Ajker Patrika

ধীরগতিতে নামছে পানি থামছে না নদীভাঙন

সিলেট ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ধীরগতিতে নামছে পানি থামছে না নদীভাঙন

সিলেটে ধীরগতিতে নামছে বন্যার পানি। গতকাল সোমবার সকালে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি নামার এই গতি কিছুটা কমে যায়। পানি কমতে শুরু করায় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছে মানুষজন। পানি ধীরে নামায় দুর্ভোগও বেশি পোহাতে হচ্ছে বন্যার্তদের। বাড়ছে ত্রাণ ও নিরাপদ পানির চাহিদা।

এদিকে গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। সব নদ-নদীর পানি কমে বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু নদীভাঙন দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। এতে করে ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বসতভিটাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ছে। শান্ত নদ-নদী হঠাৎ অশান্ত হয়ে ওঠায় বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, গতকাল সোমবার সারা দিনে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের দুই দিন সিলেটে বৃষ্টি হয়নি। অন্যদিকে চার দিন ধরে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না; যে কারণে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে গতকাল ১৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ, শেরপুর ও অমলশীদ পয়েন্টে গতকাল বিকেলে ৯৭, ৩ ও ৩৬ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, সব জায়গা টইটম্বুর থাকায় পানি নামার কোনো জায়গা পাচ্ছে না; যে কারণে পানি ধীরগতিতে কমছে। যদি রোদ ওঠে, তাহলে পানি ওই রোদে শুকিয়ে যাবে আর বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন পানিবন্দী রয়েছে। আর আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো আছে ১৩ হাজার ১৫৪ জন।

গতকাল বিকেলে গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৩৭ সেমি, ঘাঘটের পানি নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১৬৫ সেমি ও চকরহিমাপুর পয়েন্টে ১৪০ সেমি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পানি কমলেও কয়েক দিন ধরে নদ-নদীর ভাঙনে জেলা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ফুলছড়ি উপজেলা ফজলুপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাহিন আলম বলেন, নদীভাঙনের কবলে পড়ে ১০ থেকে ১৫টি ঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন থেকে বাঁচতে ২০টির বেশি বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙন রোধে কেউ কোনো কাজ করছেন না। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে ইউনিয়নের মানচিত্র সংকুচিত হয়ে যাবে।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, সব নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সমাবেশের জন্য বিশেষ ট্রেন, যে ব্যাখ্যা দিল রেল মন্ত্রণালয়

আবাসিক হোটেলে অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার

কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের দেড় হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১২

শর্তের জালে মার্কিন চাপ

ঢাকায় সমাবেশের জন্য ৩ জোড়া ট্রেন ভাড়া করেছে জামায়াত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত