে পারিনি। চাল নেই, সরবরাহ করব কোত্থেকে?’
কামাল অভিযোগ করেন, বড় বড় মিলমালিকেরা বেশি দরে ধান কিনছেন। তাঁরাই চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তখন সরকারি গুদামে চাল দিতে বেকায়দায় পড়ছেন ছোট মিলমালিকেরা। এখনো সবাই অপেক্ষা করছেন ধান-চালের দাম কমবে, তখন গুদামে সরবরাহ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি বেশি দামে ধান কিনে যদি চুক্তির সব চাল গুদামে দেই, তাহলে আমার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা ক্ষতি হবে। আর চাল না দিলে জামানতের ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা কাটা যাবে। সুতরাং চাল না দিলেই ক্ষতি কম হবে। এ কারণে অনেকে চাল দিচ্ছেন না। তাই বাজার যাচাই করেই গুদামের চালের মূল্য নির্ধারণ করা উচিত।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার হোসেন বলেন, ‘সরকারি খাদ্যগুদামে কত দামে চাল কেনা হবে, সেই দাম নির্ধারণে আমাদের কোনো হাত থাকে না। ঢাকায় এটা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে হয়ে থাকে। এখন বাজারে চালের দাম বেশি বলে মিলমালিকেরা আমাদের গুদামে দিচ্ছেন না। যাঁরা চাল শেষ পর্যন্ত দেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪