হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে কমতে শুরু করেছে গমের দাম। রপ্তানি শুরু ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় প্রতি টন গমের দাম ৩০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে গমের দাম খুব একটা কমছে না।
এ বিষয়ে আমদানিকারকেরা বলছেন, ১০০ ডলারের পণ্যে ১০ ডলার কমলে দাম কমবে ১ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতি ডলারের দাম যদি ১৫ টাকা করে বেড়ে যায়, তাহলে ১০০ ডলারে বেশি খরচ হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না দেশি বাজারে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়ার আগপর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও এর সুফল দেশে পাওয়া যাবে না। ডলারের দাম ওঠানামা করার কারণে এখন আমদানিকারকেরা এলসি খুলতে ভরসা পাচ্ছেন না। এলসির সংখ্যা না বাড়লে দেশের বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমবে না।’
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো অফার পাচ্ছি না। তাই আমাদের দেশে কেউ এখনো ইউক্রেন থেকে পণ্য আমদানির সাহস করছেন না।’
ইন্ডেক্সমুন্ডির তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম ১২ শতাংশ কমেছে। মে মাসে প্রতি টন গমের দাম ছিল ৫২২ ডলার; যা জুন মাসে কমে দাঁড়ায় ৪৫৯ ডলারে। জুলাই মাসে গমের দাম আরও কমে যায়। বর্তমানে প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ ডলারে।
এদিকে দেশের অন্য বাজারে সুফল না পাওয়া গেলেও খাতুনগঞ্জে গম ও ছোলার দাম কমছে। আগে এলসি করা গম ভারত থেকে আসতে শুরু করায় গত এক মাসের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে গমের দাম কিছুটা কমেছে। এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর গমের দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর মে মাসের মাঝামাঝিতে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় দাম আরও বেড়ে যায়। তখন এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণে দাম বেড়ে যায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
মে মাসে ভারতের প্রতি মণ গম বিক্রি হয় ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। জুলাই মাসের শুরুর দিকে যখন ভারত থেকে আগের এলসি খোলা গম আসতে শুরু করে, তখন দাম কিছুটা কমতে থাকে। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ ভারতীয় গম ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের তৈয়্যবিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা বলেন, গত মাসের তুলনায় বাজারে এখন গমের দাম কিছু কম। প্রতি মণ ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলার দামও কিছুটা কমেছে। ভালো মানের প্রতি মণ ছোলা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। মাঝারি মানের প্রতি মণ ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ১ হাজার ৯৫০ টাকায়।
এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদ আরেফিন আলম বলেন, দেশের খাদ্যপণ্যের বাজার এখন একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এলসি ওপেনিং, ডলারের সংকট ও সরবরাহে অনিশ্চয়তার কারণে এলসির খোলার সংখ্যা কমে আসছে। এ কারণে এখন দেশের বাজার উল্টো ঊর্ধ্বমুখী। এক সপ্তাহে গমের দাম মণে ৪০ টাকা বেড়েছে। চিনির দাম বেড়ে গেছে মণে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আমদানিকারকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন, তাই বাজারের যেই স্বাভাবিক ধর্ম, সেটি কাজ করছে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমদানি প্রবাহ যতক্ষণ না স্বাভাবিক হবে, তখন বাজার এ রকমই থাকবে। আমদানিকারকেরা যখন নিশ্চিত হবেন এলসি খোলার এক মাস দেড় মাসের মধ্যে পণ্য আসবে, তখন তাঁরা এলসি খুলবেন। নিয়মিত পণ্য আসা শুরু হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’
রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে কমতে শুরু করেছে গমের দাম। রপ্তানি শুরু ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় প্রতি টন গমের দাম ৩০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে গমের দাম খুব একটা কমছে না।
এ বিষয়ে আমদানিকারকেরা বলছেন, ১০০ ডলারের পণ্যে ১০ ডলার কমলে দাম কমবে ১ হাজার টাকা। কিন্তু প্রতি ডলারের দাম যদি ১৫ টাকা করে বেড়ে যায়, তাহলে ১০০ ডলারে বেশি খরচ হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমার সুফল পাওয়া যাচ্ছে না দেশি বাজারে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়ার আগপর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও এর সুফল দেশে পাওয়া যাবে না। ডলারের দাম ওঠানামা করার কারণে এখন আমদানিকারকেরা এলসি খুলতে ভরসা পাচ্ছেন না। এলসির সংখ্যা না বাড়লে দেশের বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমবে না।’
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো অফার পাচ্ছি না। তাই আমাদের দেশে কেউ এখনো ইউক্রেন থেকে পণ্য আমদানির সাহস করছেন না।’
ইন্ডেক্সমুন্ডির তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের তুলনায় জুন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম ১২ শতাংশ কমেছে। মে মাসে প্রতি টন গমের দাম ছিল ৫২২ ডলার; যা জুন মাসে কমে দাঁড়ায় ৪৫৯ ডলারে। জুলাই মাসে গমের দাম আরও কমে যায়। বর্তমানে প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ ডলারে।
এদিকে দেশের অন্য বাজারে সুফল না পাওয়া গেলেও খাতুনগঞ্জে গম ও ছোলার দাম কমছে। আগে এলসি করা গম ভারত থেকে আসতে শুরু করায় গত এক মাসের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে গমের দাম কিছুটা কমেছে। এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর গমের দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর মে মাসের মাঝামাঝিতে ভারত গম রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় দাম আরও বেড়ে যায়। তখন এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণে দাম বেড়ে যায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
মে মাসে ভারতের প্রতি মণ গম বিক্রি হয় ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। জুলাই মাসের শুরুর দিকে যখন ভারত থেকে আগের এলসি খোলা গম আসতে শুরু করে, তখন দাম কিছুটা কমতে থাকে। বর্তমানে খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ ভারতীয় গম ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের তৈয়্যবিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা বলেন, গত মাসের তুলনায় বাজারে এখন গমের দাম কিছু কম। প্রতি মণ ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলার দামও কিছুটা কমেছে। ভালো মানের প্রতি মণ ছোলা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। মাঝারি মানের প্রতি মণ ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ১ হাজার ৯৫০ টাকায়।
এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদ আরেফিন আলম বলেন, দেশের খাদ্যপণ্যের বাজার এখন একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এলসি ওপেনিং, ডলারের সংকট ও সরবরাহে অনিশ্চয়তার কারণে এলসির খোলার সংখ্যা কমে আসছে। এ কারণে এখন দেশের বাজার উল্টো ঊর্ধ্বমুখী। এক সপ্তাহে গমের দাম মণে ৪০ টাকা বেড়েছে। চিনির দাম বেড়ে গেছে মণে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আমদানিকারকেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন, তাই বাজারের যেই স্বাভাবিক ধর্ম, সেটি কাজ করছে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমদানি প্রবাহ যতক্ষণ না স্বাভাবিক হবে, তখন বাজার এ রকমই থাকবে। আমদানিকারকেরা যখন নিশ্চিত হবেন এলসি খোলার এক মাস দেড় মাসের মধ্যে পণ্য আসবে, তখন তাঁরা এলসি খুলবেন। নিয়মিত পণ্য আসা শুরু হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪