মো. মিজানুর রহমান রিয়াদ, নোয়াখালী
তিলধারণের ঠাঁই নেই শয্যা, মেঝে বা বারান্দায়। একদিকে রোগী, অন্যদিকে রোগীদের স্বজন। হাসপাতালের আউটডোরেও রোগী-স্বজনদের গাদাগাদি। তার ওপর মেডিকেল প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য, রয়েছে দালালদের উৎপাতও। কম্পাউন্ড জুড়ে ময়লা-আবর্জনা। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী সদর হাসপাতালে এসবের মধ্যে সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
আর বেসরকারি হাসপাতালে বেশির ভাগ সময়ই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে। সেগুলোতে বেশির ভাগ নার্স অপ্রশিক্ষিত ও অদক্ষ, নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, তবু গলাকাটা দাম দিয়ে নিতে হচ্ছে সেবা। কালেভদ্রে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান হয়। তাতেও থামছে না এসব নৈরাজ্য।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে পাঁচ শতাধিক। যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরই যথাযথ কাগজপত্র নেই, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও লোকবলেরও সংকট। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বন্ধ করা হয়েছে ৩৯টির মতো প্রতিষ্ঠান।
নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের শয্যা, মেঝে বা বারান্দায় কোথাও ঠাঁই নেই। আউটডোরেও রোগীদের গাদাগাদি, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকায় অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে অনেকে। তার ওপর ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভিড়। হাসপাতালজুড়ে ময়লা-আবর্জনা। এদিকে চিকিৎসক, নার্স ও আয়া-বয়দের বিরুদ্ধে রয়েছে অশোভন আচরণের অভিযোগ। বেশির ভাগ ওষুধই কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে।
এদিকে ২০২১ সালে ভারত সরকার থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া লাইফ সাপোর্টসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্সটি জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না। নেই রোগী পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়ায় বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রায় অচল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অনীহায় খোলা মাঠেই রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান এ অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘদিন না চালানোয় অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যাটারি, চাকাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। সাধারণ রোগীরা বিভিন্ন সময় আবেদন করেও কখনো অ্যাম্বুলেন্স-সেবা পায়নি বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে অতিরিক্ত খরচেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না জেলা শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। ছোট্ট এ শহরে দেড় শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল থাকলেও সেগুলোর বেশির ভাগে নেই পূর্ণকালীন চিকিৎসক। নেই প্রশিক্ষিত নার্সও। ফলে প্রায়ই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে এসব বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কালেভদ্রে অভিযান হয়, বন্ধও করা হয় অবৈধ এসব হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিন্তু কিছুদিন পর আবার খুলে যায়।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও অবকাঠামো রয়েছে মাত্র ১৫০ শয্যার। রয়েছে জনবল-সংকট। সবচেয়ে বেশি সংকট পরিচ্ছন্নতাকর্মীর। তবে নতুন ভবন নির্মাণ শেষ হলে অবকাঠামো সংকট ঘুচবে, জনবলও বাড়তে পারে। ভারত থেকে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটিতে আইসিইউর সব যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় এবং জনগণের চাহিদা না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি এ কর্মকর্তার।
সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানান, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার মান নিশ্চিত করতে ও শৃঙ্খলা ফেরাতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিলধারণের ঠাঁই নেই শয্যা, মেঝে বা বারান্দায়। একদিকে রোগী, অন্যদিকে রোগীদের স্বজন। হাসপাতালের আউটডোরেও রোগী-স্বজনদের গাদাগাদি। তার ওপর মেডিকেল প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য, রয়েছে দালালদের উৎপাতও। কম্পাউন্ড জুড়ে ময়লা-আবর্জনা। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী সদর হাসপাতালে এসবের মধ্যে সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
আর বেসরকারি হাসপাতালে বেশির ভাগ সময়ই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে। সেগুলোতে বেশির ভাগ নার্স অপ্রশিক্ষিত ও অদক্ষ, নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, তবু গলাকাটা দাম দিয়ে নিতে হচ্ছে সেবা। কালেভদ্রে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান হয়। তাতেও থামছে না এসব নৈরাজ্য।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে পাঁচ শতাধিক। যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরই যথাযথ কাগজপত্র নেই, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও লোকবলেরও সংকট। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বন্ধ করা হয়েছে ৩৯টির মতো প্রতিষ্ঠান।
নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালের শয্যা, মেঝে বা বারান্দায় কোথাও ঠাঁই নেই। আউটডোরেও রোগীদের গাদাগাদি, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না থাকায় অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে অনেকে। তার ওপর ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভিড়। হাসপাতালজুড়ে ময়লা-আবর্জনা। এদিকে চিকিৎসক, নার্স ও আয়া-বয়দের বিরুদ্ধে রয়েছে অশোভন আচরণের অভিযোগ। বেশির ভাগ ওষুধই কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে।
এদিকে ২০২১ সালে ভারত সরকার থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া লাইফ সাপোর্টসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্সটি জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না। নেই রোগী পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না হওয়ায় বর্তমানে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রায় অচল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অনীহায় খোলা মাঠেই রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান এ অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘদিন না চালানোয় অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যাটারি, চাকাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। সাধারণ রোগীরা বিভিন্ন সময় আবেদন করেও কখনো অ্যাম্বুলেন্স-সেবা পায়নি বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে অতিরিক্ত খরচেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না জেলা শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। ছোট্ট এ শহরে দেড় শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল থাকলেও সেগুলোর বেশির ভাগে নেই পূর্ণকালীন চিকিৎসক। নেই প্রশিক্ষিত নার্সও। ফলে প্রায়ই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ ওঠে এসব বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কালেভদ্রে অভিযান হয়, বন্ধও করা হয় অবৈধ এসব হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিন্তু কিছুদিন পর আবার খুলে যায়।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও অবকাঠামো রয়েছে মাত্র ১৫০ শয্যার। রয়েছে জনবল-সংকট। সবচেয়ে বেশি সংকট পরিচ্ছন্নতাকর্মীর। তবে নতুন ভবন নির্মাণ শেষ হলে অবকাঠামো সংকট ঘুচবে, জনবলও বাড়তে পারে। ভারত থেকে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটিতে আইসিইউর সব যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় এবং জনগণের চাহিদা না থাকায় তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি এ কর্মকর্তার।
সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার জানান, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার মান নিশ্চিত করতে ও শৃঙ্খলা ফেরাতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪